পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা । ] একদিন এইরূপ রাত্রে ফিরিয়া শুনিল বেণু আসিয়াছিল, মা তাঙ্কাকে খাওয়াইয়া যত্ন করিয়া বসাইয়াছিলেন—সেদিন তাহার সঙ্গে কথাবাৰ্ত্ত গল্প করিয়া তাহার প্রতি র্তাহীর মন আরো স্নেহে আকৃষ্ট হইয়াছে। এমন আরো দুই একদিন হইতে লাগিল । মা বলিলেন, "বাড়িতে মা নাই নাকি, সেই জন্য সেখানে তাহার মন টেকে না । আমি বেণুকে তোর ছোট ভাইয়ের মত আপন ছেলের মতই দেখি । সেই স্নেহ পাইয়া আমাকে কেবল মা বলিয়া ডাকিবার জন্ত এখানে আসে।”—এই ৰলিয়া আঁচলের প্রাস্ত দিয়া তিনি চোখ মুছিলেন। হরলালের একদিন বেণুর সঙ্গে দেখা হইল। সেদিন সে অপেক্ষা করিয়া বসিয়া ছিল । অনেক রাত পৰ্য্যস্ত কথাবার্ত হইল। বেণু বলিল, “বাবা আজকাল এমন হইয়া উঠিয়াছেন যে আমি কিছুতেই বাড়িতে টিকিতে পারিতেছি না । বিশেষতঃ শুনিতে পাইতেছি তিনি বিবাহ করিবার জন্ত প্রস্তুত হইতেছেন। রতি বাবু সম্বন্ধ লইয়া আসিতেছেন–র্তাহার সঙ্গে কেবলি পরামর্শ চলিতেছে। পূৰ্ব্বে আমি কোথাও গিয়া দেরি করিলে , বাবা অস্থির হইয়া উঠিতেন এখন যদি আমি দুই চার দিন বাড়িতে না ফিরি তাহা হইলে তিনি আরাম বোধ করেন। আমি বাড়ি থাকিলে বিবাহের আলোচনা সাবধানে করিতে হয় বলিয়া আমি না থাকিলে তিনি হাক্ষ ছাড়িয়া বাচেন । এ বিবাহ যদি হয় তবে আমি বাড়িতে থাকিতে পারিব না। আমাকে আপনি উদ্ধারের একটা পথ দেখাইয়া দিন-আমি স্বতন্ত্র হইতে চাই।” স্নেহে ও বেদনায় হরলালের হৃদয় পরিপূর্ণ হইয়া উঠিল। সঙ্কটের সময় আর সকলকে ফেলিয়া বেণু যে তাহার সেই মাষ্টার মশায়ের কাছে আসিয়াছে ইহাতে কষ্টের সঙ্গে সঙ্গে তাহার আনন্দ হইল। কিন্তু মাষ্টর মশায়ের কতটুকুই বা সাধ্য আছে ! বেণু কছিল-যেমন করিয়া হৌক বিলাতে গিয়া বারিষ্টার হইয়া আসিলে এই বিপদ হইতে পরিত্রাণ পাই ! হরলাল কহিল-অধর বাবু কি বাইতে দিবেন ? বেণু কছিল—আমি চলিয়া গেলে তিনি বাচেন । কিন্তু छैोकांबू फेनtब्र cय ब्रक्य भांब्रां विणां८डग्न थग्नछ छैiहांब्र क्लंछ् মাষ্টার মশায় । እ ጎ¢ হইতে সহজে আদায় হইবে না। একটু কৌশল করিতে হইবে । হরলাল বেণুর বিজ্ঞতা দেখিয়া হাসিয়া কহিল—কি ८कोश्रण ? বেণু কছিল—আর্মি হ্যাগুনোটে টাকা ধার করিব । পাওনাদার আমার নামে নালিশ করিলে বাবা তখন দায়ে পড়িয়া শোধ করিবেন। সেই টাকায় পালাইয়া বিলাত যাইব । সেখানে গেলে তিনি খরচ না দিয়া থাকিতে পরিবেন না । হরলাল কহিল—তোমাকে টাকা ধার দিবে কে ? বেণু কহিল—আপনি পারেন না ? হরলাল আশ্চৰ্য্য হইয়া কহিল—আমি !—তাহার"মুখে আর কোন কথা বাহির হইল না । বেণু কহিল—কেন আপনার দরোয়ন ত তোড়ায় করির অনেক টাকা ঘরে আনিল । হরলাল হাসিয়া কহিল—সে দরোয়ানও যেমন আমার টাকাও তেমনি । বলিয়া এই আপিসের টাকার ব্যবহারটা কি তাহা বেণুকে বুঝাইয়া দিল। এই টাকা কেবল একটি রাত্রের জন্তই দরিদ্রের ঘরে আশ্রয় লয়, প্রভাত হইলে দশ দিকেতে शमन বেণু কহিল—আপনাদের সাহেব আমাকে ধার দিতে পারেন না ? না হয় আমি সুদ বেশি করিয়া দিব । হরলাল কহিল—তোমার বাপ যদি সিকিউরিটি দেম তাহা হইলে আমার অনুরোধে হয় ত দিতেও পারেন। বেণু কহিল—বাবা যদি সিকিউরটি দিবেন ত টাক দিবেন না কেন ? তর্কট এই খানেই মিটিয়া গেল। হরলাল মনে মনে ভাবিতে লাগিল, আমার যদি কিছু থাকিত তৰে বাড়িঘ জমিজম সমস্ত বেচিয়া কিনিয়া টাকা দিতাম। কিন্তু একা মাত্র অসুবিধা এই যে বাড়িঘর জমিজমা কিছুই নাই। X = *š একদিন শুক্রবার রাত্রে হরলালের বাসারসম্মুখে জুড়িগা দাড়াইল । বেণু গাড়ি হইতে নামিৰামাত্র হরলালের অঃি লের জরোরান তাহাকে মস্ত একটা সেলাম করিয়া উপ