পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা । ] এক অংশ তুলিয়া দেওয়া হয়, হকার জল ফেলিয়া ८न७म्न श्ब्र । তর্ক করিবার বেলায় বলিয়া থাকি, কি করা যায় শাস্ত্র ত মানিতে হইবে। অথচ শাস্ত্রে হিন্দু মুসলমান সম্বন্ধে পরম্পরকে এমন করিয়া ঘৃণা করিবার ত কোনো বিধান দেখি না। যদি বা শাস্ত্রের সেই বিধানই হয় তবে সে শাস্ত্র লইয়া স্বদেশ স্বজাতি স্বরাজের প্রতিষ্ঠা কোনো দিন হইবে না । মানুষকে ঘৃণা করা যে দেশে ধৰ্ম্মের নিয়ম, প্রতিবেশীর হাতে জল থাইলে যাহাঁদের পরকাল নষ্ট হয়, পরকে অপমান করিয়া যাহাদিগকে জাতিরক্ষা করিতে হইবে, পরের হাতে চিরদিন অপমানিত না হইয়া তাহাদের গতি নাই । তাঙ্গর যাহাদিগকে ম্লেচ্ছ বলিয়া অবজ্ঞা করিতেছে সেই স্নেচ্ছের অবজ্ঞা তাহাদিগকে সহ্য করিতে হক্টবেই । মানুষকে মানুষ বলিয়া গণ্য করা যাহাদের অভ্যাস নহে, পরম্পরের অধিকার যাহার স্থঞ্জাতিসূক্ষ্ম ভাবে সীমাবদ্ধ করিয়া রাখিবার কাজেই ব্যাপৃত ; য়াহারা সামান্ত স্খলনেষ্ট আপনার লোককে ত্যাগ করিতেই জানে, পরকে গ্রহণ করিতে জানে না ; সাধারণ মানুষের প্রতি সামান্ত শিষ্টতার নমস্কারেও যাহাঁদের বাধা আছে ; মানুষের সংসর্গ নানা আকারে বঁাচাইয়া চলিতে যাহাদিগকে সৰ্ব্বদাই সতর্ক ইষ্টয়া থাকিতে হয় মনুষ্যত্ব হিসাবে তাহাদিগকে দুৰ্ব্বল হইতেই হইবে। যাহারা নিজেকেই নিজে খণ্ডিত করিয়া রাথিয়াছে, ঐক্যনীতি অপেক্ষ ভেদবুদ্ধি যাহাদের বেশি, দৈন্য, অপমান ও অধীনতার হাত হইতে তাহারা কোন দিন নিস্কৃতি পাইবে না। যাহা চউক "ঝুমুৰী’ যুদ্ধ ঘোষণা করিয়া আমরা বাহির হইলাম এবং দেশধৰ্ম্মগুরুর নিকট হইতে স্বরাজমন্ত্রও গ্রহণ করিলাম ; মনে করিলাম এষ্ট সংগ্রাম ও সাধনার যতকিছু বাধা সমস্তই বাহিরে, আমাদের নিজেদের মধ্যে আশঙ্কার কারণ কিছুই নাই। এমন সময় হঠাৎ আমাদের ভিতরকার বিচ্ছিন্ন অবস্থা বিধাতা এমন সুকঠোর সুস্পষ্ট আকারে দেখাইয়া দিলেন যে আমাদের চমক লাগিয়া গেল। আমরা নিজেরাই নিজেদের দলনের উপায়, অগ্রসর হইবার প্রতিবন্ধক, একথা যখুন নিঃসংশয়রূপে ধরা পড়িল তখন এই কথাই মামাদিগকে বলিতে হইবে যে, স্বদেশকে উদ্ধার ఇలిన করিতে হইবে ; কিন্তু কাহার হাত হইতে ? নিজেদের পাপ হইতে । ইংরেজ সমস্ত ভারতবর্ষের কাধের উপরে এমন করিয়া যে চাপিয়া বসিয়াছে সে কি কেবল নিজের জোরে ? আমাদের পাপই ইংরেজের প্রধান বল। ইংরেজ আমাদের ব্যাধির একটা লক্ষণ মাত্র ; লক্ষণের দ্বারা ব্যাধির পরিচয় পাইয়া ঠিকমত প্রতিকার করিতে না পারিলে গায়ের জোরে অথবা বন্দেমাতরম্ মন্ত্র পড়িয়া সন্নিপাতের হাত এড়াইবার কোনো সহজ পথ নাই । - বিদেশী রাজা চলিয়া গেলেই দেশ যে আমাদের স্বদেশ হইয়া উঠিবে তাহা নহে। দেশকে আপন চেষ্টায় আপন দেশ করিয়া গড়িয়া তুলিতে হয়। অন্নবস্ত্র মুখ স্বাস্থ্য শিক্ষা দীক্ষাদানে দেশের লোকই দেশের লোকের সর্বপ্রধান সহায়, দুঃখে বিপদে দেশের লোকেই দেশের জন্য প্রাণপণ করিয়া থাকে ইহা যেখানকার জনসাধারণে প্রত্যক্ষভাবে জানে সেখানে স্বদেশ যে কি তাহা বুঝাইবার জন্য এত বকবিকি করিতে হয় না। আজ আমাদের ইংরেজিপড়৷ সহরের লোক যখন নিরক্ষর গ্রামের লোকের কাছে গিল্পী বলে আমরা উভয়ে “ভাই”—তখন এই ভাই কথাটার মানে সে বেচারা কিছুই বুঝিতে পারে না। যাহাদিগকে আমরা “ੱਥ বেট” বলিয়া জানি, যাহাদের মুখচুঃখের মূল্য আমাদের কাছে অতি সামান্য, যাহাঁদের অবস্থা জানিতে হইলে আমাদিগকে গবর্ণমেণ্টের প্রকাশিত তথ্যতালিকা পড়িতে হয়, সুদিনে দুৰ্দ্দিনে আমরা যাহাদের ছায়া মাড়াই না, আজ হঠাৎ ইংরেজের প্রতি স্পৰ্দ্ধা প্রকাশ করিবার বেলায় তাহাদের নিকট ভাই সম্পর্কের পরিচয় দিয়া তাহাদিগকে চড়া দামে জিনিষ কিনিতে ও গুর্থার গুতা থাইতে আহবান করিলে আমাদের উদ্দেশ্যের প্রতি সন্দেহ জন্মিবার কথা । সন্দেহ জন্মিয়াও ছিল । কোনো বিখ্যাত “স্বদেশী” প্রচারকের নিকট শুনিয়াছি যে পূর্ববঙ্গের মুসলমান শ্রোতার তাহাদের বক্তৃতা শুনিয়া পরস্পর বলাবলি করিয়াছে যে বাবুরা বোধ করি বিপদে ঠেকিয়াছে। ইহাতে র্তাহার বিরক্ত হইয়াছিলেন কিন্তু চাষা ঠিক বুঝিয়াছিল। বাবুদের স্নেহ সম্ভাষণের মধ্যে ঠিক মুরটা যে লাগে না তাহা তাহাদের বুঝিতে বিলম্ব হয় নাই। উদ্দেশু সাধনের উপলক্ষ্যে গ্রেমের