পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বৰ্গসুখী সম তারা রয়েছে তু’জনে । এই আশাভরা বাণী শুনিয় তাহার হল হিয়া পুলকিত। আবার আনন্দে হল সবে অগ্রসর ক্ষুদ্র তরী বাহি। পশ্চিম আকাশ প্রাস্তে অস্ত গেল রবি, যেন কোনো যাতেকর মায়াদও দিয়া করে দিল নীলাকাশ সুবর্ণেরঞ্জিত । উঠিছে কুয়াস ধীরে । আকাশ-তটিনী আর সেই বনতল রঞ্জিত কেমন । রাঙা আভা লভি রাঙা হয়েছে সকল । সেই শাস্ত তটিনীতে ক্ষুদ্র তরীখানি মেঘথও সম যেন যেতেছে ভাসিয়া । নলিনীর হৃদয়েতে আশার আনন্দ প্রেমমন্ত্র বলে যেন হল প্রভাসিত । হৃদয়ের উৎস মাঝে উঠিল জলিয়৷ প্রেমের মধুর আলো। আকাশেতে আর তটিনীর মাঝে যথা হয়েছে বিকাশ । সহসা নিকটে কোন পুষ্প বৃক্ষ হতে মধু কণ্ঠে গাহে পাখী, তার স্বধা ধারা উন্মত্ত অধীর করে মানব হৃদয় । সে গীত মধুর যত, ততই বিষাদে পূর্ণ হয় হিয়া শুনি সে মধু-ঝঙ্কার । প্রথমে করুণ শেষে উন্মাদ রাগিণী সুপ্ত হৃদয়ের ভাব উঠাল জাগায়ে । যেমন ঝটিকা শেষে সহসা আবার বহিয়া সমীর বেগে, দেয় কঁপাইয়া সিক্ত বৃক্ষ, বৃক্ষ হতে ঝরে বারিকণা ৷ তেমনি সে কণ্ঠে হৃদি হয় বিকম্পিত । ক্রমে উপনীত তরী তাম নদীকূলে, মধুর বহিছে বায়ু, শুাম বনভূমি যায় দেখা । ধূমশিখা আসিতেছে ভেসে । জানাইছে অদুরেতে আছে বাসস্থান । সহসা শুনিল সবে দূরে শৃঙ্গনাদ পশুপাল ছুটিতেছে, আসে কণ্ঠস্বর। ఆ ক [ ক্রমশঃ। মেবার পাহাড় ! ( গাথা ) । মেবার পাহাড় ! মেবার পাহাড় ! যুঝেছিল যেথা প্রতাপ-বর বিরাট দুঃখে দৈন্তে, তাহার শৃঙ্গের সম অটল, স্থির । [ १ब छांनं । জালিল সেখানে যেই দাবাগ্নি সে রূপ-বহ্লি পদ্মিনীর বাপিয়া পড়িল সে ঘোঁর আহবে যবন-সৈন্ত, ক্ষত্র-বীর । রক্ত-পতাকা উচ্চ-শির--- তুচ্ছ করিয়া ম্লেচ্ছ-দপ দীর্ঘ সপ্ত শতাব্দীর । মেবার পাহাড় ! মেবার পাহাড় !-- রঞ্জিত করি’ কাগার-তীর দেশের জন্ত ঢালিল রক্ত অযুত যাহার ভক্তবীর । চিতোর তুর্গ হইতে খেদায়ে স্লেচ্ছ রাজায় গজ্জনীর, হরিয়া আনিল কন্ত| তাহার বিজয় গৰ্ব্বে বাপ্পা বীর । ( মেবার পাহাড় ইত্যাদি । ) মেবার পাহাড় ! মেবার পাহাড় -- গলিয়া পড়িছে হইয়া ক্ষীর ! সবার—সবার হইতে মধুর যাহার শস্ত, যাহার নীর ! যাহার কুঞ্জে বিহগ গাইছে গুঞ্জরি স্তব যাহার শ্রীর, যাহার কাননে বহিয়া যাইছে সুরভি, স্নিগ্ধ পবন ধীর । ( মেবার পাহাড় ইত্যাদি । ) মেবার পাহাড় ! মেবার পাহাড় ! ধূম্ৰ যাহার তুঙ্গ শির ! স্বৰ্গ হইতে জ্যোৎস্না নামিয়া ভাসার যাহার কানন-তীর। মাধুরী বন্ত-কুসুমে জাগির ঘুমায় অঙ্গে রমণী-জীর ;