পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 & 8 د তোমরা বে-আক্র’ না হলে জোর করে আর তোমাদের কে বে-আক্র’ করবে ?” “ন, তা নয়। আমি জিজ্ঞেস করছি যে এই মনে কর যে, যদি আমার অজান্ত কেউ আমার ছবি তোলে, তা সে ছেপে সককে দেখাতে পারে কি ?” * উকীলের স্ত্রী বটে। আমি এবার হাসিয়া বলিলাম, “প্রশ্ন আমার অৰ্দ্ধাঙ্গিনীর উপযুক্ত হয়েছে সন্দেহ নাই, তবে প্রশ্ন কিছু কঠিন। তা কথাটা সোজাই হোক আর শক্তই হোক, ‘ফী’ না দিলে ত আমি মত দিন, তুমি জান।" ‘ফী’ তৎক্ষণাৎ প্রদত্ত হইল। গৃহিণী বলিলেন, “তুমিত সকল সময়ই তত্ত্ব আর স্বত্ব নিয়ে থাক, তা আজ আমিও দুটা আইনের কথা শুনব, ঘোমটা-স্বত্বটা কিরূপ ব্যাখ্যান কর।” আমি বলিলাম, “তবে অবধান কর। তুমি আইনের কথা শুনতে চা’চ্ছ, তাই বলি। এই পর্দা system, যাকে ভাল বাঙ্গলায় বলে, ‘অবরোধপ্রথা, সেটা কবে হল, কি করে হল, কেন হল, সে প্রথাটা ভাল কি মন্দ, দেশে থাকবে কি না থাকবে, এ সব কথা আজকের প্রশ্নের উত্তরে irrelevant ; অন্ত দিন জিজ্ঞাসা করো, কিম্বা--- experts দের জিজ্ঞেস করাই ভাল—কোন পুরাতত্ত্ববিদ বা সমাজসংস্কারক বন্ধুকে জিজ্ঞেস করে । আমি একটা fact ধরে আরম্ভ করি । পর্দা আমাদের দেশে অনেক স্থানেই আছে, মেয়েরা সকলের সামনে বেরোয় না, যে সে লোকের যার তার বাড়ীর মেয়েদের দেখবার অধিকার নাই। কিন্তু তা বলেই সৰ্ব্বত্র আদালতে এই পর্দাপ্রথা সম্মানিত হয় না । গুজরাটে পর্দাস্বত্ব মান হয় কিন্তু বাঙ্গলাদেশে হয় না । অথচ গুজরাটে মেয়ের বাঙ্গালীর মেয়েদের মত পর্দানিশীন নহে। আর বোম্বাইয়ে ত কথাই নেই, সেখানে পর্দা বলিয়া কোন জিনিস নাই। বিকালে নানা রকমের রেশমী সাড়ী পরে সমুদ্রের কুলে যখন সুন্দর ফুটফুটে মেয়েগুলি বেড়ায়, তাদের কি সুন্দরই দেখায়, এমন মনোহর দৃপ্ত আমি আর কোথাও দেখি afe ! citwfērix xxR is an artiste in colours, আর তোমরা সব পিঞ্জরাবদ্ধ শুক, artএর চর্চার মধ্যে আলপনা দেওয়া আর র্যাফেলবধ’ ছবিগুলা দেওয়ালেতে প্ৰৰাণী । - আঁটা ;–না একটু রুচি শুধরেছে, [ १च प्ठाभः । এখন রবিবৰ্ম্ম হয়েছে।” * - “কেন, পিঞ্জরাবদ্ধ কি রকম কিছু বুঝতে ত পারি না । তুমি ত আমাকে কোথাও যেতে বারণ কর না। আমি যে সে জায়গায় যেতে ভালবাসি না, তবে যেখানে যেতে ইচ্ছা হয় সেখানে ত যাই।” ,-- “আমি তোমার কথা বিশেষ করে বলছি না, সাধারণত বাঙ্গালী মেয়েদের কথা বলছি। আমি বুঝতে পারি না যে, যদি সুন্দর একটি জিনিস হয় ত তাকে আলমারিতে চাবিবন্ধ করে কেন রেখে দেব। আর যদি মুন্দর নাও হয় তবু পরমেশ্বরের সৃষ্টি ত বটে। মালঞ্চে ফুল আপনি ফোটে, ঘাস বিলাতে চায়, উষার কোলে ছেলে ছুলে শিশির মাখা গায়। ধর, একটি সুন্দর গোলাপফুল ফুটেছে, আমি তাহাকে এনে আমার বক্ষে ধারণ করলুম, কিন্তু তা বলে অন্ত পাচ জনে তার সৌন্দর্য্য কেন দেখবে না ?” “ছি! তুমি কি কথা বলছ! বাহিরে বেরুনো এক জিনিস, আর লাজ সরম ধৰ্ম্ম চরিত্র এ সব অন্ত জিনিস। স্বাধীনতার সঙ্গে যথেচ্ছাচারিতাকে ভুল করে না। এমন করে পর্দা তুলোনা যে—” * - “SIGH touch défile FCR ? Si তুমি ঠিক বলেছ। তোমাদের ফুলের সঙ্গে আর তুলনা করব না।—কথার প্রসঙ্গে কোথায় এসে পড়লুম দেখ। আমি বলছিলাম যে বাঙ্গালাদেশে পর্দাস্বত্ব স্বীকৃত হয় নাই। একজন মুসলমান জজ এ বিচার করে গেছেন। পশ্চিমের অপেক্ষ বাঙ্গলাদেশে পর্দাটা যে কিছু কম তা ত দেখতে পাই না, সহরে ত কম নয়, পল্লিগ্রামে, যেখানে সকলেই সকলের মাসী পিসী বোন বউদিদি, সে রকম অঁাটার্তাটি নাই বটে। তা পশ্চিমেও গ্রামে সহরের, মতন হাফলাগ মত পর্দার সৃষ্টি নাই। তবে সন্ত্রাস্ত ঘরে, বিশেষ করে মুসলমানদের মধ্যে, মেয়ের একটু বড় হলে আর নিজেদের চাদমুখ কোন কালামুখকে দেখতে দেন না। কিন্তু এদেশে পর্দাস্বত্ব বিষয়ে কোন প্রশ্নই উঠতে পারে না। বিশ বৎসর হতে চলা হয় আৰু এৰ মহমুদ সাহেবের সঙ্গে বসে বিচার করে গেছেন রে পুরাতন প্রথা ও আচার অ্যায়িক উত্তরপশ্চিম প্রদেশে "ght of