পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| ] - پم - ه -- ۰ که همه-----۶ ২য় সংখ্যা مهمی - ও বৃদ্ধ-পূজন-কৰ্ম্মের ফল প্রকাশ করিয়া, উপদেশ প্রদান পূৰ্ব্বক নিজের স্থানেই গমন করিলেন। রাজাও সেই হইতে তাদৃশ কৰ্ম্ম করিতে মনও করিলেন না।” শাস্তা এই অতীত কথা বলিবার পর অভিসম্বুদ্ধ হইয়া এই গাথা দুইটী বলিলেন-- “হংসা কোঞ্চ মধুরী চ হখিয়ে পসদী মিগ । সবের সাহসস ভায়ন্তি, লখি কয়ল্মিং তুলাত ॥ ১ । এবং এবং মনুস্সেতু দহরো চে পি পঞ্চব। সো হি তথ মহা হোতি নেব বালো শরীরৰ তি ॥ ২ ॥” : শাস্ত এই ধৰ্ম্মদেশনা বলিয়া সত্যসমূহ প্রকাশ করিয়া জাতককে সম্যক্ প্রকারে বুঝাইয়া দিলেন (সত্যপর্য্যবসানে সেই ভিক্ষুগণের মধ্যে কেহ কেহ শ্রোতাপন্ন, কেহ কেহ সরুদাগামী, ও কেহ কেহ অৰ্হৎ হইয়াছিলেন)—সেই সময়ে রাজা লকুণ্টক ভদিক হইয়াছিল, সে সেই ক্রীড়াশীলতায় অন্তের ক্লেশহেতু হইয়াছিল। আর শক্র হইয়াছিলাম আমিষ্ট।” + শ্ৰীবিধুশেখর ভট্টাচাৰ্য্য। হংস, ক্ৰৌঞ্চ, ময়ুর, হস্তী, পূষ্ণ (বিন্দু বিশিষ্ট হরিণ) ও অপরাপর মৃগ সকলেই সিংহ হইতে ভীত হয়, কিন্তু তাহদের শরীরের সাদৃষ্ঠ নাই । ১ । المهم এবমেঘং মনুষ্যেষু দহরশ্চেদপি প্রজ্ঞাবান। সোহপি তত্র মহান ভবতি নৈব বালঃ শরীরধান ৷ ২ ৷ এই প্রকারই মনুষ্যগণের মধ্যে বালকও যদি প্রজ্ঞাবান হয়, সেও সেখানে মহান, বালক মহাশরীর হইলেও মহান হয় না। } পেকিং রাজপুরী। ( 8 ) সম্রাটের চীনদেশের উন্নতির চেষ্টায় বাধা পড়ায় তাহার হৃদয় অবসন্ন হইয়া পড়িল। র্তাহার এই উন্নত আশা ছিল যে তিনি চীন সাম্রাজাকে উন্নতির পথে ধাবিত করিয়া, পৃথিবীর অপরাপর শক্তিশালী জাতিগণের মধ্যে মাষ্ঠগণ্য হইবেন এবং জাপানকর্তৃক পরাভবের প্রতিশোধ লইবেন । কিন্তু হায়! তাহার সেই মুখস্বপ্ন অচিরে ভাঙ্গিল ।

  • সংস্কৃত –হংসাঃ ক্ৰৌঞ্চ ময়ুরাশ্চ হস্তিন পৃষ্ণ মৃগাঃ।

o সৰ্ব্বে সিংহস্ত (সিংহাৎ) বিভাতি, নাস্তি করে তুল্যত ॥ ১ । এই জাতকের নাম ‘কেলিশীল জাতক : দ্বিতীয় খণ্ডের ২১,ও সমগ্র গন্থের ২-৩ সংখাক । পেকিং রাজপুরী । ૧ পুনৰ্ব্বার রাজ্যে প্রতিক্রিয়া আরম্ভ হইল! এই সকল বিষয় গভীর ভাবে চিন্তা করিতে করিতে তাহার সেই অদৃঢ় দেহের স্বাস্থ্যভঙ্গ হইল। তিনি কাতর হইয়া পড়িলেন। এই ঘটনাট সম্রাজ্ঞীর শক্রগণের এবং বিদেশীয়গণের মধ্যে অতিরঞ্জিতভাবে প্রচারিত হইল, যে বৃদ্ধ সম্রাজ্ঞী সম্রাটকে হত্যা করিবার চেষ্টা করিতেছেন! আবার রাজপুরীর বাহিরে রাষ্ট্র হইল যে সম্রাটকে তিনি কারারুদ্ধ করিয়াছেন, পুনরায় কেহ কেহ রটাইল যে বৃদ্ধারাণী কোয়াংশুকে অনাহারে মারিবার চেষ্টা করিতেছেন ! হায় ! যে দেবর ও ভগ্নী-পুত্রকে তিনি বাল্যাবস্থা হইতে পুত্র নিৰ্ব্বিশেষে প্রতিপালন করিয়াছেন, যাহাকে অন্ত কোন রাজকুমারের দ্যায্য দাবী উপেক্ষা করিয়া রাজসিংহাসনে বসাইয়াছেন তাঙ্গকে তিনি হত্যা করিবেন এও কি সম্ভব হয় ? বলা বাহুল্য যে পেকিনের ফরেন লিগেশনেই এই প্রকার কদর্য সংবাদের সৃষ্টি ও প্রচার অধিকতর পরিমাণে হইতে লাগিল। এই সকল বিদ্বেষস্থচক মিথ্যা সংবাদের সত্যতা নিৰ্দ্ধারণ কেবল সময়সাপেক্ষ ছিল । তাহা এখন প্রমাণ হইয়াছে। বৃদ্ধারাণী সম্রাটকে হত্যা করিতে চাহিলে তাহার যে সকল সুযোগ, লোকজন ও আধিপত্য ছিল, তাঙ্গতে তিনি• অনায়াসেই সম্রাটকে হত্যা করিতে পারিতেন । বিদেশীগণ ইহাও রাষ্ট্র করিয়াছিলেন, যে বৃদ্ধ মহারাণী সম্রাটকে তাহার সিংহাসনের পাশ্বে দণ্ডায়মান থাকিতে বাধ্য করিয়াছিলেন । এ কথাও সত্য নহে। কেননা তিনি সম্রাটের নিকট একাধারে জেঠী, মালী এবং ধৰ্ম্মমাতা রূপে বর্তমান ; কারণ বৃদ্ধারাণী তাহাকে দত্তক পুত্র গ্রহণ করিয়া তবে তাহাকে সিংহাসনের অধিকারী করিয়াছিলেন । এমন যে মহামান্ত ব্যক্তি, তাহার সঙ্গে সম-আসনে উপবেশন করা চীনদেশের, চীনদেশের কেন, সমস্ত আসিয়াবাসীর নিকট নিয়মবিরুদ্ধ। ইউরোপীয়গণের নিকট এ দৃশু দৃষ্টিকটু হইতে পারে। কারণ আসিয়াবাসিগণ পিতামাতাকে অবনত হইয়া প্রণাম করণপূর্বক র্তাহাদের প্রতি সন্মানপ্রদর্শন করিয়া থাকে, কিন্তু ইউরোপীয়গণ পিতামাতাকে প্রণাম করার পরিবর্তে করমর্দন করিয়া থাকে। সম্রাজ্ঞী সম্রাটকে এ বিষয়ে