পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

HIV ,*"ه- سدهه و নিৰ্ম্মিত হয়। ইহা নিৰ্ম্মাণ করিতে প্রায় চারি বৎসর লাগিয়াছিল। কথিত আছে যে একদিন আকবর নৌকা করিয়া গুমতীতে বেড়াইবার সময় একটি বৃদ্ধার ক্ৰন্দন শ্রবণ করেন ও অনুসন্ধানে জানিতে পারেন যে বৃদ্ধ নদী পার হইবার জন্ত ক্ৰন্দন করিতেছে । তখন আকবর তাহাকে আপনার নৌকায় উঠাইয়া পার করিয়া দেন ও এই সেতু নিৰ্ম্মাণের আদেশ দেন। ইহা ১৫৬৮ খৃষ্টাব্দে সমাপ্ত হয়। ইহা প্রায় ৩৫০ ফুট লম্বা। ছয়টি সেতুস্তম্ভে ছয়টি প্রস্তরলিপি পারসী ও আরবী ভাষায় খোদিত । সকল গুলিই বেশ পড়া যায়। তাহা ঈশ্বরের মহিমা, আকবর ও মুনিম খার প্রশংসা ও সেতুনিৰ্ম্মাণকারীর নাম ঘোষণা করিতেছে। আফজল, আলি নামক কোন কাবুলী দ্বারা এই সেতুটি নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। এখানকার কেল্লা ফিরোজ শা কর্তৃক ইং ১৩৬৩ খৃষ্টাব্দে নিৰ্ম্মিত হয় । এখন ইহার ধ্বংসাবশেষ মাত্র আছে । কেল্লার ভিতর এখন কেবল মাত্র একটি ছোট মসজিদ আছে। এই মসজিদ সৰ্ব্বপ্রথমে প্রস্তুত হয়, তৎপরে অন্তান্ত বড় মসজিদ প্রস্তুত হয় । এই মসজিদ ব্যতিরেকে কেল্লার ভিতর একটি হামামৃ বা Turkish Bath আছে। কেবল ফটকটি এখনও ঠিক দণ্ডায়মান আছে । কেল্লার ভিতর হইতে চতুর্দিকস্থ দৃশু অতি সুন্দর । গুমতী নদী কেল্লার পাশ্ব দিয়া বহিয়া যাইতেছে। কেল্লার ভিতর সমস্তই ময়দান। স্কুলের ছাত্রগণ এখানে ফুটবল প্রভৃতি থেলিয়া থাকে। কেল্লার কতকটা এখন স্থানীয় কোতোয়ালীতে পরিণত করা হইয়াছে। কেল্লার ফটকের ভিতর প্রবেশ করিলেই একটি স্তম্ভ দেখিতে পাওয়া যায়। তাহাতে জোনপুরের রাজকোষ হইতে দরিদ্রদিগকে ধনদান করিবার আজ্ঞা খোদিত আছে ও যদি কোন রাজকৰ্ম্মচারী তাহা অপহরণ করেন তাহাকে অভিশাপ করা হইয়াছে। মসজিদের সমুখে একটি প্রস্তর স্তম্ভে ( monoloth pillar) আরবী ভাষায় খোদিত দুই তিনটি প্রস্তর লিপি আছে। তাঙ্গ কেবল ঈশ্বরের গুণকীৰ্ত্তন করিয়া খোদিত । কোন কোন অংশ পাঠ করা शांग्ब्र न! । জোনপুরের সর্বাপেক্ষ মুনীর মসজিদ পূৰ্ব্বে মহারাজ ארי זייד"יהיfrow F זהה לזי הזולה". ישלייה זחאfזיה החז"עיזיאי প্রবাসী । [ १भ छां★ । এই মন্দির ধ্বংস করিতে চেষ্টা করেন । কিন্তু স্থানীয় সকল হিন্দু তীহাকে বাধা প্রদান করাতে তিনি ঐ সন্ধর পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হন। এই মন্দিরে যদিও উপাসনা রহিত হয় তথাপি ফিরোজ শ বা তাহার কোন শাসনকৰ্ত্তাকে এই মন্দির অথবা অন্ত কোন মন্দিরে হস্তক্ষেপ করিবেন না এইরূপ একটি প্রতিজ্ঞাপত্রে স্বাক্ষর করিতে হয়। কিন্তু শারকী বংশীয় ইব্রাহিম খাঁ এই প্রতিজ্ঞাপত্র অমান্ত করিয়া অটল দেবীর মন্দির ভূমিসাৎ করেন ও এই মসজিদ নিৰ্ম্মাণ করেন। কেহ কেহ বলেন ইহা পূৰ্ব্বে বৌদ্ধমঠ ছিল। কিন্তু তাহার কোন বিশেষ নিদর্শন নাই। মসজিদটি কেবলমাত্র প্রস্তর দ্বারা নিৰ্ম্মিত। ভিতরে প্রবেশ করিয়াই একটি খুব বড় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হইতে হয়। পশ্চিমে মসজিদের প্রার্থনা গৃহ । ইহার মধ্যস্থলে একটি গম্বুজ কিন্তু তাহার সম্মুথে একটি অতি উচ্চ ফটকের দ্যায় অট্টালিকা অবস্থিত । সেইজষ্ঠ গম্বুজটি সহসা দৃষ্টিগোচর হয় না। এই মসজিদগুলিতে অন্তান্ত মসজিদের ন্যায় অত্যুচ্চ মিনারেট নাই। প্রাঙ্গনের চতুর্দিকে দ্বিতল বারান্দা স্তম্ভশোভিত হইয়া অতি সুন্দর দেখিতে হইয়াছে। ইহাদের ঠিক মধ্যস্থলে এক একটি উচ্চ ফটক। এই মসজিদগুলি দুপ্রাপ্য মৰ্ম্মর প্রস্তর দ্বারা প্রস্তুত নয় বলিয়া ইহাদের সৌন্দর্য্যের কোন হানি হয় নাই। সুনিপুণ কারুকার্য্য ও নিৰ্ম্মাণ কৌশল ইহার স্নিগ্ধ সৌন্দর্য্য বদ্ধিত করিয়াছে। এখানে ফারসী ভাষায় তিনটি প্রস্তরলিপি পাঠে জানা যায় যে ফিরোজ শ ইংরাজী ১৩৭৬ খৃষ্টাব্দে এই মসজিদ আরম্ভ করিতে চেষ্টা করেন ও ইব্রাহিম স ইংরাজী ১৪•৮ খৃষ্টাব্দে সমাপ্ত করেন। সংস্কৃতে আরও কয়েকটি লিপি আছে। তদ্বারা জানা যায় যে ইহা হিন্দু ভাস্কর নিৰ্ম্মিত । শারকী বংশীয় জোনপুরের শেষ অধিপতি হুসেন শ কৃত জামি মসজিদ অপর একটি প্রধান মসজিদ। কেহ কেহ বলেন ইহা কোন ফকিরের সন্মানার্থ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। কেহ কেহ বলেন যে ইহা কোন ফুর্ভিক্ষের সময় নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। ইহার পার্শ্ববৰ্ত্তী একটি প্রাচীরবেষ্টিত প্রাঙ্গণে শারকীবংশীয় ইব্রাহিম ও তাছার পরিবারবর্গ সম ধিন্থ। এইখানে একটি সমাধির উপরিস্থ প্রস্তরখণ্ড স্থানে স্থানে শ্বেতবর্ণ হইয়াছে। কথিত আছে যে উৎ মর্শর e"דיאיזי דוידזה6יזיה" היידי"ר, ו זfrrידיילי דייf tיר, ו-"יריי.