পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१भ न२थT । ] ও যবের ক্ষেত। মাঝে মাঝে এক একটা গাছের ঝোপ । তার ভিতর থেকে যদি দু’একটা বাশের ঝাড় ও খোড়ে ঘরের চাল উকি মারতো ত দেশের সঙ্গে কোনো তফাৎ থাকত না । কিন্তু এখানে জান ত গ্রাম বলে কোনও জিনিস নেই, ঐসব গাছের ভিতর.একটিমাত্র করে চাষার ঘর, ঘর বলা চলে না, বেশ একটি স্বন্দর বাড়ি। এখানে জমির ত কোনও অভাব নেই, প্রকাও প্রকাণ্ড মাঠের মধ্যে, এইরকম ঘর বেঁধে চাষার দেশময় ছড়িয়ে রয়েছে,-- কেবল সহরের লোকেরাই ঘেঁসাৰ্ঘেসি ক’রে একত্রে থাকে। এক একজন চাষার কত বড় বড় ক্ষেত তা আমাদের কোনো ধারণা নেই। ঐ বোলপুরের মাঠটা বোধ হয় দু’তিন জন মাত্র অধিকার করে থাকবে। যন্ত্রপাতির এত উন্নতি করেছে যে, অত বড় ক্ষেত চাষ করতে বেশী লোকেরও দরকার হয় না। প্রায় সমস্ত কাজই দু’তিন জনে করতে পারে। এই সব মাঠের ভিতর দিয়ে গিয়ে একটা ছোট ষ্টেষণে আমাদের নামিয়ে দিলে। ষ্টেষণের কাছেই একটা ছোট restaurant, সেখানে সব রকম থাবার পাওয়া যায়। কাছেই একটা ছোট নদী, গিরিধির উঐ নদীর চেয়ে চওড়া নয়, কিন্তু সব সময়েই অনেক জল থাকে, আর বনের ভিতর দিয়ে বেশ একে বেঁকে চলে গেছে । 够 আমরা গাড়ি থেকে নেবেই পোকা দেখতে বেরুলুম,নদীর ধার দিয়ে বনের ভিতর দিয়ে চলুম। খুব পরিষ্কার বন যে তা নয় । ঘাস ও লতাপাতায় প্রায় কোমর পর্য্যন্ত ডুবে যায়। এরকম জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যেতে আমাদের দেশে ভয় করে কখন সাপের গায়ে পা পড়বে, এখানে সে সব কোন ভয় নেই। অনেক পোকামাকড় সংগ্রহ করা গেল। পঙ্গপাল জাতীয় যে পোকা বিশেষ ভাবে দেখতে গিয়েছিলুম, তা খুব দেখলুম,—সমস্ত বন ছেয়ে ফেলেছে। এ ভারি মজার পোকা। পঙ্গপাল ঠিক নয়,—কোথাও থেকে উড়ে আসে না । এক জায়গাতেই বরাবর থাকে, কিন্তু ১৭ বৎসর অন্তর দেখা দেয়। এই পোকাগুলো এখন ডিম পাড়বে, তা থেকে যে পোকা হ’বে সেগুলি মাটির ভিতর ১৭ বৎসর চুপচাপ থাকবে । তা’র পর হঠাৎ বেরিয়ে এসে, এতদিনকার আমেরিকা-প্রবাসীর পত্র । , lo 9ఫిలి খোলস বদলে চারিদিক ছেয়ে ফেলবে,--কিন্তু বিশেষ কিছু অনিষ্ট করে না। # § আমাদের অধ্যাপকের আবেই প্রফেসর ভাব নেই। ছেলেদের সঙ্গে সৰ্ব্বদাই গল্প ঠাট্টা চলছে। এদিকে লোকটি অসাধারণ পণ্ডিত। তার লেখা কীটতত্ত্বের (Entchnology) পাঠ্য পুস্তক প্রায় সকল কলেজেই আজকাল পড়ানো হচ্ছে। আমাদের সঙ্গে তিনজন ছাত্রী ও বাকি সবই ছাত্র ছিল । মেয়ের ঘণ্টা দু’য়ের পরই বাড়ি ফিরে গেল। আমরা সেই Restaurantএ ফিরে এলুম। অর্থাৎ কি বুঝতে পাচ্ছে, জঙ্গলের ভিতর বেড়িয়ে বেড়িয়ে—উদরাগ্নি বেশ জলতে আরম্ভ করেছিল। খেয়ে দেয়ে আমরা একটা নৌকা ভাড় করলুম। আমার সঙ্গে দু’জন ফিলিপিনে ছেলে এসে যোগ দিলো। এখানে অনেকগুলো নৌকা ভাড়া দিবার জন্তে রাখে। এক একটা বোটে কেবল তিনজন মাত্র বসতে পারে। অনেক দিন পরে দাড় টানতে খুব ভাল লাগছিল। প্রায় মাইল দুই দাড় টানলুম্। 莎 নদীটি এমন সুন্দর যে কি বলব, বনের ভিতর দিয়ে একে বেঁকে গেছে । দু ধারের বড় বড় গাছ তার উপর ঝুকে পড়েছে। সেই পুলটার কাছে গিরিধির উত্র যেমন দেখতে অনেকটা সেই রকম। তবে অত উচু পাড় নয়, আর অনেক জন্তু অথচ বেশ স্রোত নেই। বনের ভিতর কেও কোথাও নেই মাঝে মাঝে নদীর ধারে ছ? একটা এ গুলো ভাড়া পাওয়া যায় । অনেকে এখানে এসে সপ্তাহ খানেক্ বা পনেরো দিন গরমের সময় এসে বাস করে । ফিরে এসে দেখি নদীর ধারে, একটা খোলা আটচালার মত ধরে, আমাদের অধ্যাপক পিয়ানো বাজাচ্ছেন আর অনেকগুলি মেয়ে নাচছেন, আমাদের সঙ্গীরাও এই নাচে” যোগ দিয়েছেন। এই ঘরটা নাচের জন্তেই রাখা। গুনলুম একদল মেয়ে এখানে চড়িভাতি করতে এসেছিলেন। খাওয়া দাওয়ার পরে কি করবেন:ভেবে পাচ্ছিলেন না । তাদের মধ্যে একজন আমাদের অধ্যাপককে চিনতেন। তাকে দেখতে পেয়ে ডেকে নিয়ে এসে পিয়ানো বাজাতে বসিয়ে ' দেন ও তারা নিজেরা নাচ্ মুরু করে দেন। নাচেতে . এ দেশের লোক পরিশ্রান্ত হয় না। আমার সামূনেই স্থা log-cabin