পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆరిఫి. উপন্যাস ইত্যাদি নামে যে সকল ছাই ভস্ম প্রকাশিত হয়, তাহার তুলনায় আমাদের মাসিক পত্রগুলিতে প্রকাশিত কবিতা ও উপন্যাস অনেক ভাল। বাংলা ভাষায় প্রকাশিত অনেক উপন্যাস ও কবিতা সত্যই সাহিত্যের অতি উচ্চস্থান অধিকার করিয়াছে । এগুলি যে কোন দেশে এবং যে কোন ভাষায় প্রকাশিত হইলে, লেখকদিগকে অমরত্ব প্রদান করিত। বিজ্ঞান সাহিত্যের একটা প্রধান অঙ্গ। বাংল সাহিত্যের এই অঙ্গটি যে বিশেষ স্মৃত্ত্বি লাভ করিয়াছে একথা বলা যায় না। সমগ্র বাংলা গ্রন্থ খুজিলে এক আধুখানি ভাল বৈজ্ঞানিক গ্রন্থেরও সন্ধান পাওয়া যায় না । লোকে বলে বর্তমান যুগটা বৈজ্ঞানিক যুগ । কবি দার্শনিক রাজনীতিক সকলেই বিজ্ঞানের তোতে তাহাদের চিস্তার তরণী ছাড়িয়া দিয়াছেন, এবং সেই স্রোতের জোরেই তাহারা কুলে উপস্থিত হইবেন । কথাটা সত্য, কিন্তু বাংলা দেশে নয়, ভারতেও নয়। যে হাওয়া অপর দেশের চিন্তাত্ৰেণতকে ফিরাইয়া সোজা পথ দেখাইয়াছে, তাহ আমাদের দেশে বহে নাই। বহিলে আমাদের সাহিত্য অঙ্গহান হষ্টয়া থাকিত না, মুবাতাসের লক্ষণ স্পষ্ট প্রকাশ হইয়া পড়িত । বাংলা বৈজ্ঞানিক গ্রন্থে লেখকের মৌলিকতা বা চিন্তাশীলতার কোনই পরিচয় পাওয়া যায় না। অধিকাংশষ্ট বিদেশী বৈজ্ঞানিক গ্রন্থের অনুবাদ মাত্র। অনুবাদের আবশুকতা আছে সন্দেহ নাই, কিন্তু মৌলিকতার আবশ্যক তাহ অপেক্ষ অনেক অধিক। সে জন্ত মৌলিক বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ কোন স্বদেশবাসী কর্তৃক প্রকাশিত হইলে আশার সঞ্চার হয়। তখন মনে হয় আমাদের দেশেও বুঝি সুবাতাস বহিতে আরম্ভ করিয়াছে, উচ্ছ ভাল চিন্তাস্রোত সংযত হইয় আমাদিগকে কুলে ভিড়াইতে আর বিলম্ব করিবে না। ভারতের সুসন্তান জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানাচায্য জগদীশচন্দ্র বসু মহাশয় যে একখানি নূতন বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ প্রচার করিয়াছেন তাছাতেই এই আশার সঞ্চার হইতেছে। ইংরাজি ভাষায় লিখিত হইলেও পুস্তকখানি ভারতেরই জিনিস, এবং বাঙালীর নিজস্ব। তাই ইহার কিঞ্চিৎ পরিচয় প্রদান করিবার লোভ সম্বরণ করিতে পারিতেছি না। গ্রন্থকার আচার্য্য জগদীশচন্দ্র বসু মহাশয়ের পরিচয় নূতন করিয়া পাঠকের নিকট উপস্থিত করা নিম্প্রয়োজন। ه. ""همه ۹۰****۰ - ۰"" همه به دهه سی - نام «سم [१ब छांक । । AASAASAASAASAASAASAASAASAA কেবল স্বদেশে নয়, দূর বিদেশেরও শিক্ষিত সাধারণ আচাৰ্য্য বস্ব মহাশয়ের সহিত পরিচিত। প্রায় দশ বৎসর পূৰ্ব্বে ইহঁর প্রথম পুস্তকখানি। Response of the Living and the Non livimg ) ®*tf*'& **C*, afal cTters বৈজ্ঞানিক সমাজে যে প্রবল আন্দোলন উৎপন্ন হইয়াছিল, তাহা বোধ হয় পাঠকের স্মরণ আছে। বাহিরের আঘাত উত্তেজনায় যে সকল পরিবর্তন কেবল প্রাণীরই বিশেষত্ব বলিয়া স্থির ছিল, সেই সকল উত্তেজনা ধাতু প্রভৃতি নিজীব পদার্থে প্রয়োগ করিয়াও আচার্য্য বসু মহাশয় অবিকুল একই প্রকাধের পরিবর্তন দেখাইয়াছিলেন। জড় হইতে জীবকে পৃথক করিবার এই প্রাচীন প্রথার মূলে অবৈজ্ঞানিক দেশের একজন হিন্দু বৈজ্ঞানিক কর্তৃক কুঠারাঘাত হইতে দেখিয়া বৈজ্ঞানিক মাত্রেই বিস্মিত হইয়াছিলেন। আচাৰ্য্য বনু মহাশয় স্পষ্টই দেখাইয়াছিলেন, আমরা যাহাকে প্রাণীর বেদন অবসাদ ও মৃত্যু বলি, তাহার সকলি প্রাণিশরীরস্থ অণুরাশির বিকৃতির ফল। প্রাণীর দ্যায় ধাতু প্রভৃতি জড়পদার্থ অণুদ্বারা গঠিত, সুতরাং মাদকদ্রব্য ও বিষাদি প্রয়োগ করিলে এগুলিতেও মত্তত অবসাদ ও মৃত্যুর লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ারই সম্ভাবনা । আচার্য্য বস্থ মহাশয় এই অনুমানের উপর নির্ভর করিয়া গবেষণা আরম্ভ করিয়াছিলেন, এবং ইহা হইতেই জড় ও প্রাণীর সাড়ার একতা স্পষ্ট ধরা পড়িয়ছিল । প্রাণী শরীরে আঘাত উত্তেজনা দিলে, সাধারণতঃ তাহাতে দুই প্রকারের সাড়া প্রকাশ পায়। প্রথম,--- বৈদ্যুতিক সাড়া, অর্থাৎ শরীরের আহত অংশ হইতে অনান্ততের দিকে, এবং কখন কখন ইহার বিপরীতে যে বিদ্যুৎ-প্রবাহ উৎপন্ন হয় তাহ দেখিয়া আঘাতের কার্য্য পরীক্ষা । দ্বিতীয়,--প্রত্যক্ষ-সাড়া, অর্থাৎ দেহের আহত অংশের প্রত্যক্ষ আকুঞ্চন ও প্রসারণাদি দ্বারা আঘাতের কাৰ্য্য বুঝিয়া লওয়া । আচার্য্য বস্ব মহাশয় প্রথমে বৈদ্যুতিক সাড়া দ্বারা পরীক্ষা করিয়া প্রাণী ও জড়ের আঘাত অনুভূতির একতা আবিষ্কার করিয়াছিলেন । - বৈজ্ঞানিকগণ দৃশু পদার্থকে সাধারণতঃ নির্জীব, ঔদ্ভিদ ও প্রাণী এই তিনটা প্রধানভাগে ভাগ করিয়া থাকেন। উদ্ভিদজাতি প্রাণীর ছায় সচেতন নয়, এবং মৃত্তিকা বা

      • .