পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা । ] , ع ۰ - ۰ دهه په۶۰۶ های پ***» دیده আজ সামান্ত সুগন্ধ দ্রব্যের জন্ত অল্পসংখ্যক ব্যক্তির নিকট মাত্র ইহা পরিচিত । জোনপুরে এখন যে সকল ধ্বংসাবশেষ আছে,তাহা মুসলমান কীৰ্ত্তিকলাপেরই ধ্বংসাবশেষ। কিন্তু তাহাই তৎপূৰ্ব্বকালিকহিন্দু কীৰ্ত্তিকলাপেরই পরিচয় দান করিতেছে । কারণ এই মসজিদগুলি অধিকাংশই হিন্দুদেবদেবীর মন্দির হইতে প্রাপ্ত প্রস্তরাদি দ্বারা নিৰ্ম্মাণ করা হইয়াছিল। কেল্লার মসৃণ প্রাচীর দেখিয়া কখনই মনে হয় না যে হিন্দু দেবদেবীর মন্দিরন্থ প্রস্তরখণ্ড দ্বারা ইহা নিৰ্ম্মিত৭ কিন্তু সিপাহী বিদ্রোহের সময় যখন কেল্লার কোন কোন অংশ ভাঙ্গিয়া ফেলা হয় তখন দেখা গিয়াছিল যে প্রায় প্রত্যেক প্রস্তরে হিন্দুধৰ্ম্মের কিছু চিকু খোদিত আছে। কেহ কেহ বলেন যবনপুর বা যবনেন্দ্রপুর হইতে জোনপুর নামের উৎপত্তি । তবে ইহার সম্বন্ধে বিশেষ কিছুই নিৰ্দ্ধারিত হয় নাই। ইংরাজী ১৩৬০ খ্ৰীষ্টাব্দে দিল্লীর পাঠান সম্রাট ফিরোজ শা জোনপুরে প্রথম মুসলমান প্রাধান্ত স্থাপিত করেন। কথিত আছে তিনি প্রথমে তাহার নামানুসারে ইহার নামকরণ করবেন মনস্থ করেন, কিন্তু স্বপ্নাদেশ বশতঃ মালিক জুনার (দিল্লীর মহম্মদ তুগলকের) নামে উৎসর্গ করেন । জোনপুরের প্রথম প্রাদেশিক শাসনকৰ্ত্তার নাম খোজা জাহান, তিনি মহম্মদ তুগলকের প্রধান খোজ ছিলেন ও ক্রমে ॐशब डबौद्र रुन । हे९ २७s8 बैडेटक डिनि ८ञानभूटबद्र শাসনকর্তা নিযুক্ত হন। তাতার নিবাসী তাইমুর কর্তৃক তুগলক বংশ দিল্লীর সিংহাসন হইতে তাড়িত হইলে খোজা জাহান স্বকীয় স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। খোজা জাহানের বংশ শারকী বংশ বলিয়া পরিচিত। র্তাহারা বংশানুক্রমে প্রায় একশত বৎসর জোনপুরে রাজত্ব করেন। তাহার কখন কখন দিল্লীর সম্রাটের অধীনতা স্বীকার করিতেন কিন্তু অধিকাংশ সময়ই স্বাধীনভাবে রাজকাৰ্য্য চালাইতেন ও র্তাহীদের নিজেদের মুদ্র প্রস্তুত করি তেন। এই জন্ত দিল্লীর সহিত র্তাহাদের ক্রমান্বয়ে যুদ্ধ চলিত। যখন সিকদর লোদি দিল্লীর সম্রাট ছিলেন তখন ধারকীবংশীয় সেন শ জোনপুরে রাজত্ব করিতেন। র্তাহার বাং শিক্ষার লোকে এত বিপৰ্যন্ত করিয়াছিল যে উনি লেনকে পরাজিত করিয়া জোনপুর অধিকার করেন জোনপুর। రిd এবং বিদ্রোহী হুসেন শার সমান্ত মাত্র চিন্তুও রাখিবেন না স্থির করেন। শারকৗবংশ নিৰ্ম্মিত সমস্ত প্রাসাদ মসজিদ প্রভৃতি তাহার আদেশমত ভূমিসাৎ করা হয়। ইহাই জোনপুরের আধুনিক দুরবস্থার প্রধান কারণ। নচেৎ আজ জোনপুর দিল্লী আগরার দ্যায় জগতের নিকট ভারতবর্ষের অতীত গৌরবের সাক্ষ্যদান করিত। ভগ্ন প্রাসাদ ও মসজিদের প্রস্তরস্তুপ হইতে প্রস্তর লইয়া ধনী মুসলমানগণ নিজ বাসগৃহ নিৰ্ম্মাণ করেন। জোনপুরের পতনের আরও একটি কারণ এই যে সিকন্দরের পুত্র জালাল জোনপুরের শাসনকর্তা নিযুক্ত ইষ্টলে তাহার সহসা মনে হইল যে জোনপুর তেমন স্বাস্থ্যকর স্থান নহে। সেইজন্য জালাল এই স্থান হইতে চার ক্রোশ দূরে জালালপুর নামে একটি নগর নিৰ্ম্মাণ করেন, ও তাহ প্রাসাদ মসজিদ আদি দ্বারা সুশোভিত করেন। কিন্তু এখন সে সকলের কোন চিত্ত্বও নাই। কেবল র্তাহার নিৰ্ম্মিত সৈ নদীর উপরিস্থ একটি স্বৰূঢ় সেতু তাহার কীৰ্ত্তি রক্ষা করিতেছে। ইংরাজী ১৫২৬ খৃষ্টাব্দে হুমায়ুন কর্তৃক জোনপুরের স্বাধীনতা লুপ্ত হয় কিন্তু হুমায়ুন কিছুকাল জোনপুরে বাস করিয়া ইহার পূর্ব সম্পদ পুনঃ প্রতিষ্ঠা করিবার চেষ্টা করেন এবং কোন কোন মসজিদ পুনরায় নিৰ্ম্মাণ করেন। আকবর কর্তৃক মুনিম খাজোনপুরের শাসনকর্তা নিযুক্ত হন। মুনিম র্থ জোনপুরের শেষ শাসনকৰ্ত্ত । তৎপরে জে নিপুরের শাসনভার নাজিম কিম্বা কেল্লার অধ্যক্ষের হস্তে অপিত হয়। অবশু তখন জোনপুর “প্রদেশ” ছিল না। কেবল মাত্র সহরের শাসন কাৰ্য্য কেল্লার অধ্যক্ষের দ্বারা চালিত হইত। দিল্লীর দরবার হইতে প্রত্যাগমনের সময় লর্ড কার্জন জোনপুরের ধ্বংসাবশেষ দেখিয়া যান। এখানে নিকটবৰ্ত্তা সকল বিখ্যাত সহরে যাইবার অতি সুন্দর সুন্দর রাজপথ আছে । সহরটি বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। সহরের গৃহগুলি উত্তর পশ্চিম প্রদেশের অন্তান্ত সহরের ন্যায়ই নিৰ্ম্মিত। মধ্যে মধ্যে মসজিদ বা কোন ধনী ওমরাহের সমাধিস্থল। এই সমাধিগুলি অধিকাংশই সংস্কারাভাবে জীর্ণ। পথে যাইতে যাইতে প্রায়ই এরূপ সমাধি সকল দেখিতে পাওয়া যায়। দর্শনযোগ্য বস্তুর মধ্যে আমার ভাল লাগিল গুমতী নদীর উপরিস্থ সেতু ও কেল্লা। মুনিম খাঁ কর্তৃক এই সেতুটি