পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৪০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্রমে এলে গাঢ়তর সন্ধ্যার সে ছায়া নামিয়া ধরণী পথে। নলিনীর বুকে চিন্তাভার নেমে এলে । “বিমল এখনো আসিল না” কেন তাই করিতেছে মনে । কহিল সুমন্ত পরে, “আসিলে যে পথে বিমলের তরী সবে পাওনি দেখিতে ?” এই কথা শুনি যেন নলিনী আননে পড়িল বিষাদ ছায়া, চোকে অশ্ৰুজল পুর্ণ হয়ে এল শেযে, কম্পিত বচনে 'কহিল সে “চলে গেছে -- কবে চলে গেছে ?” তার পর রাখি মুথ স্বমস্তের বুকে, আর এই দুঃখ ভার সহিতে না পেরে কঁাদিতে লাগিল বালা । সুমন্ত তখন বিষাদ মিশ্রিত স্বরে কহিল তাহারে “কেঁদোনা নলিনী, শুধু আজ চলে গেছে নিৰ্ব্বোধ বালক মোরে রাখিয়া একেলা পশুপাল সনে শুধু। প্রতিদিন তার মন হত শান্তিহীন, দুঃখের আবেগ সহিতে না পেরে শুধু তোমারি কাহিনী কহিত আমায় তার দুঃখভর প্রাণে । অবশেষে আর কিছু করিতে না পেরে পাঠালেম তারে আমি বাণিজ্যের তরে । যদি সেই কোলাহলে, কিছু ভুলে যায় আনন্দে প্রফুল্ল হয় সে বিধঃ মঙ্গ এই লাগি পাঠালাম। কেন বঁাদ তুমি সে পারেনি বহু দূবে যাইতে কখনো, উজানে বাঠিছে তরী, কাল প্রভাতের সেই রাঙা আলোটুকু জাগিবাব আগে আমরা ও গর সাথা হঠল মলিনী বাধিয়া আনিব পুনঃ এই কারাগারে ।” আনন্দের কোলাই লৈ আসিল ভাসিয়া তটিনীর কুল হতে । বীণা লয়ে করে সেই গ্রামবাসী বৃদ্ধ করিল প্রবেশ ‘মহিমা’ তাহার নাম স্বমস্তের সাথে বহু দিন তুষ্ট জনে একই আলয়ে কাটায়েছে তাহীদের জীবনের দিন । জীবনে ছুইটি শুধু অতি প্রিয় তার সেই বীণাথানি আর শুভ্ৰ কেশভার । সকলে হেরিয়া তারে কহিল হরষে “মহিমা অমর হও” । কি হাস্ত উচ্ছ,াস ভাসিল সে পথশ্রাস্ত মলিন আননে ! নলিনীরে লয়ে সাথে বৃদ্ধ পুরোহিত অগ্রসর হইলেন আবাহন তরে।

  • ه- " مه- ححه دهه۰ مه ------ هی جی دعاحم

[ ৭ম ভাগ বৃদ্ধ সে সুমন্ত হর্ষে উন্মাদের পারা আলিঙ্গন করি তারে জড়ায়ে ধরিল। তার পর প্রশ্ন রাশি প্রত্যেক আননে কেহ করে এক প্রশ্ন, কেহ অন্ত এক । সকলে দেখিল চেয়ে সুমন্ত সে আজি ধনবান, কাননের যেন অধিপতি । দেখিল পশুর পাল অগণন যাহা চারিদিক মুপৈশ্বৰ্য্য রয়েছে ছড়ায়ে । শুনিল সুমন্ত মুথে কি দারুণ দুঃখে কি অসীম ধৈর্য্য লয়ে স্থাপিল আলয় । সকলে ভাবিল মনে এইরূপে তারা সুমন্তের পদচিহ্ন ধরি অগ্রসর হবে কার্য্যক্ষেত্র পানে । তার পরে সবে আসিল গৃহের মাঝে, আহারের দ্রব্য সজ্জিত সম্মুখে সুথে করিল আহার । আহারে আনন্দে মত্ত, হয়েছে সকলে । সন্ধ্যার তাধর রাশি পড়িল ছড়ায়ে চারিদিকে, তার পর রজত কিরণে হাসিয়া উঠিল যেন প্রকৃতি সুন্দরী। সকলি নারল যেন, সমতল ভূমি কুয়াসা আবৃত সেই চাদের কিরণে হয়েছে উজ্জ্বল। উপরে চাহিয়া আছে ছল ছল তাগি লয়ে নক্ষত্র সকল । গুহের মাঝারে জ্বলে উজ্জ্বল প্রদীপ, গৃহকর্তা সকলেরে যোগায় আহার, করাতেছে পরিতোষ সাদবে যতনে। কহিল সমস্ত সবে “প্রিয় মিত্রগণ এতদিন গুপ্ত হাবা, মিত্র হারা হয়ে ভ্ৰমিয়াছ পথে পথে, এস গুঙ্গে আজ এই গুচ চির দিন তোমাদের তরে মুক্ত জেনো মিত্র সব । পুরাতন সেই আমাদের জন্মভূমি, নিজ গৃহ হতে এ গুণ্ঠ মধুব আরো । এখানে আসেনা দুরন্ত হিমানী কভু তুষারের সম, জমাট করেন তাহা দেহের শোণিত এখানে ও নেই সেই প্রস্তর বন্ধুর ভূমিতল । সমতল শস্তেতে শু্যামলা এই ভূমি। সারাটি বরষ ধরে হেথা নেবু গাছ ফুলময়, ফলে ভরা নত। শু্যামল দুৰ্ব্বার তল চির বসন্তের। উন্মুক্ত কানন হেথ পশুদের তরে। আমরাও পাই স্থান মাগিলে রাজায়, - আপনারা কাট কাটি লইয়ে কুঠার