পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

అల8 বয়স একে একে জিজ্ঞাসা করা গেল, ঠিক উত্তর মিলিল । অবশেষে সেই ভদ্রলোকটিব বয়স জিজ্ঞাসা করা গেল । ভূত ঠকাঠক বাজাষ্টয়া দিল,- বাধুটি যত বয়স বলিতেন, তাহার অধিক কয়েক ঘা বাজাষ্টয় দিল । বাবুটি আর অস্বীকার করিতে পরিলেন না। ভবিষ্যতের কথা অথবা বর্তমানের যে কথা জানা নাই--- তাহার উত্তব সময়ে সময়ে ঠিক হয়, সময়ে সময়ে হয়ও না । গত বড়দিনের ছুটিতে, আমরা ভূতকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম—“দুষ্ট দিন ত কনগ্রেসের অধিলেশন ভাঙ্গিয়াছে । তৃতীয় দিনে কোনও কাৰ্য্য হইয়াছে না সেদিনও ভাঙ্গিয়াছে ?” ভূত বলিল তৃতীয় দিনে কার্য হইয়াছে। দুই একদিন পরে সংবাদপত্রে দেখিলাম ভূত সত্য বলিয়ছিল। জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম “অ্যালেন সাহেব যে গুলিতে আহত হইয়াছেন, তিনি আরোগ হইবেন কি না ?”—তৃত বলিয়া ছিল—“আরোগ্য হইবেন ?" আর একটা আশ্চর্য্য কথাল উল্লেখ করি । আমরা যেমন মনোভাবের তারতম্য অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন স্ববে কথা কহিয়া থাকি, ভূতও ঠিক সেইরূপ উত্তর দানে আপনার মনোভাবের পরিচয় দিয়া থাকে । গত বড়দিনের ঘটনা। ভূত আসিল । তোমার নামের প্রথম অক্ষর কি, A এক B দৃষ্ট এইরূপ শব্দের দ্বারা জানাং । এইরূপ, প্রথম অক্ষর, দ্বিতীয় অক্ষর, ইত্যাদি ক্রমে উত্তর পাইলাম NOR ; আমরা বলিলাম নরা ? তবে কি স্ত্রীলোক না কি ? জিজ্ঞাসা করিলাম, বলিল - স্ত্রীলোকই বটে। তথন জিজ্ঞাসা করিলাম,--“তোমার পুত্ৰ কন্যা কয়টি আছে ? বলিল দুইটি । জিজ্ঞাসা করিলাম “তোমার স্বামী জীবিত না মৃত ?” নিরুত্তর । দুই তিনবার জিজ্ঞাসা করিলাম,--টেবিল নিশ্চল । তখন একজন জিজ্ঞাসা করিলেন---“তোমার বিবাহ হইয়াছিল ?” উত্তর-—“না” – “তুমি কি গৃহস্থ ঘরের মেয়ে ছিলে না?”—উত্তর- “না”।-- শেষ দুইটি উত্তর অতি ধীরে, অতি ক্ষীণ ভাবে,- যেন সে কত লজ্জিত। পরে জিজ্ঞাসা করিলাম-- “পরলোকে তুমি সুখে আছ না দুঃখে আছ ?” বলিল-“দুঃখে আছি।” একটি মাত্র উদাহরণ দিলাম। আমরা যেরূপ স্থলে “মার ও তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, ইংরাজিতে তথন প্রবাসী । [१ब छांनं । বুলি—“নিশ্চয়ই”—কিম্বা “অবঠই না”—সেরূপ স্থলেভূতের অপেক্ষাকৃত জোরে শব্দ করিয়া থাকে। • আমরা অনেক ভূতকে জিজ্ঞাসা করিয়াছি “কোন ধৰ্ম্ম সত্য ?”—হিন্দু ভূত বলে হিন্দুধৰ্ম্ম সত্য, মুসলমান ভূত বলে মুসলমান ধৰ্ম্ম সত্য ইত্যাদি। যীশুখৃষ্ট ঈশ্বরপ্রেরিত পয়গম্বর কি না জিজ্ঞাসা করিলে হিন্দু ও মুসলমান ভূত বলে—“না,” খৃষ্টান ভূত বলে—“হঁ।” • একবার এক ভূত বলিয়াছিল --“আমাদের রক্ত নাই, মাংস নাই, কেবল অস্থি আছে। মুখ দুঃখ আছে। আমাদের প্রিয় পরিজন যেখানে বাস করে, সেই খানেই আমরা অদৃষ্ঠভাবে বায়ুতে ভাসিয়া বেড়াই। তাহাদের মুখে সুখী তঃখে দুঃখী হই –কিন্তু তাহাদের কোনও উপকার করিবার সাধ্য নাই। আমরা কাহারও অপকার করিতেও সক্ষম নহি ।” একবার এক ভূত বলিয়াছিল—রাত্রি বারোটার সময় গ্রাম প্রাস্তের পুরাতন পট গাছের কাছে গেলে সে আমাদের দেখা দিতে পারে।--কিন্তু চক্রমধ্যস্থ কেহই ভূতের এ সাদর নিমন্ত্রণ গ্রহণ করে নাই । যে টেবিল নাড়ে সে ভূত হউক আর নাই হউক, একটা আশ্চৰ্য্য অজ্ঞাত শক্তির যে ইহা ক্রিয়া তাহাতে সন্দেহ নাই । সব উত্তর সত্য হয় না, না হউক, সেট তুচ্ছ বিষয় । কিন্তু এই যে কাৰ্য্য, তাহার প্রকৃত কারণ কি ? কেহ কেহ বলেন, মনুষ্যদেহে যে জাস্তব চৌম্বক শক্তি আছে, তাহাই পুঞ্জীভূত হইয়া ঐ প্রকার ক্রিয়াশীল হয়। -- প্ল্যাঞ্চেটের কাৰ্য্যও সম্ভবতঃ এই কারণপ্রস্থত। এ সম্বন্ধে পাঠক সাধারণ ও পণ্ডিতমণ্ডলী নিজ নিজ অভিজ্ঞতা ও অনুসন্ধানের ফল “প্রবাসী"তে লিথিয়া পাঠাইলে সত্যাবিষ্কারের সহায়তা হষ্টতে পারে। শ্ৰীপ্রভাতকুমার মুথোপাধ্যায়। চীনে ধৰ্ম্মচর্চা । চীন দেশে প্রধানতঃ তিনটী ধৰ্ম্মমত প্রচলিত আছে। বৌদ্ধধৰ্ম্ম, ভাও ধৰ্ম্ম এবং প্রকৃতিপূজা ধৰ্ম্ম। অবশ্য মুসলমান ধৰ্ম্ম ও আধুনিক খৃষ্টান ধৰ্ম্মকে এদেশের ধৰ্ম্ম মধ্যে গণ্য