পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭ম সংখ্যা । ] করা হয়। বিদ্যালয়ে বেতন দিতে হয় না, অধিকন্তু বাসস্থান আহার ও অদ্যান্ত আবশ্যকীয় দ্রব্যাদি ছাত্রদিগকে দেওয়া হয়। লালবিহারী বাবু প্রকৃত প্রাচ্য আদর্শে যে মঙ্গলব্রত গ্রহণ করিয়াছেন, ঈশ্বর তাহাকে জয়যুক্ত করিবেনই। ছাত্রগণকে মাছর, চিক, চেয়ার প্রভৃতি বুনিতেও শিক্ষা দেওয়া হয়। অর্থ স্বচ্ছলতা ঘটিলে ছুতার ও তাতির কাজ প্রভৃতিও শিক্ষা দিবার বন্দোবস্ত হইতে পারে। লালবিহার বাবু সঞ্চিত সৰ্ব্বস্ব ও গৃহিণীর অলঙ্কার বন্ধক দিয়া যে বিদ্যালয়টিকে প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন তাহা এক্ষণে সাধারণের স্বেচ্ছাকৃত দানে এবং গবর্ণমেণ্ট ও মুনিসিপালিটির প্রদত্ত ৫০০ টাকা সাহায্যে একরূপ চলিতেছে। কিন্তু ইহার নিজস্ব গুহ নাই—ভাড়াটিয়া বাড়ীতে বিদ্যালয় অবস্থিত, মাসে ৬২ টাকা বাড়ীভাড়া দিতে হয়। এই শুভ অনুষ্ঠানের সহায় হইতে সকলকে অনুরোধ করি। আজকাল এই বিদ্যালয়ের পরিচয় বোধহয় অনেকেই পাইয়াছেন, কারণ কলিকাতার দুইবারের কংগ্রেস প্রদর্শনীতেই লালবিহারী বাবুর ছাত্রবৃন্দ উপস্থিত ছিল । এই বিদ্যালয়ের দু একটি ছাত্রের ইতিহাস বড় করুণ। একজন ধূৰ্ত্ত একটি পাঞ্জাবী বালককে চুরি করিয়া লইয় কলিকাতায় ভিক্ষণ করাইয়া উপার্জন করিবার জন্য আনিয়াছিল। সেই আত্মীয় স্বজনের সঙ্গবিরহিত বালককে স্বল্পীহারে রাথিত এবং ভিক্ষালব্ধ উপার্জন অল্প হইলে তাছাকে প্রহার পর্য্যন্ত করিত। এই অবস্থায় সেই বালকটি অত্যন্ত পীড়িত হইয় পড়ে এবং তাহাকে ক্যাম্বেল হাসপাতালে পাঠান হয়; সেখানকার কর্তারা তাহাকে অন্ধাশ্রমে পাঠাইয়া । দেন । যখন সে অন্ধাশ্রমে আসিল তখন অতি রুগ্ন ও সম্পূর্ণ উলঙ্গ ছিল। সে ছবিতে স্কুলের ঐকতান সম্প্রদায়ের বাম পাশ্বে দাড়াইয়া বঁশি বাজাইতেছে দেখা যাইবে । সম্প্রতি একজন সাওতালবালিকা আশ্রমে ভৰ্ত্তি হইয়াছে । জঙ্গল বিভাগের একজন কৰ্ম্মচারী তাহাকে বনের মধ্যে পাইয়াছিলেন। তাহার লম্বা চুল ও নর্থ ও উলঙ্গ নোংরা চেহারা দেখিয়া তাহাকে মানুষ মনে হইত না। সে কথা কহিতেও জানিত না। পনর দিন পরে সে সাঁওতালি ছ একটা কথা বলিতে আরম্ভ করে। লালবিহারী বাবু সাওতালি জানেন। এখন সে অল্প অল্প কথা বলিতে পারে, চিত্র পরিচয় । రిస్తా: এবং সাঁওতালি কথা বুঝিতে পারে। সে,হাসিতে ও দৌড়া দৌড়ি করিয়া খেলিতে ও উলঙ্গ থাকিতে ভালবাসে—তাহার বয়স ১১।১২ বৎসর। সে সাঁওতালি বুঝিতে পারে বলিয়া মনে হয় যে সে অন্ন বড় হইলে জঙ্গলে পরিত্যক্ত টুয়াছিল। এই স্কুলের মত আরো স্কুল ভারতের প্রধান প্রধান নগরে প্রতিষ্ঠিত হওয়া নিতান্ত আবশুক হইয়াছে। & চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় । - ممسم-سسمصممس مستعملمسه চিত্র পরিচয় । মহারাজ শিবাজী সাতারার দুর্গচূড় হইতে একদিন দেখিলেন তাহার গুরু রামদাস স্বামী ভিক্ষীয় চলিয়াছেন। শিবাজী ভাবিলেন যে-— “সবই যার হস্তগত, রাজ্যেশ্বর পদানত, তারো নাই বাসনার শেষ।” তথন তিনি একখানি পত্রে আপনার সমগ্র রাজ্য দান করিয়া গুরুর নিকট পাঠাইয়া দিলেন । গুরু শিষ্যকে কহিলেন— “রাজ্য যদি মোরে দেবে কিকাজে লাগিবে এবে, কোন গুণ আছে তব, গুণী ?” শিবাজী বলিলেন যে তিনি গুরুর সেবায় জীবন অতিবাহিত করিবেন। তখন গুরু কহিলেন--- “তবে শোন, করিলি কঠিন পণ অনুরূপ নিতে হবে ভার, এই আমি দিলু কয়ে মোর নামে মোর হয়ে রাজা তুমি লহ পুনৰ্ব্বার ! 来 来源 秦 পালিবে যে রাজধৰ্ম্ম . জেনো তাহ মোর কৰ্ম্ম রাজ্য লয়ে রবে রাজ্যহীন ! বৎস, তবে এই লহ মোর আশীৰ্ব্বাদ সহ আমার গেরুয়া গাত্রবাস ; বৈরাগীর উত্তরীয় । পতাকা করিয়া নিয়ো ।” তদবধি মহারাষ্ট্রদিগের গৈরিক পতাকা প্রচলিত হইয়াছে ইহার মধ্যে রাজধৰ্ম্মের একটি গৃঢ় উপদেশ আছে। রাজ ষিনি, তিনি রাজ্যের দীনতম ভিক্ষুকেরও প্রতিনিধি ; তাহাৰে উদাসীন বৈরাগীর মত রাজ্যেশ্বৰ্য্যে নিম্পূহ থাকিয়া রাজ্যে