পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$:సి లి { প্রাপ্ত হইয়া পরিপুষ্ট হয়। কিন্তু আমাদের ভারত উন্ট রাজার দেশ, এখানকার বিদেশী রাজা লইতে জানেন, দিতে বড় কুষ্ঠিত। কলিকাতায় একটি অন্ধআশ্রম ও বিদ্যালয় আছে, গবর্ণমেন্ট ও নুনিসিপালিটি যৎকিঞ্চিৎ কাঞ্চনমূল্য স্বরূপ সাহায্য করিয়া থাকেন। কিন্তু ইহার প্রাণ ও পোষক ইংরেই প্রতিষ্ঠাতা শ্ৰীযুক্ত লালবিচার সাহা। ইহার নাম স্বদেশী সভার সংবাদপাঠকদিগের নিকট অপরিচিত নহে । ইনি একজন বাঙ্গালী খৃষ্টান। এই স্কুলের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস সংক্ষেপত এই— ১৮৯৪ সালে লালবিহারী বাবু গার্থওয়েট সাহেবের সহিত পরিচিত হইয় তাহার নিকট অন্ধ শিক্ষণপ্রণালী কিঞ্চিৎ শিক্ষা করেন। সেই সাহেব একটি অন্ধ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করিবার সঙ্কল্প করিয়া স্থির করেন যে লালবিহারী বাবু সেই স্কুলের শিক্ষক হইবেন । কিন্তু চারি বৎসরেও তাহ কার্য্যে পরিণত হইল না । ১৮৯৭ সালের নভেম্বর মাসে লালবিহারী বাবু রেভারেও জিউসনের সাক্ষাৎ লাভ করেন। তিনি লালবিহার বাবুকে এক অন্ধস্কুল খুলিতে বলেন। লালবিহারী বাবু অর্থের অসদ্ভাব জ্ঞাপন করেন--কারণ অন্ধগণ প্রায়ই অনাথ এবং তিনি নিজেও ধনবান নহেন। পাদরী সাহেব বাইবেলের উক্তি ëuth of oil on “The Lord is my shepherd, I shall not want ;" nofs Fox statą grą, আমার কখন অভাব হইবে না। তখন তাহারা একটি গাছের তলে গিয়া উপাসনা করিয়৷ এই ভাবী প্রতিষ্ঠানের মঙ্গল প্রার্থনা করেন। এই ঈশ্বরবিশ্বাসের কথা যখন লালবিহারী বাবুর লেখায় প্রথম পাঠ করি, তখন আমি অশ্রুসংবরণ করিতে পারি নাই। মঙ্গলময়ের শুভনামে যাহার প্রতিষ্ঠা তাহার উন্নতি অবশ্যম্ভব। তিনি এই স্কুলের বিষয়ে একটি ঘোষণা প্রচার করেন। সপ্তাহকাল পরে একজন অন্ধ তাহার নিকট শিক্ষার্থ হইয়া উপস্থিত হন। তখন লালবিহারী বাবু বিলাতে পত্র লিখিয়া উন্নত শিক্ষা প্রণালী ও যন্ত্রাদি আয়ত্ত করিতে চেষ্টা করেন। ক্রমে এক বৎসরে স্কুলে আরো তিনটি বালক প্রবিষ্ট হয়। এক বৎসরে এই সব বালক লিখিতে পড়িতে পটু + &धयांनी । বহু রাজ্যে রাজকোষ হইতে অপ্রতিষ্ঠান সকল সাহায্য [ १ब छांण । হয়। ১৮৯৯ সালের মার্চ মাসে জেনারেল এসেম্রি কলেজের হলে এক সভা হয় এবং পরম ভক্তিভাজন স্বৰ্গীয় কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় সেই সভার নায়ক ছিলেন। আমি সেই সভায় উপস্থিত ছিলাম—এবং একজন জন্মান্ধ লিখিতে পড়িতে অঙ্ক কশিতে পারে ইহা সকলের নিকট অতি কৌতুককর আনন্দব্যাপার বোধ হইয়াছিল। সেই সভায় কালী বাবু বালকদিগকে যে শ্রতিলিখন দেন তাহারই এক খগু অন্ধলিপি আমি লালবিহারী বাবুর নিকট চাহিয়া লইয়া আজো সযত্নে রক্ষা করিতেছি। *, বর্তমানে এই স্কুলে ১৩ জন অধিবাসী ছাত্র ও ২ জন বিসিক ছাত্র আছে। প্রায় সকলেই অনাথ। দুইটি বালিকাও আছে। স্কুলের প্রথম ছাত্র এখন সেই স্কুলেই শিক্ষকতা করেন। আর একজন ছাত্র অম্বিকাকালনায় শিক্ষকতা করেন, দুই জন সঙ্গীত সম্প্রদায়ে নিযুক্ত হইয়াছেন, এবং অপর একজন বেতের কারুকরী শিথিয়া মাসে ১৫১৬২ টাকা অর্জন করিতেছেন। বৰ্ত্তমানে ৪ জন শিক্ষক আছেন। লালবিহারী বাবুর পুত্রও শিক্ষকতা করেন। একজন সঙ্গীতশিক্ষক ও এক জন বেতের কারুকরও আছেন । অগ্রযায়ী বালকের ইংরাজী তৃতীয় পুস্তক ও বোধোদয় পড়ে। ভগ্নাংশিক ভাগ অঙ্ক কশে। অন্ধ বালকেরা সাধারণ মুদ্রিত পুস্তক পড়িতে পারে না ; তাহার হাতের অঙ্গলি ম্পর্শে উচু উচু অক্ষর অনুভব করিয়া পড়িতে শিখে। সেই সকল অক্ষরও প্রচলিত অক্ষরের মত নহে ; কতকগুলি সজ্জিত বিন্দুসমষ্টি মাত্র--যেমন খেলিবার তাসের ছক্কা পঞ্জ চেক প্রভৃতি। কাগজের উপর সূচ ফুটাইয়া অন্ধ বিন্দু সঙ্গেতে অক্ষর রচনা করে, পরে সেই কাগজখান উল্টাইয়৷ ধরিয়া স্বচিবিদ্ধ কাগজের পৃষ্ঠে উচু উঁচু বিন্দুর উপর আঙুল বুলাইয়া দ্রুত, ও অনর্গল পড়িয়া যাইতে পারে। মুদ্রিত পুস্তকের অভাবে শিক্ষার ব্যাঘাত ঘটতেছে। লালবিহারী বাবু টাইপ দিয়া এম্বাস করার মত করিয়া পুস্তক মুদ্রণের প্রথ উদ্ভাবন করিয়াছেন, কিন্তু অর্থাভাবে এই গুভকাৰ্য্য সম্পন্ন হইতেছে না। অন্ধদের এই লিখন প্রণালীকে উদ্ভাবয়িতার atutonto Braille system on # এই বিদ্যালয়ে জাতিধৰ্ম্ম নির্বিচারে সকল অন্ধকে গ্রহণ