পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه ترت "সার"* ঘন ঘন গাছের গোড়ায় দেওয়া হয় । আগাছার নামমাত্র গজাইতে দে গুয়া হয় না। পাথর, কাটা, আগাছ। এ সকল কি উচ্চ শুষ্কক্ষেত্র কি ধান্তক্ষেন (Wet land) সৰ্ব্বত্রই অজ্ঞাত। জাপানির অতি সুন্দরভাবে জমির পাট করিতে জানে। জাপানে প্রায়ষ্ট প্রবল বেগে বারিপাত হয় কিন্তু তাঙ্গদের সীতাকাটা ও আলিবন্ধেব পদ্ধতির জন্য এবং নিম্নদেশ পর্য্যন্ত ক্ষেত্রকর্ষণ জন্ত মাটি প্ৰ সার ধুইয়া বাহির হইয়া যাইতে পারে না। বরং মাটি স্থঙ্কচুণে পরিণত করায় জল অনেকটা বসিয়া যায়। যে ক্ষেত্রের মাটি আটাল তথায় পালি ও পাক মাটি মিশান হয় এবং বেলে মাটির সঙ্গে উদ্ভিজ্ঞসার , নরম মাটি মিশাষ্টয়া ভূমির উৎপাদিকাশক্তি র অভাব পূণ করা হয় । পূৰ্ব্বেষ্ট উক্ত হইয়াছে জাপানে ক্ষেত্র কর্ষণোপযোগী এবং • ভারবাহী পশু নাই বলিলে চলে । সুতরাং অভাবে কৃষকগণকে যেমন অমানুষিক পবিশম করিতে হয় অপব দিকে তেমনি অতি সামান্ত যন্ত্রাদিৰ দ্বারা ক্ষেত্রকায্য নিৰ্ব্বাই পশু করিতে হয় । মাটি পৃড়িবার ক্ষুদ্র একটি শাবল অথবা খুরপী (fork), একথানি কোদাল, একখানি শস্তছেদনের কান্তিয়া, সার বহনের জন্য একটা কেঠো ৭ তাঙ্গ প্রয়োগ করিবার জন্ত একটা হাত বা উখড়া ব্যতীত জাপরুষকেব অদ্য যন্ত্রের আবিশু্যক নাই । ক্ষেত্রে ব জন্ত এক্ট সকল দ্রব্যের প্রতি সরকারী হিসাবে খরচ পড়ে গড়ে চারি টাকা মাত্র । এই সামান্ত যন্ত্র লষ্টয় ষ্টই। বা অসামা) ফল উৎপাদন করে এবং মাথাব ঘাম পায়ে ফেলিয়া অতি প্রত্যেক সুন্দর ও নিখুঁতভাবে বপন, রোপণ প্রভৃতি সকল কাজ করিয়া থাকে। জাপানি কৃষকের মত পরিশ্রম করিতে" জগতে আর কোথাও দৃষ্ট হয় না। সার দিবার গুণেই জাপানে পর্যায় বুননের কোন পদ্ধতি নাই এবং তাঙ্গর আবশ্যকও বড় হয় না। তথাপি ‘নাইট্রোজেন উৎপাদক শান্ধীজাতীয় ফসলের দ্বারা মৃত্তিকার শক্তি বৃদ্ধি করিবার জন্ত গম ও যবের ক্ষেত্রে পাশাপাশি শীম, মটর প্রভৃতি যে ভাবে বৃনা হয় তাহ কতকটা

  • যে যে স্থানে "সার" এই শব্দ ব্যবহৃত হইবে তথায় মানুষের মলমুত্রের সার বুঝাইবে । সারের পুৰ্ব্বে বিশেষণপ্রযুক্ত হইবে যথাfrentz (Compest) wszata i Fish fertiliser, ইত্যাদি ।

প্রবাসী । ৭ম ভাগ । পৰ্য্যায় বুননেরই অনুরূপ। ভারতবর্ষে মাটিকেই লোকে ফসলোৎপাদনের মূল মনে করে এবং উৎপাদিকা শক্তির অক্ষয় ভাণ্ডার ভাবে, জাপানে তাহারা ভাবে মাটি অবলম্বন বা আশ্রয়স্বরূপ। প্রাণী ও উদ্ভিদজীবন মাটিকে মধ্যস্থ (medium) Niš রাখিয়া পর্য্যায়ক্রমে খাদ্য ও খাদককে পোষণ করে। তাহারা প্রকৃতি হইতে এই শিক্ষা পাষ্টয়াছে। স্বতরাং জাপানির ক্রমাগত মাটি খোড়ে আর খুঁড়ে খুড়ে সার দেয়। তাহারা সার না দিয়া কোন ফসলই বুনে না এবং যতটুকু সার শস্তে পরিণত হইতে পারে তাহার কণামাত্র নষ্ট করে না । তাহারা বলে ক্রমাগত মূলধন ভাঙ্গিয়া খাওয়াও যা, সার না দিয়া ক্রমাগত জমিতে ফসল উৎপন্ন করাও তা ; উভয় ভ্রমই এক প্রকার । সার দিবার প্রথা তথায় এমনই প্রবল যে পূৰ্ব্ব ফসলের সময়ে সার দেওয়া জমির যদি কিছু বাচিয়া যায় তাহাতে জাপানির পুনরায় সার না দিয়া নূতন ফসল বুনে না। তাহার মনে করে মাটি সারকে শস্তে পরিণত করিবার যন্ত্র মাত্র । ইঙ্গই তাহদের জমির ফসলোৎপাদিকা শক্তির এবং উষর ভূমিকে উৰ্ব্বর করিবার গুপ্তমন্ত্র। তাহারা বন জঙ্গল হইতে এক প্রকার উদ্ভিজ্জ মৃত্তিক, ওঁ উদ্ভিদ, নগরের আবর্জন সমুদ্রের বাজি শৈবালাদি, নিম্নভূমির পাক, নদম, থানা ডোবার আবর্জনা প্রভৃতি শুষ্ক ও আর্দ্রভূমির জন্ত ব্যবহার করে, এবং প্রত্যেক থামারে রাশরুত মিশ্ৰসার জমা করিয়া রাখে। তা ছাড়া মৎস্ত সার, খইল, সকল জস্তুর বিষ্ঠা বিশেষতঃ মানুষের মল মুত্রই জাপানে সারের শ্রেষ্ঠ বলিয়া বিবেচিত হয় এবং সকল ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয় । সার প্রস্তুত করণ ও প্রয়োগের প্রথা জাপানি কৃষির আর একটি বিশেষত্ব। প্রত্যেক জৈব পদার্থ এবং সৰ্ব্বপ্রকার পরিত্যক্ত বস্তুই সারের কাজ করে । “সার” হয় তরল অথবা সুহ্ম চুর্ণের আকারে প্রযুক্ত হয় । ঋতু এবং ফসলের প্রকৃতি অনুসারে আবশ্বক মত তরল করিয়া ব্যবহার করা হয় কিন্তু মৎস্ত, খইল, উদ্ভিজ্জ দ্রব্য, চূণ ঝিনুকাদির খোলা, ছাই, মাটি, অস্থিচূর্ণ প্রভৃতি একত্রে পচিতে দেওয়া হয়। পচিয়া অতি সূক্ষ্ম গুড়ায় পরিণত হইলে সার মাটির মত ব্যবহৃত হয়। বীজ বা চারা বুনিবার সময় সীতাকাটার দাগে দাগে তরল “সার” ঢালিয়া মাটির সহিত বেশ করিয়া মিশাইয় দেওয়া