পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১শ সংখ্যH } ঐৱ তাম্প নিতেছি। যে মূলভিত্তির উপর দাড়াইল প্রকৃতি দেবী মনস্তত্ৰহ্মাণ্ডে অনন্ত লৈচিত্র দেখাইতেছেম, সেই ভিত্তির সন্ধান বিজ্ঞানের চরম লক্ষ্য। আচার্য বস্থ মহাশয় সেই লক্ষ্যকে সাফল্যের দিকে অনেকটা অগ্রসর করিয়াছেন। o শ্ৰীজগদানন্দ রায়। মিশমী জাতি । মিশমী নামক অসভ্য জাতি আসামের উত্তর-পূৰ্ব্ব অংশে বাস করে। দক্ষিণে ইরাবতী নদীর শাখা নেমলাং পৰ্য্যন্ত ইতাদের বসতি দেখা গিয়াছে। ইহাদের বসতি দাফীভূম নামক বৃহৎ পৰ্ব্বতের পূর্ব পর্য্যন্ত গিয়া তৎপরে ব্রহ্মপুত্র নদের উপত্যক দিয়া তিব্বতের সীমান্তে শেষ হইয়াছে। ইহাদের বসতি পশ্চিমে দিগারু নদী পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত। ব্ৰহ্ম ,ণ্ডের উত্তরে ব্রহ্মপুত্রের শাখা দৃ নদীর পশ্চিম দিগ্‌বাসী মিশমীগণ ইংরাজ অধিকৃত প্রদেশের সহিত বাণিজ্য করে ; উক্ত শাখানদীর উত্তর-পূৰ্ব্বদিগ্বাসিগণ কেবল তিব্বতীয়দিগের সহিত বাণিজ্য করে । প্রথমোক্ত মিশমীর। ধীর ও নিরীহ প্রকৃতি, কিন্তু অতিশয় চতুর ব্যবসায়ী। শেষোক্ত মিশমীগণ ইংরাজের শক্রতাচরণ করে। বহু ইংরাজ ও ফরাশী পৰ্য্যটক মিশমী বসতির ভিতর দিয়া তিব্বতে যাইবার চেষ্টা করিয়া তিব্বত-বন্ধু মিশমীদিগের হস্তে নিগৃহীত, লাঞ্ছিত ও বিনষ্ট পর্যন্ত হইয়াছেন। মিশমী অধুষিত প্রদেশের স্তায় বন্ধুর, কষ্টকর, অথচ সুন্দর প্রাকৃতিক শোভাশালী দেশ আর দ্বিতীয় আছে কি ন সন্দেহ। এই প্রদেশে ভ্রমণ এক অতি কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এই জন্য মিশনীদিগের উরু ও জঙ্ঘার পেশী সকল স্নগঠিত। সহস্র হস্ত গভীর খাদবাহিত উচ্ছল নদী-স্রোতের উপর দিয়া খোলা সাঁকে দ্বারা গভীর খাদ সকল পার হইতে দৃঢ়। অবয়ব ও স্বায়ুবল বিশেষ জীবগুক, নতুবা পদে পদে প্রাণ সংশয়। যেখানে যেখানে নদী উভয়তীরন্থ শৈলরাজি আর অতি সংকীর্ণ গভীর খাদে আবদ্ধ, সেইখানেই এই সকল সেতু নিৰ্ম্মিত হন। তিন চারিটি বেত একত্র জড়াইয়া রন্থ ब्रध्न कब्रिव्राज्दू नौब उडद्र जैौन इक्र ब४शरण दश रुद्र। مټه ميلمه به «مه ه به جبهه مری همراه با مسیه هم م. برای রজটি স্বতন্ত্র সম্ভব ‘. . . . . * . . ." - এই রজুতে একটি চালনক্ষম বেত্রবৃত্ত কুলান থাকে। তিতীর্ষ, ব্যক্তি ইহার মধ্যে বসিয়া উৰ্দ্ধমুখ হইরা বৃত্তটিকে . . *వీఁ রজুর উপর দিয়া পিছলিয়া যাইতে দেয়। বৃত্তটি শীঘ্রই রজজুর মধ্যস্থলে উপনীত হয়। তারপর পারৰাত্রীকে হাত ও পায়ের সাহায্যে বৃত্তটিকে রজুর উপর সরাইরা সরাইয়া তীরে পৌছিতে হয় । একটু অসাবধানে জ্বলিত হইলেই সহস্র হস্ত নীচে পড়িয়া চূর্ণ-বিচূর্ণ হইয়া মৃত্যু নিশ্চিত। মিশমীদিগের পল্লীগুলিতে কয়েকটি করিয়া গৃহ থাকে, কখন কখন বা সমগ্র পল্লীতে একটি মাত্র গৃহ থাকে ; কিন্তু এই গৃহগুলি এত বড় যে একটিতেই বহু পরিজনপূর্ণ পরিবার তাহাদের দ্বাস ও অনুচর লুইয়া থাকিতে পারে। ५कचम দলপতির গৃহ দৈর্ঘ্যে ৮৮ হাত এবং প্রন্থে ৮ হাত, দেখা । গিয়াছিল। ইহা জমিতল হইতে উচ্চে বংশনিৰ্ম্মিত ও ১২টি কক্ষে বিভক্ত ছিল। স্ত্রী-পুরুষ ও শিশু লইয়া, শতাবধি লোক ইহাতে বাস করিত। কোন কোন দলপতির গৃহ ইহা অপেক্ষাও বড় ও অধিক কক্ষবিভক্ত হয়। সমুদয় কক্ষে প্রবেশ করিবার জন্য একটি দীর্ঘ বারান্দা থাকে ; তাহার দক্ষিণে দলপতি কর্তৃক নিহত মিথুন, হরিণ, ও শূকরের মাথার খুলি ও বামে গৃহস্থালীর বাসনকুশন সজ্জিত থাকে ; পূৰ্ব্বতন দলপতি কর্তৃক নিহত জন্তুকরোটি রক্ষা করাটা সন্ধান্ত রীতি বলয় বিবেচিত হয় না। প্রত্যেক কক্ষেই একটি করিয়া চুল্লী থাকে, তাহার উপর ধূমযোগে সংরক্ষার জন্য মাংসস্থালী ঝুলান থাকে। দলপতির গৃহই পল্লীর প্রধান আড্ডা। শস্ত রাখিবার গোলাঘর দূরে নিৰ্ম্মিত झग्र । বাণিজ্য ব্যবসায়ের জন্য মিশনীর প্রায়ই ঘুরির বেড়ায়। তাহারা তাহাদের প্রতিবাসিদের মত চাষবাসে অধিক মনোযোগী নহে; কিন্তু তাঁহাদের অনেক পশুপাল থাকে। তাছারা প্রতি বৎসর আসামে গরু ক্রয় করে এবং তদ্ভিন্ন মিথুন নামক স্বন্দর পাৰ্ব্বত্য গরুর বৃহৎ পাল পোষণ করে। মিথুনকে -উহার ‘চা কহে।পত্নীসংখ্যার পরেই মিথুনের সংখ্যা হইতেই প্রধানতঃ উহাদের ধনশালিতার পরিচয় । কৃষি-বা-দুর্থ যোগানের জন্য মিথুন পোষা হয় না, পরম্ভ পৰ্ব্ব ঘটা উপলক্ষে মিথুন বলি দিয়া মাংস খাওয়া হয় এবং মিথুনের বিনিময়ে বং