পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిe " و "همه " مه ۷ تهویه هامیوهها معمم پهعه می . ه হইবে তাহার মধ্য দিয়া তিনটী পথ। প্রধান পথট সদর রাস্তার উপর দিয়া এবং তাহার দুই পাশ্ব দিয়া দুইটী পথ। এই স্মৃতি-তোরণ এমনি শিল্পনৈপুণ্যে নিৰ্ম্মিত, নানাবর্ণে ও সোনালিবর্ণে রঞ্জিত যে তাহা দাড়াইয়া দেখিলে চক্ষু জুড়ায়। ইহার ভিতর দিয়া যাইতে আসিতে উভয় দিকের নিৰ্ম্মাণ প্রণালীই অবিকল একরূপ । দুই পাশ্বে স্বর্ণীক্ষরে লিখিত মুরঞ্জিত দুইখানি কাষ্ঠফলক বা সাইনবোর্ড। তাহার নিয়ে তোরণ-গাত্রে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বর্ণমণ্ডিত চীনা অক্ষরে বিধবাগণের বিবরণ লিপিবদ্ধ। ইহাকে চীন ভাষায় ( Phie fang ) ফাই ফাং বলে। ইহার একখানি ফটাে পাঠাইলাম। এই ফটো দেখিয়া ইহার সৌন্দর্য্যের বা কারুকার্যের কিছুই বুঝা যাইবে না । বিধবাগণের ন্যায়, যে সকল রমণী চিরকুমারী হইয়া জীবন পাত করিতে পারে, তাহদের চীনদেশে আরো সম্মান। ঐ সকল সতীগণের স্মরণচিহ্ন স্বরূপও উক্ত প্রকারের স্মৃতি-তোরণ নিৰ্ম্মিত হইয়া থাকে। এইরূপ গৌরবান্বিত হইতে কাছার না ইচ্ছা হয়? কিন্তু তাহা সত্ত্বেও এরূপ সতীর সংখ্যা অল্প। আমাদিগের দেশের বিধবাগণ এদেশী বিধবাগণ অপেক্ষা বহুগুণে শ্রেষ্ঠ-সন্দেহ নাই— তৰে "বেঁধে মার সে খুব সয় ।” চীনদেশে বালকবালিকাগণের বিবাহের সম্বন্ধ অতি অল্প বয়সে স্থির হইয়া থাকে। তিন চার বৎসর বয়স হইতে ৮.১০ বৎসর বয়স মধ্যে অনেক পাত্র পাত্রীর সম্বন্ধ স্থির হইয়া চুক্তি পত্র লিখিত হইয়া থাকে। ষোল সতের বৎসরে উপনীত না হইলে ইহাদের বিবাহ হয় না । ইতি মধ্যে পাত্রী মারা গেলে পাত্রকে অন্ত পাত্রীর সঙ্গে বিবাহ দেওয়া হয়, কিন্তু পাত্র মারা গেলে পাত্রীর বিবাহে গোল উপস্থিত হয়। অনেক স্থলে এই প্রকার বাগদত্ত অথচ অবিবাহিত কস্তাকে বিধবা বলিয়া গণ্য করা হইয়া থাকে। কস্তার ভাবী স্বামীর কনিষ্ঠ সহোদর থাকিলে তাহার সহিত বিবাহ হইয়া থাকে। কেবল কোন কোন স্থলে ঐ জবিবাহিতা অথচ বালবিধবাকে চিরকাল বৈধব্য অবস্থায় থাকিতে হয় কিন্তু সৰ্ব্বত্র সকল সমাজে এই প্রকার নিয়ম পালন করা হয় না। বাগদত্ত অবিবাহিত কস্তার ভাবী স্বামীর মৃত্যু হইলে ঐ বালিকাকে শোকচিহ্ন ধারণ করিতে প্রবাসী । SMMMMSMMMMeMeMeMeeeMeMMMAMeMMAeAeMAMAeMMeSeeMAAAA [ ৭ম ভাগ । হয়। আমাদিগের দেশের স্ত্রীলোক সকল বিধবা হইলে যেমন সাদা বস্ত্র পরিধান করিয়া আজীবন শোক প্রকাশ করিয়া থাকে, এ দেশেও প্রথম প্রথম তিন বৎসর যাবৎ সাদা পোষাক কোন কোন স্থলে পরিয়া থাকে। তাহার পর নীল বর্ণের বা ভায়োলেট, বর্ণের পোষাক পরিধান করিয়া থাকে। আমাদিগের বিধবাগণ যেমন লাল বর্ণের বস্ত্র ব্যবহার করিতে পারেন না, এ দেশের যে সকল বিধবা পুনরায় বিবাহ করে না তাহারাও লাল বা সবুজ বর্ণের পোষাক ব্যবহার করে না । মিশ, কাল লিখিয়াছেন যে এই প্রকার বাগদত্ত অবিবাহিত কস্তাগণের ভারী স্বামী মারা গেলে তাহারা আজীবন বৈধব্য দশায় থাকিয়া শোকচিহ্ন ধারণ করিয়া থাকে। তাহ সত্য নহে। এ অঞ্চলে অর্থাৎ ইউনান্‌ প্রদেশে, গোয়েজো, ছিজোয়ান, হোনান প্রভৃতি প্রদেশে এ প্রথার চলন নাই । যুবতীগণ বিধবা হইলেও অধিকাংশ স্থলে পত্যন্তর গ্রহণ করিয়া থাকে। যাহারা পুনৰ্ব্বার বিবাহ করে না, তাহার এক একটী দত্তক পুত্র গ্রহণ করিয়া থাকে। আমাদিগের দেশী বিধবাগণ যেমন সি দূর কপালে পরিতে পারেন না, পান খাইতে পারেন না, এদেশী বিধবাগণ মুখে পাউডার লেপন ক্লাৰ্য হইতে বঞ্চিত থাকেন। এবং লাল বর্ণের পরিচ্ছদ পরেন না । নব সম্রাজ্ঞীর প্রাসাদে সচরাচর তাহার আট জন পরিচারিক বা সখী থাকেন। কিন্তু কোন উৎসব উপলক্ষে পরিচারিকার সংখ্যা চতুগুণ বৃদ্ধি হইয়া থাকে। বৃদ্ধ মহারাণীর ধৰ্ম্মকণ্ঠ রাজকুমারী যখন রাজপ্রাসাদে থাকেন, “ তখন তিনি সমস্ত রাজকুমারীগণের শীর্ষস্থানীয়ারূপে গণ্য হইয়া থাকেন। তাহার পদমৰ্য্যাদা দুই নব সম্রাঞ্জীর নিয়ে কিন্তু অপর সকল মহিলাগণের উপরে। রাজপুরীতে যত মহিলা আছেন তাছাদের প্রায় সকলেই পরম্পরের সঙ্গে ঔদ্বাহিক সম্বন্ধে বা রক্তের সম্বন্ধে আবদ্ধ। . রাজপুরীর মধ্যে সম্রাঙ্গীগণের পরিচর্য্যা করিবার জন্য কতকগুলি স্বতন্ত্র পরিচারিক আছে। ৰাহিরের লোকে তাহাদিগকে বাদী বা ক্রীতদাসী মনে করিয়া থাকে। বাস্তবিক তাহার ক্রীতদাসী নহে। প্রতি বৎসর বসন্ত কালে সপ্তম ও অষ্টম সংখ্যক মাৰ্গলৈঙ্কগঙ্গের মিশ্রেণীর ।