পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবালী । هدف .--ഫ് ട്ര ക്ന r് হইতে খসিয়া পড়িতে লাগিল । জীবনে সকল পরিবর্তনের মধ্যে হিন্দুসমাজকে দৃঢ়ৰূপে আলিজন করি থাকিলেও উপাধ্যায় পূৰ্ব্বে হিন্দু ছিলেন এ কথা বলা যায় না। কিন্তু উপাধ্যায় এক্ষণে খাটি হিন্দু হইলেন ; অজ্ঞানী হিন্দু নহেন ; কিন্তু জ্ঞানী হিন্দু হইলেন। হিন্দুদর্শন, হিন্দুবর্ণাশ্ৰম-ধৰ্ম্ম, হিন্দুসাধনা, হিন্দুশিক্ষা, হিন্দুদীক্ষা, এক কথায় সমগ্ৰ ভারতীয় সভ্যতা এখন তাহার পরমপূজ্য হইয়া দাড়াইল । অতীত কালে ভারত জগতের শিরোভূষণ এবং ভারতীয় সভ্যতা জগতের পরম আদরের বস্তু ছিল ; আবার কি ভারত জাগিলে না ? আবার কি ভারতীয় সভ্যতা জগতে আদরণীয় হষ্টবে না ? উপাধ্যায়ের প্রাণের অন্তঃস্থল হটতে এই প্রশ্নের জবাব উঠিল “ভারত নিশ্চয়ই ভাগিবে, ভারতীয় সভ্যতা আবার জগতে পূজিত হইবে।” কিন্তু ভারতবাসিগণ আপনাদিগকে যে নিতান্ত ষ্টীন ও অকিঞ্চিৎকর জানিয়া ভিক্ষালব্ধ ধনে ধনী হুইবার আশায় পরমুখাপেক্ষী হইয়া আছে ; আর সেষ্ট পর তাহণদেব প্রাথিত ধনদানের পরিবত্তে তাহাদিগকে যখন পদাঘাত করিতেছে, তখনও তাহারা মে সেই পরপদষ্ট লেহন কবিতেছে ! কি ঘাছ্‌মন্থে ইহার এইরূপ মৃগ্ধ ও হতচেতন হইল ? ইহারা আপনাদিগকে যতদূর অসার ও অকৰ্ম্মণ্য ভাবিতেছে, বাস্তবিকই কি ইহার ততদূর অসার ও অকৰ্ম্মণ্য ? যে যাদুমন্ত্রে ইহারা স্থতচেতন হষ্টয়া আছে, সেই যাদুমন্ত্র কি ভাঙ্গিয়া দেওয়া যায় না ? ইহাদের অম্বরে কি আত্মমর্য্যাদা ও আত্মনির্ভরের ভাব উদ্বোধিত করা যায় না ? উপাধ্যায় অন্তর হইতে এই প্রশ্নেরও উত্তর পাইলেন---“নিশ্চয়ই যায়।” সুতরাং উপাধ্যায় এখন এই সিদ্ধান্তে উপনীত হষ্টলেন যে, ইংরাজের যাদুমন্ত্ৰ ভাঙ্গিয়া দিয়া ভারতবাসীর অন্তরে আত্মমৰ্য্যাদা ও আত্মনিৰ্ভবের ভাব জাগাষ্টয়া দিলে ভারতবাসী আবার প্রকৃত মনুষ্যত্ব লাভ করিবে এবং ভারতীয় সভ্যতাকে আবার জগতে মহিয়সী কবিতে পারিবে । যাই কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া, অমনি তদনুসারে কার্য্য আরম্ভ করা, ইহাই উপাধ্যায়ের চিরস্বভাব ; সুতরাং উপাধ্যায় অবিলম্বে এই নুতন কার্য্যে প্রবৃত্ত হইলেন। সন্ধ্যা-পত্ৰ ッ* %E7マ arz *7 - সৰ্ব্বশেষে তিনি খৃষ্টীয় ভজনালয়ে গিয়া উপাসনাদি করিতেও বিরত হইলেন । t *न उोग। প্রকাশ করিয়া তাহার স্তক্তে একদিকে যেমন তিনি পূির্ণ ওঁ হিন্দু সভ্যতার মাহাত্ম্য কীৰ্ত্তন করিতে আরম্ভ করিলেন; অদ্যদিকে তেমনি আবার স্তায় ও ধৰ্ম্মকে পদদলিত করিয়া ইংরাজ কিরূপে এদেশে কেবল যাংমন্ত্রের সাহায্যে পূৰ্ব্বাপর তাহার কুটিল নীতি, চালাইয়া আসিয়াছে, স্বদেশীয়দিগকে তাহা পরিষ্কাররূপে বুঝাইয়া দিত্বে লাগিলেন। কিন্তু জাতীয় জীবনের বে নব আদশ এবং জাতীয় জীবন সম্বন্ধে যে নব আশা উপাধ্যায়ের হৃদয়কে উন্মাদিত করিতেছিল, বঙ্গের আধুনিক সাহিত্যিক দলের অধিনায়ক কবিবর রবীন্দ্রনাথ তদীয় অপূৰ্ব্ব কাব্যরসময়ী বক্তৃতা ও প্রবন্ধদি দ্বারা এবং বঙ্গের আধুনিক রাজনৈতিক দলের অধিনায়ক বাগিবর বিপিনচন্দ্র নিউ-ইণ্ডিয়াপত্রে পাণ্ডিত্যপূর্ণ প্রবন্ধ এবং সভাসমিতিতে ওজস্বিনী বস্তৃতাদি দ্বাৰা কিছুকাল পুৰ্ব্ব হইতেই সেই আদর্শ ও আশা ঘোষণা করিয়া আসিতেছিলেন ; সুতরাং ধৰ্ম্ম ও সমাজদি বিষয়ে ইহঁদের সহিত গুরুতর মতভেদ থাকা সত্ত্বেও এই দুই অধিনায়কের সহিত উপাধ্যায়ের মিলন এক প্রকার অবগুস্তাবী ছিল । বস্তুতঃ সমভাবের আকর্ষণ-প্রভাবে উপাধ্যায় বিলাত-যাত্রার পূৰ্ব্বেই রবীন্দ্রনাথের সহিত মিলিত হইয়া বোলপুর ব্ৰহ্মচৰ্য্যাশ্রম স্থাপন কার্য্যে র্তাঙ্গকে বিশেষ সাহায্য করিয়াছিলেন। বিলাত হইতে প্রত্যাগমনের পরেও তিনি কিছুকাল রবীন্দ্রনাথের পাশ্বচররাপে হিন্দুধৰ্ম্ম প্রচারাদি কাৰ্য্য করেন। অবশেষে যখন কুটিলনীতি লাট কর্জনের রাজবিধিরূপ ছুরিকাঘাতে বঙ্গ দ্বিখণ্ডিত হষ্টল, অত্যাচারীর নিৰ্ম্মম শাণিত অস্ত্রাঘাতে জাতীয় জীবনরূপী সুপ্ত সিংহ জাগিয়া উঠিল এবং অত্যাচারীর বিরুদ্ধে ‘স্বদেশী-গ্ৰহণ ও বিদেশী-বর্জন” ঘোষণা করিল ; কেবল তাঁহাই নহে, পরে ষখন ক্রমে ক্রমে স্বাধীন স্বতন্ত্র জাতীয় শিক্ষার, স্বাধীন স্বতন্ত্র জাতীয় জীবনের জয়পতাকা আকাশে উড়ন্তীন হইল, আর কবিবর রবীন্দ্রনাথ তদীয় কবিকুঞ্জেব সুশীতল ছায়া ও সাত্ত্বিকী শাস্তি ছাড়িয়া রাজনৈতিক জগতের কোলাহল ও আবিলতার মধ্যে অধিক দূর অগ্রসর হষ্টতে চাহিলেন না, তখন উপাধ্যায় বাগিবর বিপিনচন্দ্র ও দেশগৌরব অরবিন্দ ও মনোরঞ্জন প্রভৃতির সহিতই বিশেষভাবে যোগ দিয়া কাৰ্য্য করিতে আরম্ভ করিলেন। কিন্তু উপাধ্যায় দেখিলেন যে, বিপিনচন্দ্র, অরবিন্স,