পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৪১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২শ সংখ্যা । ] & ماه و وهه عهصد و دهم. مم*** ه- ها---- . লর্ড কেলভিনের প্রধান গবেষণাগুলির মধ্যে কেবল দুই একটি উল্লেখ করা গৈল মাত্র। ইহা ছাড়া তিনি আরে৷ যে সকল গবেষণা করিয়াছেন তাহার গুরুত্ব ও সংখ্যা এত অধিক যে, তাহীদের বিশেষ বিবরণ দিতে হইলে একখানি প্রকাও গ্রন্থ ইষ্টয়া দাড়ায়। পঞ্চাশ বৎসরে তিনি নানা বৈজ্ঞানিক সমাজে প্রায় তিনশত প্রবন্ধ পাঠ কবিয়ছিলেন । বলা বাহুল্য প্রত্যেক প্রবন্ধই. এক এক নতন তত্ত্বের অবতারণা করিত। জড়বিজ্ঞানের কোন শাখাই,তাহার গবে* ষণা হইতে বাদ পড়ে নাই। জড়ের উৎপত্তিতত্ত্ব প্রভৃতি কঠিন গণিতিক ব্যাপার হইতে আরম্ভ করিয়া জলের কল প্রস্তুত করা প্রভূতি ব্যবহারিক বিজ্ঞানেব ক্ষুদ্র অংশগুলিও তাহার চিন্তার বিষয় ছিল । সকল বিজ্ঞানেষ্ট তিনি9এ প্রকার ছাপ রাখিয়া গেছেন যে, তাহা আর মুছিবর নহে। বিধাতা যেমন তাঙ্কণর সর্বশ্রেষ্ঠ আশীৰ্ব্বাদগুলি দ্বারা ভষিত করিয়া কেলভিনকে জগতে পাঠাষ্টয়াছিলেন, জগতেৰ লোকও সেই সকল আশীৰ্ব্বাদের সমুচিত সন্মান দেথাইতে ভুলে নাই । মান ও ঐশ্বৰ্য্য অযাচিতভাবে তাঙ্গার দ্বারস্থ হইয়ছিল। দরিদ্র অধ্যাপকের পুত্ররূপে জন্মগ্রহণ করিয়া লর্ড উপাধি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, এবং দেশবিদেশের বিখ্যাত বিদ্বৎসমাজ মাত্রেই তাহাদের শ্রেষ্ঠ উপাধিগুলি কেলভিনকে দান করিয়া আপনাদিগকে গেীববান্বিত মনে করিয়াছিল। প্রাচীন বৈজ্ঞানিকদিগের জীবনের ইতিহাস আলোচনা করিলে একটা বুহৎ ব্যাপার আপনা হইতেই আমাদের নজরে পড়ে। মনে হয় অনেক প্রাচীন বৈজ্ঞানিকই র্তাহীদের আবিষ্কৃত তত্ত্বগুলিকে মানুষের প্রাত্যহিক কার্য্যে লাগাইতে যেন ঘৃণা বা অবমান জ্ঞান করিতেন। বড় বড় প্রাচীন বৈজ্ঞানিকগণ র্ত্যহাদের জীবনের নানা কার্যো যে তীক্ষ বুদ্ধির পরিচয় প্রদান করিয়াছেন, তাঙ্গ দ্বারা হাতেকলমে কাজ করার কৌশল তাঙ্গর অতি সহজেই আয়ত্ত করিতে পারিতেন । সুতরাং ঐ ভাবটা তাহাদের বুদ্ধির জড়িমা প্রস্থত নয়। কাজেই স্থানকালপাত্রের এক অদ্ভুত সন্মিলনজাত ঘৃণা বা অবমান বোধকেই তাহার উৎপত্তি বলিতে হয়, কথিত আছে মার্গিলসের (Marcellus)এর নৌবাহিনী সিরাকিউসের বিরুদ্ধে পরিচালিত হইতেছে জানিয়া, সুপ্রসিদ্ধ বৈজ্ঞানিক আর্কিমিডিস অত্যন্ত তাচ্ছিল্যের সহিত

লর্ড কেলভিন । १>१ বলিয়াছিলেন, তাহার নিজের • উদ্ভাবিত যন্ত্রের তুলনায় । নৌবাহিনীর ব্যবস্থা অতি তুচ্ছ। বলা বাহুল্য আর্কিমিডিসের নৌচালনযন্ত্র তখন প্রস্তুতই হয় নাই, কেবল কাগজকলমে তাঙ্গর উপযোগিতা দেখিয়া, তিনি মার্সিলসের নৌবাহিনীকে অকিঞ্চিৎকর সাব্যস্ত করিয়াছিলেন। ইষ্টারি অসাধারণ শাস্ত্রজ্ঞানকে কাজে লাগাইবার জন্ত রাজা হায়রোকে Hiero) কত কষ্ট স্বীকার করিতে হইয়াছিল পাঠক তার গল্প অবতা শুনিয়াছেন । ইউডক্সস্ (Eudoxus) ও আকইটাস নামক ষ্টেজন প্রাচীন পণ্ডিত সৰ্ব্বপ্রথমে জ্যামিতিকে ব্যবহারিক জ্যামিতিতে পরিণত করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন । কাজেই জ্যামিতিকে পথির পাতা হইতে বাহির হইয়া মটে মজুর ও কলকারখানার ভিতরে আসিয়া দাড়াইতে হইয়াছিল। জগদ্বিখ্যাত পণ্ডিত প্লেটাে তখন জীবিত ছিলেন। এ পর্য্যন্ত যে শাস্ত্র কেবল পণ্ডিতমণ্ডলীরই সম্পত্তি ছিল, তাহার এই ছৰ্দশা তাঙ্গার সহ হয় নাই । প্লেটে পরম ভাষায় ঐ স্বেচ্ছাচারীদিগকে ভৎসনা করিয়াছিলেন । বলা বাঙ্গলা আধুনিক বৈজ্ঞানিকদিগের জীবনে এই দুঃসহ পাণ্ডিত্যাভিমান এখন আর মোটেই নাই। ইষ্ঠার একাধারে কঠোর তপস্বী ও অক্লান্তকৰ্ম্মী। লর্ড কেলভিনের জীবনে বৈজ্ঞানিকদিগের এই আধুনিক আদর্শটি সম্পূর্ণ ফুটিয়া উঠিযাছিল। জড়তত্বের অতি গৃঢ়রহস্তোর ক্ষমীমাংসার জন্য র্তাহাকে ধ্যানমগ্ন মুনির ন্যায়ষ্ট গবেষণানিরত দেখা যাইত, এবং স্বাবিষ্কৃত তত্ত্বগুলিকে সাংসারিক কাজে লাগাইবার সময় তিনি সাধারণ শ্রমজীবীরষ্ট মত অক্লান্তভাবে পরিশ্রম করিতেন। বোৎলো, ল্যাংলে ও টিনডাল প্রভৃতি অনেক স্বনামখ্যাত বৈজ্ঞানিক তাহাদেব আবিষ্কৃত তত্ত্বগুলিকে স্বহস্তে নানা কার্য্যে লাগাষ্টয়া মানুষের মুখসাচ্ছনা বৃদ্ধি করিয়াছেন সত্য, কিন্তু এ বিষয়ে বোধ হয় কেহই লর্ডকেলভিনের সমকক্ষ হইতে পারেন নাই। নব নণ যন্ত্র উদ্ভাবন করিয়া ইনি জগতের যে উপকার সাধন, করিয়াছেন, তাহ প্রকৃতই অতুলনীয়। আত্মশক্তির উপর সন্দেহ ও বিশ্বাসের শিথিলতা মচুন্যত্ব বিকাশের প্রধান অন্তরায় । ইহার ঘাড়ে চাপিলে মানুষ কোনক্রমে মাথা তুলিতে পারে না। লর্ড কেলভিনের জীবন আলোচনা করিলে দেখা যায় তিনি এই দুই শক্রকে w