পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা । ] میrے .. همهی به سه سیم مسیه "هه ه"مه কালীকান্ত বাবুর স্ত্রী তাছাকে অভ্যর্থনা করিয়া বসাইলেন। কিন্তু সে অভ্যর্থনা পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব বারের মত সাদর নহে। চারুশীলা বসিয়া, অন্যান্য কথার পর, ছেলেদের মোকদঁমার কথা তুলিলেন। একটি মহিলা বলিলেন—“ওটা বড়ষ্ট দুঃখের বিষয় হয়েছে।” কালীকান্ত বাবুর স্ত্রী বলিলেন—“আপিলে বোধ হয় টিকবে না, ওরা বলছিলেন।” একজন বলিলেন—“তবে যদি স্বদেশী মোকৰ্দমা বলে সাহেবেরা অবিচার করে।" চারুশীল জিজ্ঞাসা করিলেন—“আপিলের দিন কবে হয়েছে জানেন ?” “কবে ঠিক বলতে পারিনে। শীঘ্রষ্ট হবে।” "ছেলের কলকাতা থেকে কোনও ভাল ব্যারিষ্টার নিয়ে আসুক।” “সে অনেক টাকা থয়চ। এরাই করবেন এথন।” l চারুশীলা অবনত মস্তকে বলিল-\“টাকা আমি দেব ।” এ কথায় সকলেষ্ট একটু বিস্মিত হইলেন। কালীকান্ত বাবুর স্ত্রী বলিলেন—“আপনি দেবেন কেন ?” চারুশীলার মনে যাহা ছিল, মৃখে তাত ব্যক্ত করিলেন না । করিলে তাহী পতিনিনদীর মত শুনায় । কিন্তু তাহার চক্ষু দুইটি জলপূর্ণ হইয়া আসিল । বলিলেন—“আপনার এই মোকৰ্দমায় ছেলেদের সাহায্যের জন্ত কত টাকা ব্যয়, কত ত্যাগস্বীকার করছেন। আমি কি এর জন্য কিছু ত্যাগস্বীকার করবার অধিকারী নষ্ট ? আমি এই এক জোড় বালা এক জোড়া অনন্ত এনেছি। এ বেচলে হাজার টাকার উপর হবে। এই টাকা দিয়ে কলকাতা থেকে ছেলেদের আপিলের দিন কোন ভাল ব্যারিষ্টার আনাবার বন্দোবস্ত করুন। আমার মনে একটু শান্তি যাতে পাই, তার উপায় করুন।” ইহা বলিতে বলিতে চারুশীলার ও ছেলের কোথায় পাবে ? বহিয়া অঙ্গ ঋরিল। কালীকান্ত বাবুর স্ত্রী গহনাগুলি লইলেন। বলিলেন“আচ্ছ, উনি বাড়ী আম্বন, ওকে বলবাে।” এই ঘটনার অন্তান্ত মহিলাগণের মনও দ্রবীভূত হইল। খালাস । ૨d& তাহারা তখন চারুশীলার সঙ্গে হাসিমুখে আলাপ করিতে লাগিলেন । কিয়ৎক্ষণ পরে চারুশীলা বিদায়গ্ৰহণ করিয়া স্বভবনে ফিরিয়া আসিলেন। সপ্তম পরিচ্ছেদ । ছেলেদের আপিল শেষ হইয়া গিয়াছে। কলিকাতা হইতে বড় ব্যারিষ্টার অনা হইয়াছিল, কিন্তু কিছুতেই কিছু হইল না। জজ সাহেব আপিল ডিসমিস করিলেন। ছেলের জেলে গিয়াছে । তাইকোর্টে মোশনের বন্দোবস্ত হইতেছে। এ দিকে নগেন্দ্রবাবুর স্ত্রী যে গহনা বিক্রয় করিয়া ছেলেদের সাহায্য করিয়াছেন, তাহা সহরময় রাষ্ট্র সৃষ্টয়া গিয়াছে। মাজিষ্ট্রেট সাহেবের কাণেও একথা উঠিয়াছে। শুনিয়া অবধি তিনি নগেন্দ্রবাবুর উপর বড় কঠোর আচরণ করিতেছেন । ইতি মধ্যে একদিন কাৰ্য্যোপলক্ষে সাহেব খাসকামরায় নগেন্দ্রবাবুকে তলব করিয়াছিলেন। পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব বারের মত র্তাহাকে বসিতে অনুরোধ করেন নাই। আমলার মত দাড়াইয়া থাকিয়৷ এবার সাহেবকে কাজ বুঝাইয়া দিতে হইয়াছিল । কয়েক দিন পরে নগেন্দ্রবাবুর একটা রায়, জজ সাহেব উণ্টাটয়া দিলেন । এষ্ট উপলক্ষে নগেন্দ্রবাবুর দোষ না থাকিলেও, কার্য্যে ভুল ধরিয়া, সাহেব অমিলাগণের সমক্ষেই নগেন্দ্রবাবুকে অভদ্রভাবে কটুক্তি করিলেন। নগেন্দ্রবাবু কৰ্ম্মত্যাগ করিবার জন্য প্রস্তুতই হইয়াছেন। কলিকাতায় গিয়া, আইন পরীক্ষা দিয়া, ওকালতী করিবেন। মাঝে মাঝে স্বামী স্ত্রীতে এ বিষয়ে জল্পনা কল্পনা হইয়া থাকে। মাসখানেকের মধ্যেই কৰ্ম্মত্যাগ করবেন ইহাই আপাততঃ স্থির হইয়াছে । জজ সাহেব কর্তৃক ছেলেদের আপিল ডিসমিনের দুই এক দিন পরে, ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব তাহাকে কুঠিত্বে ডাকাইয়া পাঠাইলেন। পূৰ্ব্বে স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া মাঝে মাঝে তিনি ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেবকে সেলাম করিতে যাইতেন, ইদানীং আর যান নাই। সে দিন প্রভাতে পোষাক পরিয়া, গাড়ী করিয়া, নগেন্দ্র বাবু সাহেবের কুঠিতে উপস্থিত হইলেন। নিজ কাড পাঠাইয়া দিলেন। ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেবের রীতি ছিল, হাকিম