পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৪৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭২৬ , SAeSASAAASAAA SS AAAA S AAAAASAAAAMMAeSASAeAASAASAASAA ছিল। কিছু দিন পরে একদিন অনেকগুলি তুষ বাহির করিতে দেখি। বিশেষরূপ লক্ষ্য করার পর দুই চারিটা ধান • দেখিতে পাই । শীতপ্রধানদেশে কোন কোন পিপীলিকার - (Pogonomyrmex barbeatus) *IG @Tß fìRłR জন্য মধ্যে মধ্যে মাটির উপরে তুলিয়া থাকে কারণ অন্তথা স্মৃত্তিকায়সসিক্ত বীজ শীঘ্র অঙ্কুরিত ও নষ্ট হইয়া যায়। দক্ষিণ আমেরিকায় এক প্রকার পত্র-কৰ্ত্তক পিপীলিকা দেখা যায়; উহাদের অত্যাচারে কাফি প্রভৃতি কয়েক জাতীয় উদ্ভিদের চাষ করা সেখানে অত্যন্ত কষ্টকর। উহারা ঐ সব উদ্ভিদের পাত কাটিয়া দলে দলে বহন করিয়া লইয়া যায়। ম্যাকবেথের বির্ণাম বন চলিতে দেখার দ্যায় পাতার আড়ালে পিপীলিকার অদৃশু থাকায় পাতা চলিতেছে দেখিয়া দর্শক অবাক হইয়া যান ; মনে হয় যেন বৃহৎ ছত্র লইয়া একদল বামন যাত্রী তীর্থে চলিয়াছে । ইহাদিগকে ছত্রবাহী পপীলিকা বলা হয়। ইহার যে শুধু গাছের পাতা লইয়া যায় তাহা নহে রাত্রিতে ঘরের মধ্য হইতে খাদ্যদ্রব্য চুরি করিয়া লইয়া যায়। ইহার এত পাতা সংগ্রহ করে যে শুনিলে অবাক হইতে হয়। মেকৃসিকো উপসাগরের নিকটস্থ টেক্সাস প্রদেশে ম্যাককুক (McCook) সাহেব এই জাতীয় পত্ৰকৰ্ত্তকের একটি বাসা দেখিয়াছিলেন। তত্রত্য কৃষকের গর্ত খুঁড়িয়া পিপীলিকাদিগকে নষ্ট করিয়াছিল ; গর্ভটি ১২ ফুট ব্যাসও ১৫ ফুট গভীরতাবিশিষ্ট অর্থাৎ একটি ছোটখাট ঘর বিশেষ ছিল। ঐ বাসার মধ্যে অনেকগুলি কুঠুরী (Chambers) ছিল ; বড় কুঠুরীটি সকলের নীচে দেখা যায় ; উহা একটা আলকাতরার পিপার মত বড় ছিল। এই বৃহদায়তন গৰ্ত্তের অৰ্দ্ধেক স্থান পাতা দ্বারা একবার পরিপূর্ণ করিতে হইলে কতগুলি বৃক্ষকে অকালে নষ্ট হইতে হয় তাহ সহজেই অনুমান করা যাইতে পারে। পিপীলিকারা অত পাতা লইয়া কি করে ? বেণ্ট সাহেব অনুমান করেন ঐ সকল পাতা পচাইয়া সার প্রস্তুত করে। সেই সারের সাহায্যে এক প্রকার Fungus (বেঙের ছাত জাতীয় উদ্ভিদ)এর চাষ করে। বাসাটি যেরূপ বৃহৎ, উহার মধ্যে প্রবেশ করিবার পথও তদনুরূপ বৃহৎ ও বহুসংখ্যক। যাহাতে বৃষ্টির জল পথের মুখ দিয়া বাসার মধ্যে প্রবেশ করিতে না পারে তাহার জন্ত প্রবেশ দ্বারে খিলান - میسرودهای مم**ی AAAS AAASASAAAeSAASAASAASAASAAeS থাকে | [ ৭ম ভাগ, .................................--.l- م...۰*۶۹ی.,==* عبیده কুক সাহেব বলেন যে পত্ৰকৰ্ত্তকের পাতার রস খাইয় অবশিষ্টাংশ দিয়া ঐ সব খিলানের ছা প্রস্তুত করে। আমাদের দেশে সচরাচর দুই জাতীয় সামরিক পিপীলিকা দেখিতে পাওয়া যায়। ১ম—জিঙে। ২য়—ক্ষুদে বা লালপিপড়ে। নবদ্বীপ অঞ্চলে জিঙের অত্যাচার খুব বেশী দেখিয়াছি। উহার যে পথ দিয়া চলে সে পথে কোন জীবের পক্ষে “তিষ্ঠান" আদেী সম্ভবপর নহে। কারণ উহার অত্যন্ত বিষাক্ত। ডেয়ে, মেঝেল বা কাঠপিপড়ে, সুড়মুড়ে বা ধাওয়া প্রভৃতি পিপীলিকারা আহারান্বেষণের জন্ত প্রায়ই একাকী ইতস্ততঃ ঘুরিয়া বেড়ায় কিন্তু রাজী ও জিঙের প্রায়ই দলবদ্ধ হইয়া চলে । কেঁচো বা উই শিকারের জন্ত জিঙার যখন শ্রেণীবদ্ধভাবে চলে তখন মনে হয় যেন আর্থার বন্দর দখল করিবার জন্ত দলবদ্ধ জাপানী-সৈন্ত অগ্রসর হইতেছে। কিছুদূর অগ্রসর হইলে শাখা সারি বাহির হয় এবং দেখিতে দেখিতে নদীয় স্তায় সম্মুখদিকে বিস্তৃত হইয় পড়ে। তখন মনে হয় শত্রুদিগকে ঘিরিবার জন্য আয়োজন করিতেছে। এই সময় অনেক অগ্রগামী বীর (Scouts) ফিরিয়া আদিয়া সংবাদ দেয় ; নূতন নূতন বীর তাহাদের স্থান অধিকার করে এবং কয়েক মুহূৰ্ত্ত মধ্যে শিকারদিগকে ঘিরিয়া ফেলে। যুদ্ধক্ষেত্রের সহিত যেরূপ রসদস্থান বা মুলেৰ (base) যোগ থাকে জিঙাদিগেরও সেইরূপ আহারান্বেষণ স্থানের সহিত বাসার যোগ থাকে। বাসা হইতে ১৬০ ফুট দূরে উহাদিগকে উই সংগ্ৰহ করিতে দেখিয়াছি ; বর্ষাকালে মাঠে উহার কেঁচো ও উই ধরিয়া থাকে। এই জাতীয় পিপীলিকার; আরবদেশীয় বেছইন জাতির দ্যায় দীর্ঘকাল এক স্থানে বাস করে না ; বাসায় খাবার জিনিষ সঞ্চিত না করায় সৰ্ব্বদাই নূতন নুতন স্থানে আহারান্বেষণের জন্য ঘুরিয়া বেড়াইতে বাধা হয়। অগ্রগামী । পিপীলিকার পোকা মাকড় শিকার করিয়া পিছনদিকে চালান করে ; পশ্চাতের সকলে সাইবিরিয়া দেশের নেকৃড়ে । দের (wolves) মত হতভাগ্যদিগকে ছিড়িয়া খায়। পিপীলিকাদের মধ্যে ইহার নেকৃড়ে বিশেষ । ইহারা বহুসংখ্যক একত্রে দলবদ্ধভাবে আহারান্বেষণ করে তাহ পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি। এক এক বাসায় যে কতগুলি জিঙা বাস করে তাহার সংখ্যা করা অসম্ভব। একবার