পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা । ] AMMMeeAeeeASAMMeAMAAAA********,x ইতিহাস দেশের বিস্তারিত বিবরণ জানাইতে পারিতেছে, তখনকার সুবিখ্যাত সুলতান হুসেন শাহের সময় হইতে আমরা হিন্দুদিগের প্রতি মুসলমান রাজগণের সম্প্রীতির নিদর্শন পাইতেছি । প্রথমে— “যে হুসেন শাহ সৰ্ব্ব উড়িষ্যার দেশে, দেবমূৰ্ত্তি ভাঙিলেক দেউল বিশেষে" (চৈতন্যভাগবত অস্তখণ্ড ) তিনি শেষকালে হিন্দুদিগকে এতাদৃশ উদারচক্ষ দেখিতেন যে, চৈতন্যভাগবত ও চৈতন্যচরিতামৃতে পরিদৃষ্ট হয়, যে তিনি চৈতন্যপ্রভুকে ঈশ্বরের অবতার বলিয়া স্বীকার করিয়াছিলেন। রূপ, সনাতন এবং গোপীনাথ বসু— ওরফে (সুলতান দত্ত উপাধি ) পুরন্দর খাঁ তদায় প্রধান সভাসদ ছিলেন। হিন্দু মুসলমান মিলিত হইয়া সেই সভায় হিন্দুশাস্ত্রের আলোচনা করিতেন। তিনি বঙ্গসাহিত্যেরও প্রধান উৎসাহদাতা ছিলেন। “শ্ৰীকৃষ্ণবিজয়” লেখক মালাধর বসুকে “গুণরাজ খা” উপাধি প্রদান করিয়াছিলেন। এতদ্ভিন্ন তদানীন্তন বঙ্গভাষার লেখকগণ র্তাহাকে যে ভাবে চিত্রিত করিয়াছেন তাহ হইতেও তদীয় উচ্চহৃদয়ের সবিশেষ পরিচয় পাওয়া যায়। "পদ্মপুরাণে” বিজয় গুপ্ত পঞ্চ গৌড়েশ্বর হুসেন শাহকে "সনাতন, ‘নৃপতিতলক' প্রভৃতি উচ্চ গৌরবযুক্ত বিশেষণে ভূষিত করিয়াছেন, । “পদাবলী”কার-– "ষ্ট্ৰীযুত হুসেন, জগতভূষণ, সোহ এ রস জান ; - পঞ্চ গৌড়েশ্বর, ভোগ পুরন্দর, ভণে যশরাজ থান।" বলিয়া স্বকীয় বিনীত কৃতজ্ঞতা জানাইয়াছেন। আর হুসেন শাহের প্রধান সেনাপতি পরাগল খাঁর আদেশে বিরচিত 'পরাগলী মহাভারতে কবীন্দ্র পরমেশ্বর লিখিয়াছেন— "নৃপতি হুসেন শাহ হএ মহামতি । পঞ্চম গৌড়েতে যার পরম মুখ্যাতি ৷ জয়শাস্ত্রে স্বপণ্ডিত মহিমা অপার। কলিঙ্কালে হরি হৈব কৃষ্ণ অবতার ॥” পরাগল খাঁর মৃত্যুর পরে তৎপুত্র ছুটি খাঁ সেনাপতি পদে दूरु श्रेष्ण क्लिनिख निडाइ झुंडेड बैंकब्र नमोप्रु ब्रि মহাভারতের অশ্বমেধপর্ব অনুবাদ করাইয়াছিলেন। নদী

  1. ंशोङ्गं वर्गनङ्ग ौश्ङ्ग सन्निप्राश्न

বঙ্গে হিন্দু ও মুসলমান । సిన(t “ननङ्गठ भांश् उॉऊ (२) अठि भशंब्रांछ । রামবৎ নিত্য পালে সব প্রজা ॥ নৃপতি হুসেন শাহ হএ ক্ষিতিপতি। সীম দীন দণ্ডভেদে পালে বসুমতী ॥” সুলতানের সুযোগ্য পুত্র নসরত শাহও উদারনৈতিক পিতার আদর্শে “ভারত পাঞ্চালী” রচনা করাইয়াছিলেন। অনন্তর মোগলকুলতিলক মহামতি আকবর শাহের নাম প্রধানত উল্লেখযোগ্য । তদীয় উদারচরিত্রে হিন্দু ও মুসলমান স্বার্থ একসূত্রে মিলিত হইয়া রাজদগুকে এক নূতন শক্তি প্রদান করিয়াছিল। প্রকৃতিপুঞ্জ তদীয় সমদশিতাগুণে আকৃষ্ট হইয়া সমপ্রাণে রাজসিংহাসন ধারণ করিয়া রাখিয়াছিল। ততোধিক বিস্ময়ের কথা, সম্রাট স্বয়ং বিজেতুমুলভ অশ্রদ্ধা ও ঔদ্ধত্য পরিহার করিয়া, হিন্দুচরিত্রের ভক্তি, বিশ্বাস, শান্তি প্রবণতা প্রভৃতি মহৎভাৰগুলিকে উদারভাবে আলিঙ্গন করিতে লাগিলেন ; এবং নিজেদের ধৰ্ম্মান্ধত ও তঞ্জনিত উচ্ছৃঙ্খলত শাস্ত না হইলে বা হিন্দুপ্রতি না পাইলে সাম্রাজ্যের কুশল আশা বিড়ম্বনা— ইত্যাদি হৃদয়ঙ্গম করিয়া, তদুপযোগী ব্যবস্থা চালাইতে লাগিলেন। সৌভাগ্যক্রমে তখন ফৈজী, আবুলফজল, নেজামুদিন, প্রভূত উদারনীতিক মন্ত্ৰীগণেরও অত্যুদয় ঘটয়াছিল। তাহার কায়মনোবাক্যে সম্রাটের পোষকতা করিয়াছিলেন । হিন্দু ও মুসলমানের মন্ত্রণা সমভাবে সংযোগ করিয়া রাজবিধি সমূহ প্রণীত হইতেছিল ; আর তৎ সঙ্গে সঙ্গে হিন্দুর প্রতি অবিচার এবং পুরাগত কুসংস্কারাদি প্রায় একরূপ বিদূরিত হইল। সেই বিজাত্নীয় রাজসাহায্যে । হিন্দুর শাস্ত্রগ্রন্থ, কাব্য ও দর্শনাদি অনুদিত হইল। এবং রাজা মানসিংহ প্রধান সেনাপতি, রাজা টোডরমল্প প্রধান রাজস্বসচিব ও রাজা ভগবানদাসপ্রমুখ আরও অনেক হিন্দু উচ্চতম রাজকাৰ্য্যে নিযুক্ত হইলেন । এমন কি, আত্মাভিমানী রাজপুতগণ ‘আচারবর্জিত স্নেচ্ছের প্রতি ঘুণ পরিত্যাগ করিয়া বৈবাহিকবন্ধনে সম্মিলিত হইয়াছিলেন। সেই সুযোগে রাজাস্তঃপুরেও নবভাব সঞ্চারিত হইল। এক কথায়—রাজ্যমধ্যে প্রজাবর্গের সাধারণ এক (১) চট্টগ্রামে নসরত শ্বাহের নাম সবিশেষ প্রসিদ্ধ। এ লিমিত্ত পুত্রের নামে পিতার পরিচয় দেওয়া হইয়াছে।