পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&సి ছিল না— যাহা সত্য বলিয়া বলিয়া ফেলিতেন। ইহাদের মতবিষয়ে কাহাকেও কখনই অন্ধকারে থাকিতে হয় না । এই সাহস ও সত্যনিষ্ঠার জন্যই ঋষিগণকে এত সম্মান করিয়া থাকি । বাকৃলি সপ্তদশ শতাব্দীর লোক, ফিক্টে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে ও উনবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে নিজ দশন প্রচার করেন, কিন্তু তিন সহস্ৰ বৎসর পূৰ্ব্বে ভারতে এই অধ্যাত্মবাদ প্রচারিত হইয়াছিল। বৃহদারণ্যক, ছান্দোগা, কৌধীতকি, ঐতরেয় ইত্যাদি প্রাচীন উপনিষদে এই মত অতি স্পষ্টভাবে বর্ণনা কর হইয়াছে । আমরা অদ্য কৌষীতকি উপনিষদের অধ্যাত্ম-বাদ ব্যাখ্যা করিব । - আত্মা ও ব্রহ্ম । ‘আত্মা’ কাহাকে বলে, এবং ‘ব্রহ্ম’ শব্দের অর্থ কি--- ইহা সৰ্ব্বপ্রথমেই বলা আবশ্যক । সংস্কৃত ভাষায় ঋগ্বেদ অপেক্ষা প্রাচীনতর গ্রন্থ আর নাই । সুতরাং দেখা যাউক এই গ্রন্থে "আত্মা’ শব্দ কি আগে ব্যবহৃত হইয়াছে । শব্দের মৌলিক অর্থ প্রাণবায়ু। ‘আত্মান বাতম্ অভিআচত ১০৯২৷১৩। অর্থাৎ আত্মাবায়ুকে অচ্চমা কর । এখানে আত্মাকে বায়ু কিম্বা বায়ুকেই আত্মা বলা হইল। এই ‘বায়ু দেবগণের আত্মা’--আত্ম-দেবানাম্ ১০৷১৬৮৪ । একস্থলে বরুণকে সম্বোধন করিয়া বলা হইয়াছে যে ‘আত্মা তে বাত’ ৭৮৭২ অর্থাৎ বায়ু তোমার আত্মা। অথৰ্ব্ববেদে মৃতব্যক্তি কিম্বা মুমূর্য, ব্যক্তিকে সম্বোধন করিয়া বলা হইতেছে "বাতাৎ তে প্রাণম্ অবিদম্, স্বৰ্য্যাৎ চক্ষুঃ অহম্ তব” আমি বায়ু হইতে তোমার প্রাণ এবং সূর্য হইতে তোমার চক্ষু প্রাপ্ত হইয়াছি ৮২৩ স্বৰ্য্য হইতে যেমন চক্ষু এবং বায়ু হইতে প্রাণ আগমন করে তেমনি মৃত্যুর সময়ে চক্ষু স্বৰ্য্যে এবং প্রাণ বায়ুতে প্রতিগমন করে । দেহ ভস্মীভূত করিবার সময় মৃতব্যক্তিকে সম্বোধন করিয়া বলা হইতেছে ঃ‘স্বৰ্য্যম্ চক্ষুঃ গচ্ছতু বাতম আত্মা, ( ঋঃ ১০।১৬৩) অর্থাৎ তোমার চক্ষু সুৰ্য্যে গমন করুক এবং আত্মা বায়ুতে গমন করুক। আলোক ভিন্ন দশন কাৰ্য্য অসম্ভব এই জন্তই ঋষিগণ বিশ্বাস করিতেন স্বৰ্য্য হইতে চক্ষু (অর্থাৎ দৃষ্টি শক্তি) আগমন করে এবং মৃত্যুকালে স্বৰ্য্যেই প্রতিগমন করে এবং এবং নিঃশ্বাস প্রশ্বাস ও বায়ু একই বস্তু এই জন্ত বলা હરું প্রবাসী । বুঝিতেন সোজাসুজি তাহাই । [१क्ष खीशं । । AASAASAASAASAASAAMMAAASAAAA হইয়াছে প্রাণ বায়ু হইতে আগমন করে এবং বায়ুতেই প্রতিগমন করিয়া থাকে। একস্থলে আকাশকে আত্মাযুক্ত বলা হইয়াছে ‘আত্মনবৎ নভঃ’ ৯৭৪।৪। বায়ু আকাশকে পূর্ণ করিয়া থাকে এই জন্যই আকাশ আত্মাবান। ঋগ্বেদে লিপিত আছে ভূজ্য নামক একজন রাজর্ষি জলমগ্ন হইয়াছিলেন কিন্তু অশ্বিদ্বয় নৌকার সাহায্যে ইহাকে রক্ষা করিয়াছিলেন। এষ্ট নৌকাকে একস্থলে (১।১১৬৩) আত্মাযুক্ত (আত্মন বর্তীভিঃ নেীভিঃ ) অপর এক স্থলে পক্ষযুক্ত ও আত্মাযুক্ত ( প্লবং আত্মন বস্তং পক্ষিণং ১১৮২৷৫ ) বলা হইয়াছে। পক্ষিণং শব্দের অর্থ পক্ষযুক্ত অর্থাৎ পালযুক্ত। পালের সাহায্যে বায়ু দ্বারা চালিত হইয় নৌকা তীরে উপস্থিত তইয়াছিল এই জন্যই নৌকাকে পক্ষযুক্ত এবং আত্মাযুক্ত ( অর্থাৎ বায়ুযুক্ত ) বলা হইয়াছে। ‘আত্মা’ অর্থ যে প্রাণবায়ু উপনিষদেও তাহার যথেষ্ট প্রমাণ আছে। অদ্যকার প্রবন্ধেই তাঙ্গর পরিচয় পাইব । কেবল ভারতে কেন অপরাপর দেশেও আত্মা শব্দের এই একই ইতিহাস। ‘spirarc’ ধাতুর অর্থ নিশ্বাস গ্রহণ করা । এই ধাতু হইতেই spirit কথা নিম্পন্ন হইয়াছে। লাটিন ভাষায় "spiritus' শব্দের অর্থ নিঃশ্বাস। ইংরাজী ভাষাতেও spirit শব্দের প্রাচীন অর্থ ‘নিঃশ্বাস” কিন্তু ইহার বর্তমান অর্থ আত্মা | প্রাচীন বাইবেল গ্রন্থে মানবসৃষ্টি বিষয়ে tool fois-RE size -The Lord God formed man of the dust of the ground and breathed into his nostrils the breath of life and man became a living soul. এখানে নিঃশ্বাসকেই জীবন্ত আত্মা অর্থাৎ জীবাত্মা বলা হইল । সুতরাং দেখা যাইতেছে যে আত্মা শব্দের প্রাচীন অর্থ প্রাণবায়ু। ঋগ্বেদেষ্ট এই শব্দের উন্নতি ও অবনতি উভয়ই দেখা যায়। কোন কোন স্থলে আত্মা শব্দের অর্থ শরীর। “সর্বস্মাৎ আত্মনঃ তম্ ইদম্ বিবৃহামি তে” (১০|১৬৩৫,৬) অর্থাৎ তোমার সমুদয় অঙ্গ হইতে ইহা (অর্থাৎ এই যক্ষ্মা রোগ) দূর করিতেছি। আরও অনেক স্থলে (১।১৬৩৬, ১০৯৭৷৪,৮ ইত্যাদি) শরীর’ অর্থে আত্মা শব্দ ব্যবহৃত হইয়াছে। দেহের সঙ্গে নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ সুতরাং এক অপরের অর্থে ব্যবহৃত হইতে