পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS ৭ম সংখ্যা । ] সোনা মসজেদ। তন্মধ্যে “সোনা মসজেদ” একটি উল্লেখযোগ্য পুরাতন কীৰ্ত্তি। সেকালে এই প্রদেশে “সোনা মস্জেদের” ছড়াছড়ি হইয়াছিল। গৌড়ে "সোনামস্জেদ”মুছে —পৌণ্ডবৰ্দ্ধনেও “সোদ মসজিদ” আছে —মালদহে না থাকিবে কেন ? নামকরণ করিয়া রাথিয়াছেন, তাহ কিন্তু প্রসিদ্ধ “সোনা মসজিদের” সমকক্ষ নহে। তাহা একটি সাধারণ সমাধিমন্দির। প্রস্তরফলকে দেথিতে পাওয়া যায়,--হিজরী ৯৭৪ সালে (১৫৬৬ খৃষ্টাব্দে ) মাসুম নামক কোনও ব্যক্তি এই মস্জেদ নিৰ্ম্মিত করাইয়াছিলেন। মাসুম একজন বণিক বলিয়া রাভেনশার গ্রন্থে উল্লিখিত। ইলাহিবক্সও “মাসুম সওদাগর” বলিয়া পরিচয় প্রদান করিয়া গিয়াছেন । এই মসজেদটি নগরের যে অংশে অবস্থিত, তাহ “মোগলটোলা” নামেও কথিত হইয়া থাকে। গৌড়ের ইতিহাসবিখ্যাত সম্পন্ন জনপদ মোগলশাসনের অধীন হইয়াও প্রতিষ্ঠা রক্ষায় কৃতকাৰ্য্য হইয়াছিল। মোগলশাসন সময়ে সওদাগরদিগের পক্ষেও এরূপ একটি সমাধিমন্দির রচনা করিবার সামর্থ ছিল। ইহার সাক্ষীরূপে মাসুম সওদাগরের সমাধিমন্দির অস্থাপি দণ্ডায়মান আছে । ইংরাজশাসন সময়ে তাহার জীর্ণসংস্কার সাধিত করাইবার উপযুক্ত মুসলমান সওদাগর মালদহ অঞ্চলে দেখিতে পাওয়া যায় না। কালের করাল কবলে সকল পুরাকীৰ্ত্তিই দিন দিন চুর্ণ হইয়া যাইতেছে! সরবরী । মালদহের একাংশের নাম “সরবরা”। তাহাকে কেহ কহ স্বসংস্কৃত করিয়া "শৰ্ব্বী"ৰূপেও লিখিয়া থাকেন। এই নামের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক ঘটনার সংশ্ৰব ছিল, তাহ এই অসঙ্গত সংস্কারস্পৃহায় ক্রমে বিলুপ্ত হইয় পড়িতেছে। সরবরীর প্রকৃত নাম কি ছিল, এবং তাহার সহিত কোন ঐতিহাসিক ঘটনার সংস্রব ছিল, ইলাহিবক্স তাহার পরিচয়iানের জন্ত লিখিয়া গিয়াছেন,—“পুরাতন মালদহের এই ংকার প্রকৃত নাম "শিরবল”। মুসলমান সাধুপুরুষ হবের পুত্র হজরত আনওয়ার সাহেব গোঁড়াধিপতি ༈ག་ག༢་ আদেশে হুবর্ণগ্রামে নিহত হইলে, তাহার দেহ & ৩৭৯

                      • «هجهه , ,s•ه *ه..s ***ax.ي*****..يه**»ي.ه»**ه.. ,***مه

বিচ্যুত মস্তক এই স্থানে সমাধিনিহিত কুইয়াছিল। তজ্জন্ত ইহা একটি তীর্থ মধ্যে পরিগণিত।” কাটরার উত্তরে, রাজপথের পশ্চিমপাশ্বে, অস্থাপি এই “তীর্থস্থান” দেখিতে পাওয়া যায়। মালদহের লোকে ইহাকে “মালদহের পীরের আস্তানা” বলিয়া ব্যক্ত করিয়া থাকেন। কেহ কেহ বলিয়া থাকেন,—“এই পীরের নামানুসারেই মালদহের নাম মালদহ হইয়াছে।” ইতিহাসবিমুখ বাঙ্গালীর নিকট মুখে মুখে কত অলৌকিক কাহিনী ইতিহাস বলিয়া প্রচারিত হইয়া আসিতেছে, তাহা স্মরণ করিলে, ইহাতে বিন্মিত হইবার কারণ থাকে না । চারিদিকে পুরাকীৰ্ত্তির ধবংসাৰশেষ,—তাহার কেন্দ্রস্থলে মালদহ অবস্থিত। সুতরাং পুরাতন ইষ্টক প্রস্তর সংগ্রহের পক্ষে মালদহ বিলক্ষণ সুযোগ লাভ করিয়াছিল। কেবল ইষ্টক প্রস্তর কেন, মালদহের লোকে পুরাতন ফলকলিপি সংগৃহীত করিতেও ক্রটি করে নাই। এইরূপে এই নগরে কয়েকটি অপেক্ষাকৃত আধুনিক মস্জেদে পুরাতন ফলকলিপি rä সংযুক্ত হইয়া রহিয়াছে। তাহাতে পর্য্যটকগণ নানা ভ্রমপ্রমাদে পতিত হইয়া থাকেন। অনেকে এই সকল প্রাচীন ফলকলিপি পাঠ করিয়া, আধুনিক মন্দিরকেও প্রাচীন বলিয়া সিদ্ধান্ত করিয়া গিয়াছেন। এরূপ ভ্রমপ্রমাদ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। শাক মোহন । পুরাতন মালদহের “শাক মোহন” নামক মহল্লায় ইহার একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন দেখিতে পাওয়া যায়। রাজপথের পশ্চিম পাশ্বে সেখ ফকির মহম্মদ ও তাহার পুত্র সেখ ভিখা যে মসজেদ নিৰ্ম্মিত করিয়াছিলেন, তাহাতে এইরূপ একটি পুরাতন ফলকলিপি সংযুক্ত আছে। এই ফলকলিপির পাঠোদ্ধারে নানা সংশয় উপস্থিত হইয়াছিল। জেনারল কানিংহাম ইহার উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন ;" সোসাইটির পত্রিকাতেও ইহার আলোচনা মুদ্রিত হইয়াছে ; ওয়েষ্টমেকট সাহেব তাহার রহস্তোদঘাটনের জন্ত যখন ফলকলিপির পাঠোদ্ধারে হস্তক্ষেপ করেন, তখন তাহা অস্পষ্ট বলিয়া পরিত্যক্ত হইয়াছিল । ইলাহিবক্সের গ্রন্থে এই ফলকলিপির একটি অবিকল প্রতিলিপি সন্নিবিষ্ট রহিয়াছে। তাহাতে দেখিতে পাওয়া যায়,—“গোঁড়াধিপতি বাৰ্ব্বক শাহের পুত্র ইউসফ শাহের প্রতিষ্ঠিত হিজরী ৮৭৬