পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سواهونا হিতকর বিষয়ে পথ প্রদর্শন করেন। র্তাহারা স্বয়ং চতুর্দিক ভ্রমণ করিয়া দেশের অভাব, সময়ের গতি, সভাসমিতি ও শিক্ষার উপকারিত উপলদ্ধি করিয়া তাহার অনুষ্ঠানে রত হন । জাপানের জাতীয় দূরদৃষ্টি ও আত্মনির্ভরশীলতার স্বতঃপ্রবৃত্তির জীবন্ত দৃষ্টান্ত জাপানি কৃষির ইতিহাস। এমন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এমন সমুন্নত আদর্শ গৃহদ্বারে থাকিতে কৃষিগতপ্রাণ ভারত অসাড় হইয়া থাকিবে ? শ্রীজ্ঞানেন্দমোহন দাস। সমসাময়িক ভারত । ( পিরিউর ফরাসী হইতে ) গ্রাম্য-ভারত | X যে ভারত স্বকীয় চিরন্তন নিশ্চলতার দ্বারা, কালের গতিকে প্রতিরোধ করিয়া আসিতেছে সেই লৌকিক ভারতকে যদি দেখিতে চাও, তবে ক্ষীণ রেখায় অঙ্কিত মেঠো রাস্ত ধরিয়া চল ;—যে রাস্তায় চলিতে চলিতে তুমি জঙ্গলে বেষ্টিত হইয়া পড়িবে,- সেই গরুর রাস্তা, সেই হাতীর রাস্তা। হিন্দুগ্রামের দৃশু অনন্ত সাধারণ । মে মাটার দেয়াণ, গ্রামকে প্রতিবেশী হইতে— মাঠময়দান হইতে পৃথক্ করিয়া রাখিয়াছে, বিদেশীয় কৌতুহলী দৃষ্টি হইতে লুকাইয়া রাখিয়াছে, মনে হয় যেন সেই দেয়ালই, গ্রামের সামাজিক জীবনকে, ধয়ের জীবনকে, আর্থিক জীবনকে, পরিবর্তনের হস্ত হইতে চিরকাল রক্ষা করিয়া আসিতেছে । ইহার সাদৃশু আর কোথাও নাই-- এমন কি, যে দেশের সভ্যতা অনেকটা কাছাকাছি,– সেই সব দেশের মধ্যেও নাই । এই গ্রাম্য সভ্যতার আকার গঠন অতীব জটিল, অতীব নিয়মবদ্ধ, অতীব সুশৃঙ্খল ; প্রথম দৃষ্টিতে মনে হয় যেন অতীব সুকুমার ও ক্ষণভঙ্গুর, কিন্তু এই গ্রাম্য পদ্ধতিই—কি অভ্যন্তরের, কি বাহিরের- সৰ্ব্বপ্রকার আক্রমণকেই প্রতিরোধ করিয়াছে, হটাইয়া দিয়াছে। ইহার নিয়মগুলি কতকটা বন্ধনস্থত্রের দ্যায় ইহাকে বাধিয়া রাখিয়াছে। অভ্যন্তরে,—পরিবর্তনের কোন ইচ্ছা নাই, উন্নতির কোন মৃগতৃষ্ণিক নাই, পথের কোন ক্ষয় নাই ; এবং বাঁহরের আঘা, বাহিরের আক্রমণ, এই গ্রাম্যতন্ত্রকে SAS SAAA AAAASAAAAS AAASASAAAAASAAAA প্রবাসী । ৭ম ভাগ । & صی یمه اتمی -۶۰--مح- حمید - یعتیمه دهه ۰عی- مهم ছিন্ন করিতে পারে নাই--"বরং উহাকে আরও দ্রঢ়িষ্ঠ করিয়া তুলিয়াছে। ইহার দৃষ্টান্ত আর কোন সমাজে পাওয়া যায় না ( আমি উন্নতিশীল সমাজের কথা বলিতেছিনা ) পরন্তু যে জনসমাজ এইরূপ স্বাভাবিকরূপে অবরুদ্ধ, অপরিবর্তনীয়, চিরন্তন, তাহারই কথা বলিতেছি । ভারতীয় গ্রাম, শুধু যে পুরাতত্বের হিসাবে আমাদের কৌতূহল উৎপাদন করে তাহা নহে ; ইহা এখনও সমসাময়িক ভারতের সামাজিক কেন্দ্র হইয়া রহিয়াছে। ভারতের অধিকাংশ লোক-শতকরা ৯০ জন—গ্রামেই বাস কবে । নাগরিক লোকের বিপুল সজঘ অতীব বিরল। কলিকাতা ও বোম্বায়ের অধিবাসী ৮ লক্ষের অধিক নহে নিউ-ইয়র্ক ও লণ্ডনের তুলনায়, কিংবা চীনের বিপুল মানবমৌচাকের তুলনায়, এই সংখ্যা অত্যন্ত কম। ক্যান্টন্‌-নগরে যাহারা জলের উপর বাস করে, শুধু তাহাদেরই সংখ্যা ৮ লক্ষ। এ দেশে ব্যবসায়াদি বিনষ্ট হওয়ায় অনেক লোকে বাধ্য ইষ্টয় কৃষিক্ষেত্রের আশ্রয় লইয়াছে—বেকার লোকেরা কৃষিকাম্যে ব্যাপৃত হইয়াছে। আমাদের দেশে ইহার বিপরীত অবস্থাচ দেখা যায় । তাই, প্রায় সমস্ত ভারতের লোক--- যাহার স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাইতেছে—তাহারা গৃও গ্রামেই বাস করে । এই সকল গওগ্রাম, পরস্পর হক্টতে বিচ্ছিন্ন, ভূগবদ্ধ ও স্বায়ত্তশাসনাধীন ;– ইহাদের জনসংখ্যা, স্থল বিশেষে ১০০ হইতে ২০০০ । ইহা একটি গুরুতর তথ্য। যে জনসমাজ এরূপ সুরক্ষিত, এরূপ অষ্টেপৃষ্ঠে অবরুদ্ধ যে, বাহিরের বাতাসও সেখানে প্রবেশ করিতে পারে না,— অবগু এরূপ জনসমাজ হইতে ভাবী-ভারত কখনই বিকশিত হইয়া উঠিতে পারে না। স্বাভাবিক যুক্তির বিরোধী হইলেও, এই অবিকৃত লৌকিক সমাজের গঠনপ্রণালী পণ্ডিতমণ্ডলীর অনুশীলনের যোগ্য বিষয়। অবষ্ঠ যুক্তিশাস্ত্রের হিসাবে, ইহা একটা জীবন্ত অসঙ্গতি,—পরস্পরবিরুদ্ধ বাক্য ; ইহা জীবন ও পরিবর্তনকে যেন এক করিয়া ফেলি मृोंtछ । এই অদ্ভূত সমাজ গঠন সম্বন্ধে ইতিপূৰ্ব্বে অনেক আলোচনা হষ্টয়া গিয়াছে, কিন্তু তাহার মধ্যে শাস্তভাব পরিলক্ষিত হয় না।, এই বিষয় লইয়া, ঐতিহাসিক, ও ব্যবস্থা-শাস্ত্রজ্ঞের এখনও যুদ্ধ করিতেছেন। কেননা, মেন-সাহেবের মতামু