পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> a 8 তাহার অধিকাংশই ভীরুতা ও স্বার্থপরতা প্রণোদিত । সুতরাং সেগুলির আলোচনা নিম্প্রয়োজন । কিন্তু ইহার দুইটী আপত্তির মধ্যে কিঞ্চিৎ যুক্তির বিড়ম্বন আছে বলিয়া মনে হয় । তাঙ্গদের বিচার না করিলে প্রবন্ধের অঙ্গতানির সম্ভাবনা, তাই সে সম্বন্ধে তৃষ্ট একটী কথা বলা ষাক্টতেছে । প্রথম আপত্তিটি এই যে বহিষ্কার অর্থনীতিশাস্ত্রবিরুদ্ধ। যে জিনিষ সস্তায় পাওয়া যায় তাঙ্গ না কিনিয়া অধিক মূল্যের জিনিষ কিনিলে পরিণামে লোকসান ছাড়া লাভ হইতে পারে না । সস্তায় জিনিষ পাওয়ার অর্থ ঐ জিনিষটি প্রস্তুত করিতে কম অর্থ ও পরিশ্রম ব্যয় হইয়াছে । সুতরাং কম অর্থ ও পরিশ্রম ব্যয়ে যে কাৰ্য্য সম্পাদিত হয় তাহার জন্য বেশী ব্যয় মূর্খত মাত্র। বিলাতী কাপড় ক্রয় করিলে যদি ৩০কোিট টাকা খরচ করিয়াই চলে তবে তার জন্ত ৫০ কোটা টাকা খরচ করা অন্যায়, কেন না, এই ২০ কোটী টাকার পরিমাণ অর্থ ও পরিশ্রম বৃথায় নষ্ট হইল। উঙ্গ অন্য ক্ষেত্রে থাটাইলে পরিণামে বেশী লাভ হইবার সম্ভাবন । কথাটা নিৰ্ঘাত সত্য । কিন্তু ইহার মধ্যে কয়েকটি "কিন্তু আছে। প্রথম "কিন্তু এই যে যদি ১০ বছর কিছু বেশী অর্থ ও পরিশ্রম ব্যয় করিয়া চিরকালের জন্ত ৩• কোটকে ১৫ কোটাতে নামাইয়া আনা যায় তাহ। হইলে পরিণামে লোকসান না হইয়া লাভ কাপড়ের ব্যবসায়ে আমাদের সে লাভের কেবল সন্তাবন নহে নিশ্চয়তা রহিয়াছে । আমাদের দেশে শ্রম ইংলণ্ড অপেক্ষা বহুগুণে সস্তা । তার উপর বিলাতী কাপড় এ দেশে আসিতে জাহাজ ভাড়া লাগে । অধিকন্তু যদি তুলা দেশে জন্মাষ্টতে পারি তবে তো সোণায় সোহাগ, এখন বিলাতী যে কাপড় যে দরে কিনি, দেশের কাপড় তখন তার সিকি দরে পাওয়া যাইবে । আর এট কেবল একটা প্রথম পরীক্ষা (experiment ) নহে। এক সময় ছিল ভারত পৃথিবীর কাপড় যোগাইত, কিন্তু ইংরাজের অত্যাচারে তাহ নষ্ট হইয়াছে । আমাদিগকে তাহার পুনরুদ্ধার মাত্র করিতে হইবে । সে নষ্টোদ্ধার বহিষ্কার ব্যতীত সম্ভব নয়। বাজারে বিলাতী কাপড় থাকিতে আমাদের বস্ত্রশিল্পের পুনরুদ্ধার অসম্ভব, তাহ সৰ্ব্ববাদীসন্মত। রাজশক্তি হাতে থাকিলে সকল দেশে যাহা হয় হইল । প্রবাসী । | ৭ম ভাগ । ও হইতেছে আমরাও তাহা করিতে পারিতাম। বিলাতী কাপড়ের উপর কর বসাইয় দেশী শিল্পের রক্ষা করিতাম । রাজস্বার্থ আমাদের বিরোধী, সুতরাং প্রজাশক্তির দ্বারা সে কাৰ্য্য সাধন করিতে হইবে । বহিষ্কার সেই সাধনপ্রণালী । ইহা প্রজামণ্ডলীর স্বপ্রতিষ্ঠিত কর এবং স্বরাজের &iqx of sqsfö, Protective tariff Ross off.73 *f;3 ERéré, so consumers' leaguc& আমাদের একমাত্র অবলম্বনীয়। ভারতের অবস্থায় છઠે protection এবং experiment যে অর্থনীতিশাস্ত্রের বিরোধী নহে, তাহা অর্থনীতিবিদ জন ষ্টুয়ার্ট মিল স্পষ্ট ভাষায় বলিয়া গিয়াছেন,— “A protecting duty, continued for a reasonalile time, will sometimes be the least inconvenient mode in which the nation cam tax itself for the support of such an experiment.” আমাদের যে শুধু experiment নয় তাহা ইতিপূৰ্ব্বেষ্ট বলা হইয়াছে। এপন আর সন্দেহ করিবার কোনষ্ট কারণ নাই যে বহিষ্কার অর্থনীতিশাস্ত্রবিরুদ্ধ। কিন্তু তাহাই যদি হইত তবে কি আমরা বহিষ্কার ছাড়িতাম ? কখনই না । যদি বাণিজ্যনৈতিক বহিষ্কারের দ্বারা কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশু সাধিত হইতে পারে, তবে তাহ নিশ্চয়ই অবলম্বনীয়। অর্থনীতিবেত্ত ও রাজনীতিতত্ত্বজ্ঞ জন ষ্টয়ার্ট মিল অবাধ বাণিজ্যের পক্ষপাতী হইয়াও এই উপদেশ দান করিয়াছেন,— “The Protectionist doctrine finds support in some particular cases which involve the interests of national sulysistence and of national descince.” তারপর ইংলণ্ডের ইতিহাস হইতেই দৃষ্টান্ত দিয়া বলিতেছেন,— “The Navigation I.aws wcre probably, tho' ecomomically disadvantageous, politically expedient.” ভারতবাসী জীবন মরণ সমস্তায় উপনীত হইয়াছে। বহিষ্কার জাতীয়জীবনরক্ষার একমাত্র উপায়, তাহার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক আপত্তি থাকিলেও তাঁহা গ্রাহ হইতে পারে না। যুদ্ধে যেমন কোটী কোটী টাকা বৃথা ব্যয় হয় এমন আর কিছুতেই নহে। কিন্তু এমন নিৰ্ব্বোধ কে আছে যে দেশ শত্র দ্বারা আক্রান্ত হইলে অর্থনীতির দোহাই দিয়া দেশকে যুদ্ধ হইতে নিবৃত্ত হইতে বলিবে ? আমাদের দেশ