পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/২৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨68 o AMeAMAMMMASAMAMMAAASAAAA ,পরদিন কাছারি বন্ধ ছিল। প্রভাতে উঠিয়া ভৃত্যকে বলিলেন—“আজি মফস্বল যাইব ।” সকালে আহারাদি করিয়া প্রস্তুত হইলেন। ইহা শুনিয়া চারুশীলা আসিলেন। স্বামীর মুখপানে চাহিয় তাহার মনের অবস্থা বুঝিতে পারিলেন। বুঝিয়া সতীর মন করুণায় দ্রবীভূত হইল। কাছে আসিয়া বলিলেন—“কবে ফিরবে ?” “কাল সকালেই ফিরব ।” “দেরী কোরে না।” “কেন, দেরী হলে তোমার দুঃখ কি ?” স্বামীর এই অভিমানবাক্যে চারুশীলার কোমলহৃদয় ব্যথিত হইল। তিনি স্বামীর বক্ষে মুখ লুকাইয়া নীরবে অশ্রপাত করিতে লাগিলেন । নগেন্দ্র বাবু বলিলেন--“ওকি—ওকি-শাস্ত হও। এখনি কেউ এসে পড়বে।” কিন্তু চারুশীলার দুঃখ দ্বিগুণ বৰ্দ্ধিত হইল । নগেন্দ্র বাবু বলিলেন--"তোমার এ দুঃখ আমি আর দেখতে পারিনে। যা হবার তা হয়ে গেছে। করলে তুমি সুখী হও বল।” চারুশীলা স্বামীবক্ষ হইতে মুখ অপসৃত করিয়া বলিলেন—“আমায় একটি ভিক্ষা দেবে ?” “কি, বল।” "এ চাকরি ছাড় । যে চাকরি বজায় রাখবার জন্তে অধৰ্ম্ম করতে হয়, সে চাকরিতে কাজ কি ? আমি তোমার তিনশো টাকা চাইনে। আমি এ ধনদৌলত, সোণ রূপে চাইনে । তুমি যদি মাষ্টারি করেও আমায় মাসে পঞ্চাশ টাকা এনে দাও, আমি তাইতেই সংসার চালিয়ে নেব।” এ কথা শুনিয়া ডেপুটি বাবু একমুহূর্ত মাত্র ভাবিলেন। ভাবিয়া বলিলেন—“তাই হবে।” বাহিরে গাড়ী আসিয়া দাড়াইয়াছিল। টেশের সময় সন্নিকট । ডেপুটি বাবু বললেন—“তাই হবে । তুমি কেঁদ না।” বলিয়া পত্নীকে সস্নেহে চুম্বন করিয়া বাহিরে আসিলেন । 替 崇 崇 骼 পরদিন প্রভাতে চাপরাশি ডাক লইয়া আসিল । ডেপুটি এখন কি প্রবাসী । SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS [ १भ छांश । SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS বাবু তখনও মফস্বল হইতে ফেরেন নাই । চারুশীল দেখিলেন কয়েক খানি চিঠির সঙ্গে, এক বোঝা সংবাদপত্র । এত সংবাদপত্র কোনও দিন আসে না। একখানি খুলিয়া দেখিলেন, “সন্ধ্যা’ পত্রিক । “ফরিদসিংহে ঘটিরামলীলা” নামক একটি প্রবন্ধ রহিয়াছে—তাহার চারি পার্থে লাল কালীর রেখাঙ্কিত। ছাত্রদের মোকৰ্দমার উল্লেখ করিয়া “সন্ধা” তাহার নিজস্ব অপভাষায় নগেন্দ্রবাবুকে ভয়ঙ্কর গালি দিয়াছে। সমস্ত প্রবন্ধ পাঠ করিবার ধৈর্য চারুশীলার রহিল না। অপর একখানি পত্রিকা খুলিী দেখিলেন, তাহাও ঐ তারিখের “সন্ধ্যা”—ঐ প্রবন্ধ লাল পেন্সিল দ্বারা রেখাঙ্কিত। এইরূপ গণিয়া দেখিলেন, ভিন্ন ভিন্ন প্যাকেটে ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি সেই তারিখের সতেরো খান “সন্ধ্যা’ কলিকাতা হইতে সকৌতুকে নগেন্দ্র বাবুর নামে পাঠাইয়া দিয়াছে। পাছে স্বামীর দৃষ্টিপথে পতিত হয়, এই আশঙ্কায় সমস্ত “সন্ধ্যা” গুলি চারুশীলা লইয়া জলন্ত চুল্লীমধ্যে নিক্ষেপ করিলেন । 翰· বেলা ৯টার সময়,ডেপুটি বাবু ফিরিলেন এবং তাড়াতাড়ি আহারাদি করিয়া কৃষ্ঠারি গেলেন । চারুশীল পুত্রকে বলিলেন—“আজ ইস্কুল গেলি নে ?” “না আজ যাব না ।” “কেন, ছুটি আছে না কি ?” “না।” “তবে ?” “ইস্কুলে গেলে ছেলেরা আমায়—’বলিয়া বালক আর বলিতে পারিল না। তাহার চক্ষু দিয়া টস্টস করিয়া জল পড়িতে লাগিল। ইতিমধ্যেই পথে ঘাটে অষ্টান্ত বালকের তাহাকে অপমান করিয়াছে। t চারুশীলা বুঝিলেন । বলিলেন—“আচ্ছ। তবে থাক । আমারও একটু কাজ আছে।” দ্বিপ্রহরে গাড়ী ডাকিয়া, পুত্রকে गात्र लहेब्रा ङिनि বাহির হইলেন। কালীকান্ত বাবু উকীলের বাড়ী গিয়া তাহার স্ত্রীর সহিত সাক্ষাৎ করিলেন। . s সে দিন সেখানে আধুও দুই তিনটি উকীলের স্ত্রী সমবেত হইয়াছিলেন। চারুশীলকে দেখিয়া অন্তান্ত মহিলার কোনও কথা বললেন না, মুখ ভারYরিয়া রছিলেন।