পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

}তর সংখ্যা। ] করিয়া একট দল বাধিয়া তুলেন, ও অমুকুল তর্কের আবিষ্কার করতে করিতে নুতন শাস্ত্রের উদ্ভাবন করিয়া ফেলেন । । একাদশীব্রতে যে মতদ্বৈধ উপস্থিত হইয়াছে, (১ সম্পূর্ণ উপবাস ও ২ অসমর্থপক্ষে কিঞ্চি ভোজন ) তাহ কেহ সামঞ্জস্ত করিয়া মিটাইয়া দিতে পারেন, এরূপ লোক দুর্লভ। এক পক্ষের প্রামাণ্য স্থাপিত হইলে, অপর পক্ষের অপ্রামাণ্য দুৰ্ব্বার। র্যাহাঁদের পক্ষের অপ্রামাণ্য প্রতিপন্ন হইবে, তাহারা তাহাতে সন্তুষ্ট না হইয়া নিরস্তর তর্কপ্রবাহ পরিচালনা করিতে থাকিবেন, যাহাতে বর্তমানের দ্যায় কোন কালেই তত্ত্বনির্ণয়ের আশা করিতে পারা যায় না । অতএব প্রামাণ্য অপ্রমাণ্য বিচার না করিয়া, স্বীকার করিয়া লওয়া হউক উভয়ই প্রমাণ ; তবে যে মত বহুলোকে অবলম্বন করিয়া চলিতেছেন, তাহাই গ্রহণ করা উচিত। বাৰ্ত্তিককায় কুমারিল ভটের পথ * অনুসরণ করিলে, বোধ হয়, এতাদৃশ ব্যবস্থা নিতান্ত অসঙ্গত নহে। যদি উভয়ই প্রমাণ হয়, তবে যে পক্ষ গ্রহণ করিলে প্রভূত মঙ্গল হইতে পারে, তাহাই গ্রাহ । একাদশী ব্রতে অমুকল্প বিধানে বিবিধ অনর্থপতি নিবারিত হইয়া মঙ্গল উৎপন্ন হইতে পারে। ধৰ্ম্মমীমাংসায় প্রবৃত্ত হইলে কেবল সংস্কৃত নিবদ্ধ অক্ষর পংক্তি দেখিয়াই কিছু নিধারণ করা উচিত নহে। ইহাতে বহুদোষের সম্ভাবনা । সংস্কৃত গ্রন্থসমূহে যাহা কিছু আছে, তৎসমস্তই প্রমাণ, আমরা ইহা বিশ্বাস করিতে পারি না, বিশ্বাস করিবার কোন যুক্তিও দেখিতে পাই না । ীিমাংসকগণের ইহা অবিদিত নহে যে, আমরা এই তন মত প্রচার করিতেছি না। যাহারা সত্যসত্যই মিস্ত দিকে লক্ষ্য রাখিয়া ধৰ্ম্ম পৰ্য্যালোচনা করিতেন, go

  • "বিরোধে দ্বনপেক্ষং স্তাদ অসতি হনুমান" ইত্যাদি মীমাংসা

নের ( ১-৩-৩) স্মৃতিশাস্ত্র সম্বন্ধীয় সূত্রের ভাষ্যে শবর স্বামী নিমূল লির কয়েকটা স্মৃতিবচনের অগ্রামাণ্য ঘোষণা করেন। কুমারিলভট্ট হিতে বলিয়াছেন যে, ঐ স্মৃতি বচনের মূল বেদ নাহ, তাছ কে বলিল, মই সমস্ত বেদ খুজিয়া দেখে নাই, এক সামধেদেরই এক সহস্ৰ শাখা। উএৰ যে পর্যন্ত.ঐ স্মৃতির মূলভূত প্রতি বা বেদ পাওয়া না যায়, তদিন ঐ স্মৃতি অনুসারে কাজ চলিবে না, বস্তুত ঐ স্মৃতিস্বচন অপ্রমাণ * ! ***९ नांदणब्र थांयांछू जtश्वjां चक्रझर्भtन अांभांहलग्न ५#ञांझ नांभक বিকে এ বিষয় আলোচিত হইয়াছে। একাদশী ব্ৰত । లిన তাহারাই বহুশত বৎসর পূৰ্ব্বে এই কথা বলিয়। গিয়াছেন । ৯ ধৰ্ম্ম মীমাংসা করিতে যাইয়া সকলেই নিখিল ধৰ্ম্মশাস্ত্র যে একই কথা বলিতেছে, তাহ প্রতিপাদন করিবার জন্ত বিশেষ চেষ্টা করেন । কতকগুলি স্থান আছে, যাহাতে সকলের ঐকমত্য স্পষ্টট দেখিতে পাওয়া যায়, তাছার জন্ত কোন কষ্ট কল্পনা করিয়া ব্যাখ্যা করিবার প্রয়োজন থাকে ন! ! আবার আর কতকগুলি স্থানও আছে, যাহাদের অনৈক্য স্পষ্টই প্রতীত হয় । এতাদৃশ স্থলে ঐক্য স্থাপন কেবল কতকগুলি দুরূহ তর্কজাল উৎপাদন করিয়া ফেলে। যখন ধৰ্ম্ম অপকৃষ্ট হইতে থাকে, লোকে ধৰ্ম্মশাস্ত্রের তাৎপৰ্য্য পরিত্যাগ করিয়া কেবল অক্ষর পংক্তি লইয় বিবাদে প্রবৃত্ত হয়, প্রয়োজন বিশ্বত হইয়া সাধনেই বিপ্রতিপন্ন হইয়া উঠে, ও যথার্থ মঙ্গলকে বিসর্জন দিয়া স্ব স্ব নিৰ্ব্বন্ধ বা মিথ্যা সন্মান অহঙ্কারের পরিরক্ষণকেই পরম পুরুষাৰ্থ বলিয়া মনে করে, তখন অন্তদৃষ্টির অভাব ও বহিদৃষ্টির প্রাবল্যে লোক দিনে দিনে কল্যাণপথভ্রষ্ট হইয়া প্রত্যক্ষ অমঙ্গলকেও অমঙ্গল বলিয়া চিনিতে পারে না, প্রত্যুত অমঙ্গলকেই মঙ্গল বলয়াই স্থাপন করিতে সযত্ন হয়। উদ্দেশ্য-লক্ষ্য জানা থাকিলে, তাহ পাইবার অনেক উপায় হইতে পারে। কোন ব্যক্তি এক নূতন গ্রামে যাইবে । কেহ তাহাকে পথ বলিয়া দিল, এবং পথে কিরূপে যাইতে হইবে সমস্তই উপদেশ করিল । সে ব্যক্তি অগ্রসর হইয়াই হয় ত আশ্রিত মার্গ পরিত্যাগ করিয়া কোনরূপে এক অভিনব মার্গের উদ্ভাবন করিয়া গন্তব্যস্থলে উপস্থিত হইতে পারে ; উপদেশকের উপদেশ তাহার কোন উপকার না করিতেও পারে। শাস্ত্রীয় বিষয়েও এতাদৃশ পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত। ইহার অনাদরেই আমাদের শাস্ত্রে শত শত নিয়ম উৎপন্ন হইয়। অনুষ্ঠেয় কৰ্ম্মসকল জটিল হইতে জটিলতর হইয়া উঠিয়াছে, ও উঠিতেছে। দৃষ্টান্ত স্বরূপে মীমাংসকগণের ‘ব্রীহি-অবঘাতকে উল্লেখ করিতে পারা যায়। ব্রীহি-ধান্ত হইতে তুষ পৃথক্ করিয়া লইলে, তণ্ডুল উৎপন্ন হয়। তুষ ছাড়ান অনেক উপায়ে হইতে পারে, কিন্তু তাহ না করিয়া অবঘাতেরই দ্বারা তাহা করিতে হইবে, তাহ না হইলে,—

  • পূৰ্ব্বোক্ত মীমাংসা দর্শনস্থত্রের শাস্বরভাষ্য দ্রষ্টব্য। বঙ্গদর্শনের স্নখিত প্রবন্ধেও তাছা উদ্ধত উছিইয়াছে।