পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৪০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২শ সংখ্যা । দলিত কুহুম S AASAASAA AAAS AAASASASeSeeSeeSAAAA অন্ত জীবনের উয়া জানাইছে যেন ; যl.এসে জাগিবে তার জীবনের পারে এ ঘুেন জানায় এসে তারি সমাচার। & কোন এক মধুময় তটিনীর তীরে আছে শান্তিময় এক সুন্দর আশ্রম, সৈই অীশ্রমের ধারে ঝরিছে সদাই ঝরঝরে তটিনীর স্নিগ্ধ বারিধারা । মধুর বহিছে বায়ু। ফল বৃক্ষগুলি ফলভারে অবনত । সেষ্ট গ্রামবাসী রেখেছে পথের নাম কাননের নামে । সেই স্থানে অবশেষ লভেছে আশ্রয় নলিনী বিষাদময়ী । সেই সে আশ্রমে ছিলেন ধাৰ্ম্মিক এক। র্তাহার নিকটে তাহার শিষ্যের দলে রহিল সে গিয়া । যবে সে ধায়িক জন ছারততু ত্যজি গেলেন স্বরগপথে, শত শিষ্য মাঝে নলিনী একাকী ছিল তাহার নিকটে। এ দেশ তাহার যেন সবি পরিচিত । হৃদয় তাহাব যেন হল মুগ্ধ প্রায় । সেই গ্রামবাসী সবে শান্ত ও সরল, মনে পড়ে দেখিলেই, অতীত বিস্তুত আপন জনমভূমি যেগানেতে তার সকলে সবার ছিল ভ্রাতার সমান । বিফলে নৈরাশ্বে ঘুরি গ্রাম হতে গ্রামে অবশেষে শান্তভাবে রহিল সেথায় । জগতের আশা তার গিয়াছে ফুধায়ে, যেমন আলোর পালে পল্লবের দল চেয়ে থাকে, সে ত সেই মত চেয়ে আছে পরলোক পানে শুধু। যেমন পৰ্ব্বত হতে প্রভাতেব কুয়াস আঁধার যায় দেখে চেয়ে অতি নিম্নে হাসিছে কেমন রবি করে আলোকিত, শ্রাম উপত্যক, ছুটিছে তটিনী, জাগে কত গ্রাম, দেশ, তেমনি অন্তর হতে গিয়াছে আঁধার দেখিছে সে অতি দুরে রয়েছে এ ধর নহে সে তাধার আর, প্রেম আলোময়। যত পথ দেখা যায় প্রশান্ত মধুর, বিমল বিস্মৃত নহে অস্তরে তাহার রয়েছে আসন সেথা প্রেমদেবতার। তেমনি প্রণয়ে পূর্ণ, সোহাগে মধুর, আরও মধুরতর স্মৃতি আজি তার হয়েছে নলিনীপ্রাণে বিরহে তাহার । , a༠༢ বর্ষ যায় কত, তবু স্মৃতি সেই মত তাহা কভু আর নাহি হবে অন্তরূপ। ধৈর্যা ধরি করিয়া সে আত্মবিসর্জন পরের সেবার তরে, করে সমর্পণ আপন জীবন তার । দুঃখ ও বিরহে শত পরীক্ষায় শিক্ষা লভেন্থে সে আজ । বর্বজীবে সমভাবে করিছে করুণা ভালবাসা ছড়াষ্টয় পড়ে চারিধারে ; যেমন স্ববাস কোনু স্বগন্ধ হইতে বাহুিরিলে, সে মগন্ধ নষ্ট নাহি হয় । জগতের আশা আর, জীবনের আশা নাহি তার, কায়মনে জুড়াইতে চায় ত্যজিয়া জীবন সেই অনন্তের পায়। এইরূপে বহুকাল কাটাল নলিনী, আহত রুশ্নের সেবা করিল সেবিকা । কখনো নির্জনে কোনো দরিদ্র কুটীরে, কখনো সে জনাকীর্ণ কোনো গৃহমাঝে যেখানেতে দরিদ্রতা, বিষাদ, অভাব, গোপনে লুকায়ে আছে সূৰ্য্যকর হতে, যেখানে দুঃথে ও রোগে বিষাদ মাঝারে অনাথ! পড়িয়া আছে। প্রতি রজনীতে ধরণী ঘুমায় যবে, প্রহরী স্থাকিয়! যায়, দেখে রাজ্য মাঝে সমস্ত মঙ্গল, দেখে সেও কোনো গুহে জ্বলিতেছে আলো নলিনা একাকী করে দুঃখীদের সেবা । প্রভাতের উঘালোকে গ্রামবাসী যবে, ফল ফুল লয়ে যায় বিক্রয়ের তরে, দেখে তারা, শাস্ত সেই মলিন আননে নলিনী ফিরিয়া যায় গুহেতে আপন । সহসা সে গ্রামে যেন ঘিরিল বিপদ, আশ্চর্ম্য ঘটনা হল, বল্প পারাবত ঢাকিয়া সুৰ্য্যের কর উড়িল গগনে শস্ত মুখে লয়ে । সহসা শবৎকালে সমুদ্র জোয়ারে যথা ভাসায় প্রান্তর, ছুটে রজতের ধারা ক্ষীণা স্রোতস্বিনী, তেমনি মৃত্যুর বাণ আসিল ভাসিয়া ভাসাল জীবন নদী। ধন রত্নবাশি কিছুতেই পারিল না রোধিতে তাহায় । রূপ ছায় ভুলিল না নিষ্ঠুর শমন। সকলেরি সমভাবে করিল সংহার। কেবল দরিদ্র যারা, যাহাদের নাই আপনার প্রিয়জন, নাহি গেহ যার, তাহারা আশ্রয় লভে অনাথ আশ্রমে,