পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৪০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২শ সংখ্যা । ] বহে গেল, অশ্রজলে র্যাথি দুটি তার ভরিয়া উঠিল। সে বুঝিল নিজ প্রাণে পরের বেদনী রাশি । তার পর ধীরে আপন গোপন সেই প্রণয় কাহিনী বলিল সে, শুনি তাহা স্তব্ধ সে রমণী ; যেন তারে কে ডুবাল আতঙ্ক আঁধারে। তার পর ধীরে ধীরে কহিল তখন, “কোন দেশে তুষারের বর একজন লভেছিল নারী এক,-বিবাহের পরে হইলে প্রভাত তাহা মিলাইয়া গেল রবির কিরণ পেয়ে । তার পর ক’নে * না হেরি সে স্বামী তার ছুটিয়া চলিল দুর বনে অনুসরি, আসিলনা আর।” পুনঃ নলিনীরে কহে “অন্য দেশে এক কিশোরী কুমারী ছিল, ছায়া দেখি শুধুg সঁপেছিল প্রাণ মন, মনে হত তার গাছের ছায়ার তলে সন্ধ্যার আঁধারে আসিত সে। নিশ্বাস তাহার সন্ধ্যাবায়ু সম পশিত শ্রবণে । মৃঢ় মর মর কহিত তাহারে যেন প্রণয়ের কথা । এইরূপে অমুসরি প্রণয়ীর পথ চলিল কিশোরী বনে, আসিল না আর, ফিরিয়া সে স্নেহময় পিতার আলাসে।” নীরবে নলিনী শুনে বিচিত্র কাহিনী যেন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে, ভয় ও বিস্ময়ে ভরেছে হৃদয় তার, শুনিতে শুনিতে এষ্ট ঐন্দ্রজালময় কাহিনী সকল । ভাবে মনে চারিদিকে সবি মন্ত্রময়, মায়াজালে বাধিয়াছে, সঙ্গিনী তাহা যেন গো মায়াবী কোন রয়েছে বসিয়া । ধীরে ধীরে উচ্চ সেই শৈল চূড় পরে উঠিল মধুর শশী আলোকিত করি সেই সে শিবির ক্ষুদ্র। পরশিল ধীরে নিদ্রিত পল্লবদলে রহস্ত মাখান সে উজল আলো দিয়ে। সাদরেতে যেন বনভূমি হৃদয়েতে পড়িল ছড়ায়ে। কি মধুর মৃত্যুরবে ছুটিছে তটিনী, বৃক্ষ শাখা ফেলি শ্বাস গোপনেতে যেন কহে কথা তার সনে। নলিনীর বুকে প্রণয়দেবতামূৰ্ত্তি, প্রণয়ের আলো জলিতেছে, কিন্তু তার হৃদয়েতে আজি অজানা বিষাদ আর ভয় মিশে আছে। পশেছে বিষাক্ত সৰ্প বিহগের নীড়ে। • দলিত কুসুম। مه - عصي محمد ---- تهیه - ** ب-ه

  • e &

• **...** AAAAS SASAAAA AASAASAASAASAAAS ধরণীতে ভয় শুধু তারাতে তাহার। আকাশ হইতে ভেসে স্বৰ্গরাজ্য হতে পবিত্র নিঃশ্বাস যেন, রজনীর সেই স্নিগ্ধ সমীরণ সনে যেতেছে বহিয়া । সহসা সে মনে করে সেও যেন সেই রমণীর মত ঘুরে ছায়ার পশ্চাতে। এই সব চিস্তাবকে, ক্লান্ত হয়ে বালা ঘুমায়ে পড়িল, সব চিন্তা গেল দূরে। পর দিন প্রাতঃকালে যাত্রার সময় বাহির হতেছে সবে, অনাথ রমণী কহিল তখন “ওই পশ্চিমের তীরে পৰ্ব্বতরাশির মাঝে আছে ক্ষুদ্র গ্রাম আছেন দয়াল এক পুৰোহিত জন সাদবে শিথান সবে ধর্মের কাহিনী । শুনি সেই পণ্য কথা ভাসে অশ্রুঞ্জলে যত নরনারী সবে।** নলিনী তখন সহসা বাকুল হয়ে কহিল "ত্ববায় চল তবে সেইখানে, শুভ সমাচার আছে আমাদের তবে চল সেইখানে ৷” সেই পথে তারা সবে হল অগসর। যখন ডুলেছে স্থৰ্য্য পশ্চিম গগনে ; শুনিল সকলে তার বাক্য কোলাহল, নেহারিল দূরে সেক্ট শিবির সকল । বৃহৎ পাদপ তলে নতজান্ত হয়ে পবোহিত করিছেন প্রার্থনা তখন । বৃক্ষ সেষ্ট ছায়াবৃত ঘন লতিকায়, বসিয়াছে সারি সারি মত নরনারী নতজার হয়ে সেথা। প্রার্থনা মন্দির তাতাদের বৃক্ষতল । মানব সঙ্গীত গাঙ্গে, সেই সাথে, যেন বৃক্ষলতা মিলে গাহিতেছে সমস্বরে । আগন্তক সবে অগ্রসরি সেই স্থানে হল উপনীত । তারাও বসিল সবে নতজানু হয়ে মিলাইল হৃদি প্রাণ প্রার্থনা সাহত । প্রার্থন হইল শেষ, আশীৰ্ব্বাদ ধারা বরষিল পুরোহিত। যেন বপনের বীজ ঝরে হস্ত হতে ঝর ঝর করি । সদাশয় পুরোহিত ক্রমে উপনীত হ’ল আগন্তুক পাশে, জিজ্ঞাসি কুশল সাদরে আহবান করি। যবে তারা সবে উত্তরিল বহুদিন পরে গুনি পূনঃ 爱 মাতৃভাষা পুলকিত হল হিয়া তার। সাদরে ডাকিয়ে লয়ে আসিলেন গৃহে