পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা । ] دهه ۶۰ مه ۳ ماهه ۰ی ٫٫ه***ه...ه۔**مي. وټه سمه..پ***»ټي e প্রস্ত হইয়া পড়িলেন, তখন পরম সাধী রহিমা এই সঞ্চিত अर्थ छांद्रां ॐशश्व ७ °थrांलेि क्लग्न कब्रेिम्नां ऊँांझांद्र ®ां★ ब्लभ করিয়াছিলেন। কিন্তু আয়ুব দীর্ঘকাল পীড়িত থাকায় লোকালয়ে অবস্থানকালেই তাহার সঞ্চিত অর্থ একেবারে নিঃশেষিত হইয়া গিয়াছিল । সুতরাং বিজন প্রাস্তরে নিৰ্ব্বাসিত হইয়া রহিম দশদিক শুষ্ঠ দেখিতে লাগিলেন। দুই দিন পর্য্যস্ত তিনি স্বামীর পথ্যাদির কোনরূপ সংস্থান করিতে পারিলেন না। তৃতীয় দিনে তিনি উপায়াস্তরাভাবে বুভূক্ষিত ও ব্যাধিজর্জরিত স্বামীর প্রাণরক্ষার্থে ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করিলেন । সতীশিরোমণি রহিমা স্বামীকে বৃক্ষতলে রাখিয়া ভিক্ষার্থে প্রতিদিন চতুষ্পার্শ্বস্থ গ্রামে যাইতেন এবং সমস্ত দিন অতি বিনীতভাবে স্বজাতীয় লোকের দ্বারে দ্বারে ঘুরিয়া খাদ্যদ্রব্য যাহা পাইতেন, তদ্বারা অতিকষ্টে স্বামীর জীবন রক্ষা করিতেন । রহিম দীর্ঘকেশী এবং সুকুমারবপুশালিনী ছিলেন ; এজন্ত লোকালয়ে পরিভ্রমণ কালে তিনি সময় সময় ঘোর বিপদে পতিত হইতেন। গ্রামবাসী নীচাশয় পামরেরা তাহাকে অসহায় বোধে বহুবিধ অশ্রাব্য ব্যঙ্গোক্তি করিতে ক্রট করিত না । রহিম পাপিষ্ঠদিগের বাক্যবাণে ও বিগর্হিত ব্যবহারে অতিশয় মৰ্ম্মপীড়িত হইতেন বটে, কিন্তু যখন মনে করিতেন, চিরব্যাধিগ্রস্ত ও ক্ষুধাক্লিষ্ট স্বামীর পথ্য সংগ্রহের নিমিত্ত অষ্টে এতাদৃশ অপমান ও লাঞ্ছনা ঘটতেছে, তখন সমুদয় দুঃখ নিমেষে জুলিয়া যাইতেন। একদা রহিমাদেবী, দিনমান স্বজাতীয় লোকের দ্বারে স্বারে ঘুরিয়া বেড়াইলেন; কিন্তু কোনও স্থানে এক মুষ্টিও ভিক্ষ পাইলেন না। অবশেষে তিনি হতাশ্বাস হইয়া সন্ধ্যার আৰ্যবহিত পূৰ্ব্বে এক পৌত্তলিক গৃহস্থের বাটতে ভিক্ষার্থে উপস্থিত হইলেন। গৃহকর্তা তখন বাটতে ছিল না। তাহার স্ত্রী গৃহপ্রাঙ্গনে বসিয়া স্বকীয় অদীর্ঘ কেশরাশির বিন্যাস করিতেছিল। রহিমাকে মলিন বেশে আগত দেখিয়া কছিল,—“তুমি কি জন্ত আমাদের বাটতে আসিয়াছ?” রহিম স্বামীর আত্মস্ত অবস্থা বর্ণন করিয়া সকাতরে কছিলেন —“মাত!! আমি ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করিয়া পতির দৈনিক ऋषीङ्ग ज१&ङ् कब्रिब्रां ॐांकि ? अछ जमरठ प्तिम शंरब्र चां८ग्न • আদর্শ সতী ৰিবি রহিম। রাখিয়াছিলেন । কালক্রমে স্বামী যখন সৰ্ব্বস্বাস্ত s পীড়া >b←☾ ঘুরিয়া বেড়াইলাম ; কিন্তু দুরদৃষ্টবশতঃ কোনস্থানে এক মুষ্টি ভিক্ষাও পাইলাম না। আপনি অনুগ্রহপূর্বক কিঞ্চিৎ ভিক্ষাদান করিয়া অদ্যকার জন্ত আমার স্বামীর প্রাণরক্ষা করুন।” মন্দবুদ্ধি গৃহস্থ-পত্নী রহিমার শিরোভূষণ অতি দীর্ঘ কৃষ্ণবর্ণ কেশদাম দেখিয়া পাপাশায় প্রলুব্ধ হইয়া কহিল,—“যদি তোমার মস্তকের কুন্তলরাশি কৰ্ত্তন করিয়া আমাকে দিতে পার, তাহা হইলে তোমাকে উপযুক্ত ভিক্ষাদান করিব।” রহিমা কছিলেন, “মাতঃ! এই কেশরাশি আমার মস্তকে দেখিতেছেন বটে ; কিন্তু ইহাতে আমার কিছুমাত্র অধিকার নাই। আমার স্বামী ইহার একমাত্র অধিকারী ; বিশেষতঃ তিনি সুদীর্ঘ কাল হইতে উৎকট রোগযন্ত্রণায় উত্থানশক্তিবিরহিত হইয়াছেন । সুতরাং অনদ্যোপায়ে এই কেশগুচ্ছ অবলম্বনে দণ্ডায়মান হইয়া দৈনন্দিন উপাসনা কাৰ্য্য সম্পন্ন করিয়া থাকেন। যদি এক্ষণে ইহা আপনাকে কৰ্ত্তন করিয়া দেই, তাহ হইলে তাহার বিধিমত উপাসনা কার্য্যের সম্পূর্ণ ব্যাঘাত করা হয় । অতএব আপনি কুন্তল প্রাপ্তির আশায় নিরস্ত হউন।” পাষাণময়ী মহিলা কহিল, “আমি তোমার অন্ত কোন কথা শুনিতে ইচ্ছা করিন ; যদি তুমি আমার বাসনা পরিপূর্ণ কর, তাহা হইলে তোমার প্রার্থনা পূর্ণ করিব। নতুবা রিক্তহস্তে • আজি স্বামিসকাশে প্রত্যাবর্তন করিতে হইবে।” পতিগত প্রাণ রহিম তাহার ঈদৃশ অনুচিত পরুষবাক্য শ্রবণে মৰ্ম্মাহত হইয়া ক্ষণকাল নিশ্চেষ্টভাবে দণ্ডায়মান রছিলেন। অনস্তুর স্বামীর সমস্ত দিনব্যাপী উপবাসের কথা মনে করিয়া অগত্য পৌত্তলিক রমণীর বিগর্হিত প্রস্তাবে সম্মত হইলেন। তখন সেই হ্রস্বকেশ নীচাশয় নারী পরচুলা’ পরিধানে স্বয়সৌন্দৰ্য্য বৃদ্ধি করিবার মানসে রহিম দেবীর ভ্রমরগঞ্জিত সুদীর্ঘ কুন্তলরাশি স্বহস্তে কৰ্ত্তন করিয়া লইল, এবং তৎপরিবর্তে র্তাহাকে এক দিনের উপযোগী ভিক্ষা দিয়া বিদায় প্রদান করিল। রহিম মুণ্ডিত মুণ্ডে ভিক্ষা লইয়া স্বামী সমীপে উপস্থিত হইলেন, এবং অদ্যান্স উপকরণ সহ অতি সত্বর তাহা প্রস্তুত করিয়া বুভূক্ষিত স্বামীর ক্ষুধা ক্লেশ নিবারণ করিলেন। কথিত আছে রহিম দেৰী এইরূপে অসহ অপমান ও দুঃসহ ক্লেশ পরম্পর লঙ্ক করিয়া অনষ্ঠ মনে সুদীর্ঘ অষ্টাদশবর্ষকাল ঘৃণ্য ব্যাধিগ্রস্ত