পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা । ] ماه مه ۰-----۰۰۰ی ----ه. দিগকে “অসৎ বলিয়াও নিরাপদে ঘরে ফিরিয়াছেন। অন্তদেশ হইলৈ পোষাক ধোবাবাড়ী না দিয়া গৃহে ফিরিতেন না । দেশী লাল চিনি বিদেশী পরিষ্কার বিট্‌চিনির সঙ্গে তাহার দেড়গুণ দরে বিক্ৰী হইতে অনুমতি করির দেশী চিনি কিনিতে লোক সকলকে অনুরোধ করার দ্যার একটা অসঙ্গত ব্যাপার আর কিছুই হইতে পারে না। লোককে যখন স্বার্থত্যাগ করিতে বলা হয়, তথন ত্যাগের হেতু প্রদর্শন করা অবশুপ্রয়োজনীয়। এখানে ত্যাগের যে যুক্তি দেখান হইবে তাহার বলে এত বড় মহৎ কার্য্য সাধিত হইতে পারে না । জনসাধারণের দয়াবৃত্তি বা ভবিষ্যদৃষ্টি কোন দেশেই এখনও এরূপ তীক্ষ্ণ হয় নাই, যে পরের দুঃখ নিবারণের কথা ভাবিয়া বা ভবিষ্যদ্বংশীয়দের উপকার হইবে এই চিন্তা করিয়া হাতের সম্মুখে পাইয়া দেড়গুণদরে নিকৃষ্ট জিনিষ কিনিবে। এরূপ আশা করাই বাতুলতা মাত্র। পশ্চাৎদিক্ হইতে একটা ভাবের বন্ত৷ বহাইতে ন পারিলে একাৰ্য্য সাধিত হইতে পারে না। আমরা বহুদিন হইতে স্বদেশী স্বদেশী করিয়া আসিতেছি, কিন্তু ভাব জাগে নাই। এবার যে স্রোত খরবেগে বহিয়াছে, তাহার কারণ এই বহিষ্কারের বস্তা। একটা দারুণ উত্তেজনা আমাদের স্বদেশী আন্দোলনকে দৃঢ় করিয়াছে। এ উত্তেজনা তুলিয়া লইলে আমাদের স্বদেশী ও উঠিয়া যাইবে। স্বতরাং স্বদেশী রাখিতে হইলে বহিষ্কার অপরিহার্য্য। বিলাতী দ্রব্য দেশ হইতে তাড়াইতে না পারিলে, স্বদেশী এক দণ্ডও তিষ্ঠিবে না । আবার র্যাহাঁয়া ঝেরিয়l mountএ কজ্জন zitzfātņā frīzē Exploitation s Administration এর অঙ্গাঙ্গী ভাবের Sermon গুনিয়াছেন তাহারী কি করিয়া বাণিজ্যৰহিষ্কার হইতে রাজনৈতিক বহিষ্কারকে পৃথক করিতে উৎসাহী হইবেন ? ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যের সঙ্গে ভারতশাসনযন্ত্রের যে সম্বন্ধ তাঙ্গাতে বাণিজ্যকে রাজনীতি হইতে পৃথক করা একেবারেই সম্ভব নহে। আমরা যে পরিমাণে স্বদেশীতে মনোযোগ করিতেছি, সরকারের বিদেশী অনুরাগ সেই পরিমাণে বাড়িয়া যাইতেছে, সরকার রাজ্যরক্ষা অপেক্ষ বাণিজ্য রক্ষার দিকে বেশী মনোনিবেশ করিতেছেন। লোকের মনে মুশাসনের একটা ভ্রান্ত সংস্কারই

  • “He must have been pelted with rotten eggs.”

স্বদেশী ও বহিষ্কার । > oペ) যে ইংরাজের ভারত-রাজত্বের একমাত্র স্তম্ভ, বাণিজ্যের অনিষ্টের একটা যৎকিঞ্চিৎ আশঙ্কা হইতে না হইতেই দিগ্বিদিক্‌ জ্ঞানশূন্ত হইয়৷ সেই ইংরাজ রেগুলেশন লাঠির আঘাতে সেই স্তম্ভই ভগ্ন করিতে উদ্যত হইয়াছে ইহা দেথিয়াও যদি আমরা বাণিজ্যকে রাজনীতি হইতে পৃথক ভাবিতে পারি তবে আমাদের মত হস্তীমুখ আর দুনিয়ায় মিলিবে না। আসল কথা এষ্ট একটা উচ্চ রাজনৈতিক আকাজক্ষা ছাড়া আর কিছুতেই আমাদের জড়ত যাইতে পারে না, আর কিছুতেই আমাদিগকে কাৰ্য্যক্ষেত্রে আনিতে পারে না। আমরা যে স্বরাজের আদর্শে এত মাতিয়া উঠিয়াছি ইহা তাহারই অন্যতম প্রমাণ। “শরীরমাদ্যং খলু ধৰ্ম্মসাধনমূ” তো কত শুনিয়াছি, কিন্তু কষ্ট এ জাতি তো ইতিপূৰ্ব্বে শরীর চর্চায় মনোনিবেশ করে নাই । ষেই ইহার পশ্চাতে রাজনৈতিক আদর্শ যুক্ত হইয়াছে অমনি আখড়ায় আখড়ায় দেশ ছাইয়া পড়িতেছে। যদি পতিতকে উদ্ধার করিতে চাও, যদি তাহার সৰ্ব্বাঙ্গীন মঙ্গল চাও, তবে তাহার অন্নবস্ত্রের সংস্থান করিয়াই নিশ্চিন্ত হইও না । তাহার সম্মুখে এক উচ্চ আকাঙ্ক্ষার দ্বার খুলিয়৷ দাও, সে আপনিই আপনার সংস্থান করিয়া লইবে। যদি স্বদেশীর সফলত চাও, তবে স্বরাজের আদর্শ লইয়া বাহির হও, বহিষ্কার মন্ত্রবলে সিদ্ধিলাভ করিবেই করিবে । সৰ্ব্ব বিভাগে বহিষ্কার চালাইতে পারিলে, রামনামে যেমন ভূত পলায়, দেশের সকল উপদ্রবের শান্তি হইবে । এখন দেশের রাজনীতি ক্ষেত্রের যে অবস্থা তাহাতে বহিষ্কার ছাড়া অন্ত অস্ত্রের প্রয়োজন নাই। অবস্থার পরিবর্তনে অন্ত অস্ত্রের প্রয়োজন হইবে না তাহা বলিতেছি না, কিন্তু এখনকার মত বহিষ্কার অনলই যথেষ্ট। এই আগুনেই এখন ভারতের রাজনৈতিক গগন জলিয়া উঠুক, স্বচনাতেই যখন ইংরাজ ভীত হইয়াছে, তখন আর কিছু করিতে পারি আর না পারি, তার অদৃষ্টের যদি এতই জোর থাকে, এটুকু তে হবে,— "ভুমুক অদৃষ্ট তবে তিক্ত আস্বাদনে।" যে বহিষ্কার আমাদের বর্তমান অবস্থায় সকল রোগের csąg Hoi (Panacca for all evils) Stefā stā সময়ে অসময়ে কতকগুলি আপত্তির অবতারণা করা হয়,