পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミミo, বসান্তর পুঙ্গসংসর্গে প্রাণে প্রাণে অন্তরে অন্তরে পুষ্পপ্রেমে বিভোর হইয়৷ পুষ্পৰাসিত হইয় উঠে। ১৯৯২-৩ সালে ভারত হইতে ৭,৭৯,৮৭২ টাকার গন্ধতৈল বিদেশে রপ্তানি হইয়াছিল। মধ্যভারতই তৃণতৈলের খনি । এ দেশের উঘায়ুগন্ধ-তৈলের মধ্যে রোজা তৈল সৰ্ব্ব প্রধান । ইহা রোজা নামক এক প্রকার তৃণ হইতে পাওয়া যায় ; এই তৃণ ভারতের সৰ্ব্বপ্রদেশে জন্মে। খুব সম্ভব ১৮ শতাব্দীতে খাদেশের অভু্যদয়ের সময় এই তৈল সেই দেশে প্রথম চেলাই হয় । ১৮২৫ সালে ডাঃ ম্যাক্সবেল ও ১৮২৭ সালে জে, ফরসীথ সাহেব ইহা প্রথম যুরোপ-গোচর করেন। আগষ্ট মাসের শেষে ইহাতে ফুল আরম্ভ হয় এবং অক্টোবর, নভেম্বরের শেষে প্রচুর পুষ্প প্রসব করে ; সেই সময়ে ইহা হইতে অধিক তৈল পাওয়া যায়। ৮ বৎসর পূর্বে যেরূপে চোলাই হইত এখনে৷ সেই প্রখাই প্রচলিত। মুংচুল্লীর উপর লোহার হাড়িতে গাছ জ্বাল দেওয়া হয়। ইড়ির বন্ধ মুখের উপর ৫৬ ফুট লম্ব ২টা সোজা নল সংযুক্ত থাকে ; সেই নল বহিয়া বাষ্প দুইটা জলনিমজ্জিত তাম্রপাত্রের মধ্যে বtয় । ঠাণ্ড পাত্রে গিয়া বাপ জমিয়া তরল হয় । ২৪ ঘণ্টায় ৪ বার চোলাই করিয়া /১ সের তেল পাওয়া যাইতে পারে। এক মরসুমে ১॥• মণ তৈল পাওয়া যায়। খাদেশ প্রদেশে এই তৈল প্রচুর চোলাই হয়। এই তৈল গুণের তারতম্যানুসারে ২, হইতে ৪, পাউণ্ড বিক্রয় হয়। এই তৃণ সৰ্ব্বত্রজ ; অল্প মূলধনেই কাৰ্য্য বেশ চলে। এই তৈল দ্বিবিধ ; এক হরিদ্রাবণ মৃদুগন্ধ, তাহাকে ‘মতিয়া’ বলে ; অন্য কৃষ্ণাস্ত এবং উগ্র গন্ধী জাহাকে সোফিয়া’ বলে । এই ভৈলে কেরোসিন, তাপিণ, রেড়ি প্রভৃতি তৈলের ভেজাল দেওয়া সহজ ; কিন্তু কয়েক ফোট সাদ ব্লটিং কাগজে রাখিয় তাপ দিলেও যদি ব্লটিং কাগজে তেলের দাগ থাকিয়! যায়, তবেই বুঝা যায় ষে তেলে ভেজাল আছে, কারণ বিশুদ্ধ রোজ তৈল উবায়ু, উত্তাপে সমস্তই উবিয়া যায় ও কাগজে দাগ থাকে না । অস্তান্ত রাসায়নিক পরীক্ষাতেও ধরা পড়ে। এই তৈল য়ুরোপে গোলপের আতরের সঙ্গে মিশ্রিত করা হয়। আরব ও তুর্কীরা ইহা দ্বার কেশতৈল করে ; এবং অস্থ্যবিধ সুগন্ধী ও সাবান ব্যবসায়ে ইহা যথেষ্ট ব্যবহৃত হয় । ইহার ব্যবসায় এ দেশে ক্রমশ বৰ্দ্ধিত হইতেছে । ১৯০৫-৬ সালে ২৩৪৩৬ গ্যালন (/৩/• ছটাকে এক গ্যালন ) তৈল ৫,৫১,৪২, টাকায় রপ্তানি হইয়াছে। ইহার উৎপন্ন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মূল্য ক্রমশঃ কমিতেছে ; কিন্তু অধিক বিক্রয় হইলে এক দিকের ক্ষতি অন্ত দিকে পুরণ হইয়া যাইবে । সকল দেশের তৈলের মধ্যে স্পেন দেশের তৈল সৰ্ব্বাপেক্ষ উৎকৃষ্ট; তৎসম তৈল আর কোন দেশে এ পর্য্যন্ত উৎপন্ন হয় নাই । পরিমাণ সম্বন্ধে ভারতের সমকক্ষ আর কোন দেশ নহে। তৈলোৎপাদক নেমু-তৃণ ভারতে জন্মে, ইহার স্বাদ ও গন্ধ নেমুর মত । ইহা হইতে লোহিতাভ পীতবর্ণ তৈল নিঃস্থত হয় । এই তৈল দক্ষিণভারতে উৎপন্ন হয়, এবং এই ব্যবসায় আধুনিক । ১৮৩২ সালে ইহ। ইংলণ্ডে প্রেরিত হইয়াছিল, জানা যায় ; তৎপূর্বের কোন সংবাদ জানা যায় না। ত্রিবাঙ্কুর কোচিনে বৎসরে ছয়মাস ধরিয়া এই ঘাস কঁচা ভাজা প্রচুর পাওয়া যায়। ইহা হইতেও তৈল চোলাই করিয়া বাহির করিতে হয়। প্রত্যেক চোলাইয়ে এক কোয়াট তৈল পাওয়া যায় ; তৎপরিমাণ তৈলের মূল্য প্রায় তিন টাকা। ২৪ ঘণ্টার চোলাইয়ে এক পাইট তেল পাওয়া যায়। এই ব্যবসায় দক্ষিণভারতে ক্রমশঃ পরিচিত হইয়া বিস্তৃতিলাভ করিতেছে। এক্ষণে ষষ্ঠ স্বভাবজাত তৃণের উপর নির্ভর করিয়া না থাকিয় তৃণ চাষের চেষ্টা চলিতেছে। tठण क्लिफ़ेब्र कब्रिव्र जश्ल छ९कृडे षलिग्नां *ब्रिअभिङ हक्क । ১৯০৫-৬ সালে মাত্রাঙ্গ হইতে উবায়ু-গন্ধ-তৈল (প্রধানত নেমুর্তৃণ তৈল ) DDtt BBB GttttH HHmm BBB DBBS BB BB BBBS প্রবাসী । tठल *क्रिमां१ डिन७१ अशिक इश्ल७ मूल अश्कि ठांब्रऊश शर्राः [ ৭ম ভাগ । নাই। কেবল ১৯-২-৩ সালে পরিমাণ ৬২৫৮ গ্যালনের মূল্য ২৪২৩১৯, টাকা হইয়াছিল । এই তৈল নানাবিধ এসেঙ্গ প্রস্তুত করিতে ব্যবহৃত হয়। যবদ্বীপে এই ব্যবসায় আরম্ভ হইয়াছে। সিঙ্গাপুর, সিংহল, টঙ্কিন, আফুিক, ব্রেজিল, ওয়েষ্ট ইণ্ডিজ প্রভৃতি স্থানে অল্প অল্প করিয়া প্রচলিত হইতেছে। ব্যবসায় ক্ষেত্রের বিস্তৃতির সঙ্গে সঙ্গে যুরোপে ইহার আবগুকতার বৃদ্ধি হইতেছে ; সুতরাং ভারতের ব্যবসায়ের ক্ষতি-সম্ভাবনা নাই । সিংহলে একরূপ নেমুতৈল প্রচুর উৎপন্ন হয়। ইহাকে (Citrouetia Oil) বলে ! প্রতি একর জমিতে শীতকালে ৫ হইতে ১· কোয়াট বোতল ও গ্রীষ্মকালে ১৬ হইতে ২০ বোতল তৈল উৎপন্ন হয় । হইতে ৫ • • • • একর জমিতে এই তৃণ উৎপন্ন হইতেছে । ইহা নেমুত্বণ তৈল অপেক্ষ অল্পমূল্য ; এজন্য ইহা নেমুতৈলে ভেজাল দেওয়া হয় । তৃণতৈল ব্যতীত চলনতৈল ভারতের প্রধান পণ্য । চক্ষন কষ্ঠের আদর প্রাচ্য প্রতীচ্যে সমান। মহীশূর রাজ্যে চন্দন প্রচুর জন্মে। মহীশুর গবর্ণমেন্ট ইহার তৈল উৎপাদন করিয়া দেশবিদেশে প্রেরণ করেন। কাঠ চেলাই করিয়া তৈল বাহির করা হয়। মূল হইতে প্রচুর পরিমাণে অতি উৎকৃষ্ট তৈল পাওয়া যায় । একমণ কাষ্ঠ হইতে কয়েক দিন ধরিয়া চোলাই করিয়া ১• আউন্স তেল মিলে। ইহার মূল্য ৮০ টাকায় ১ পাউণ্ড ( ১৬ আউন্স)। যুরোপীয় কারখানায় তৈলের পরিমাণ অধিক ও গুণের উৎকর্ষ হয় । চন্দন তৈল আতরের আধার (base) রূপে ব্যবহৃত হয়। আতরের মধ্যে গোলাপী আতরই উৎকৃষ্ট । দুই শতাব্দী ধরিয়া গাজিপুর গোলাপী আন্তর ও জলের জন্ত প্রসিদ্ধ হইয়| উঠিয়াছে। ১ লক্ষ গোলাপের প্রাণের সৌরভর্টুকু ঘনীভূত হইয়া তিন ড্রাম আতর বা ১• • বোতল জল তৈয়ারি হয়। পারস্ত হইতে প্রতি বৎসর ২• • • • হইতে ৩• • • • গ্যালন গোলাপঞ্জল বোম্বাই বন্দরে জামদানি হয় । গোলাপজল দ্বিবিধ একঅতিসি' বা একবারের চোলাইপ্রাপ্ত এবং ‘দো-জাতিসি' বা দুইবার চোলাই করা । মূল্য ২০ পাউণ্ড কার্বর ৪, হইতে ৪॥• টাকা । তাপিণ তৈল চিল পাইনের তৈলাক্ত আঠ হইতে চোলাই প্রাপ্ত উবায়ু গন্ধ-তৈল । ডেরাডুন, নৈনিতাল, কাংড়া প্রভৃতি স্থানে কারখান আছে । প্রতি বৎসর সেখানে ২• • • • গ্যালন তৈল প্রস্তুত হয়, এবং সমস্তই দেশেই ঔযধার্থ, সমরবিভাগে, রেলবিভাগে, রং ও বাণিশের জন্তু ব্যবহৃত হয় | যুক্যালিপ্টাস তৈল নীলগিরি পাহাড়ের প্রধান ব্যবসায়, পণ্য । । পূৰ্ব্বে নীলআঠ গাছ জ্বালানি রূপে ব্যবহৃত হইত। ২ বৎসর পূৰ্ব্বে উহার পাতা উতকামন্দ উদ্ভিজ্জ-উস্তানে প্রথম চোলাই করা হয়। এই তৈল সংক্রমিক ব্যাধিবীজনাশসক্ষম বলিয়া মহামারির সময় রুমালে थळून दाबशङ श्ब्र । - কপরও ঘনীভূত ভৈল পদার্থ—ইহা ভারতে উৎপন্ন করিদার চেষ্ট৷ চলিতেছে। ইহা চীন, জাপান হইতে এ দেশে আমদানী হয়। ইহার গাছ এদেশের জমির উপযোগী ; কিন্তু কৰ্পর প্রসবের উপযুক্ত হইতে গাছের ৫ • হইতে ১• • বৎসর লাগে। এই জন্য কেহ এই কাৰ্য্যে হস্তক্ষেপ করিতে অগ্রসর হইতেছেন না। কিন্তু দেশের ধনবৃদ্ধির জন্তু ও উত্তরকালে পুত্রপৌত্রাদির অন্নোপায়ের জন্য আপাত স্বার্থ ত্যাগ করিয়া উদ্যোগী পুরুষের এই কাৰ্য্যে অগ্রসর হওয়া উচিত। দশ বৎসর বয়সের গাছের পাতা হইতে অল্প অল্প কৰ্পর সংগ্রহ করাঘাইতে পারে। “श्वमांमैौ ङल” ७ बमांनौ जांब्लक छांद्भरक पह श्रृंब्रिक्रैिल ७ जरुर्दबछ । যোগানের তৈল অল্প তাপেও উড়িয়া যায় এবং তলায়ু দানা বাধে, সেই নোৰে "বােয়নের ফুল" বলে। ইং খাইলের সমধর্মী। মধ্যভারতে 8 • * * • SCAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMMAAA AAAAA