পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা । ] পুষ্পহার। ফ্রাঙ্কলিন যখন বাইশগজী পরিদর্শন করেন, তখনও তাহার সৌন্দৰ্য বৃক্ষলতায় এখনকার মত আচ্ছন্ন হইয়া পড়ে নাই। তিনি বিস্মিতনেত্রে এই বিচিত্র প্রাসাদপ্রাচীর পরিদর্শন করিয়া লিখিয়া গিয়াছেন,—“শীর্ষদেশে খোদিত ইষ্টকের বিচিত্র পুষ্পশোভার প্রাচুর্য্য। প্রাসাদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস প্রাপ্ত হইয়াছে। পূৰ্ব্বে তাহা তিন মহলে বিভক্ত ছিল। প্রথম মহল প্রকাশু দরবার মহল । দ্বিতীয় - মহল বাদশাহের খাসমহল। তৃতীয় মহল বেগম মহল। পশ্চিম পাশ্বে বিখ্যাত “চাদদ্বার” বর্তমান ছিল ; তাহা মুসলমান স্থাপত্যের মহামূল্য ইষ্টক প্রস্তরময় রচনা কৌশলে স্বরচিত হইয়াছিল। এখন দিন দিন ধ্বংস দশায় নিপতিত হইতেছে ; তথাপি সে ধ্বংসাবশেষ এখনও সৌন্দৰ্য্যগম্ভীর্য্যের পরিচয় প্রদান করিতেছে ।*” ফ্রেটন সাহেব “চাদ দ্বারের” একটি চিত্র রাথিয়া গিয়াছেন। এই রাজদুর্গ, এই রাজপ্রাসাদ, এই রাজঅন্তঃপুর এবং এষ্ট বিচিত্র প্রাচীর বেষ্টিত মহাল সকল সেকালে কত বিচিত্র ঘটনা দর্শন করিয়াছে, তাহার কথা স্মরণ করিলে স্বপ্লমোহে অভিভূত হইতে হয় । বঙ্গসাঙ্গিত্যের উপন্যাসলেখকগণ স্কটের গৌরব লাভ করিতে লীলায়িত ; কিন্তু স্কটের স্তায় স্বদেশের পুরাভন দৃশ্রাবলী লইয়া উপন্যাস রচনার জন্ত লীলায়িত হষ্টলে, এই সকল দৃপ্ত বঙ্গসাহিত্যে অমর হইয়া রহিত। মহল তিনটি পর্য্যায় ক্রমে উত্তর হইতে দক্ষিণে অবস্থিত। বাইশ গজীর অভ্যন্তরে যে ভূমিখণ্ড অবস্থিত ছিল, তাহ উত্তর হইতে দক্ষিণে প্রসারিত। প্রথম মহল,—দরবার মহল,—সৰ্ব্বাপেক্ষা সংকীর্ণ তাহাতে যে সরোবর আছে। তাহাও বৃহৎ নহে। দরবার মহলের দক্ষিণে বাদশাহের

  • The upper part of the parapet is decorated with a profusion •of flower work carved in the brick. The palace is entirely in ruins. It was formerly divided into three parts, viz.-the public hall of audience, the dwelling house of the sovereign, and the Imperial Harem. At its western entrance formerly stood the famous:Chand Durwaza, built of.brick and stone in a rich style of Musalman architecture. It is now verging daily to decay, though its remains are even still magnificent-Francklin's Report,

গৌড়-দুর্গ રGS ۶** همه ماهیهای ه» حبیبیسه سه - به AAAAAAAS AAASASAAA AAAAeAAASAAAAASA SAASAASSAAAAA AAAASA খাস মহল ; তাহার দক্ষিণে বেগম মহল ;–আয়তনে এই উভয় মহল প্রায়, সমতুল্য। তিন মহলের সমগ্র ভূমির আয়তন ৭০০ গঙ দীর্ঘ ২৫০ গজ প্রস্থ । সুতরাং বাইশ গজী প্রাচীর ১৯০০ গজ দীর্ঘ ছিল বলিয়া ধরিয়া লইতে হইবে। এক মহল হইতে অন্ত মহলের পার্থক্য রক্ষার্থ পূৰ্ব্ব পশ্চিম লম্বা আরও দুইটি প্রাচীর ছিল, তাহাও বাইশগজী। সৰ্ব্বসাকল্যে বাইশ গজীর পরিমাণ ২৪০ • গজের কম হইবে না। এরূপ প্রাচীর রচনায় কত অর্থ ব্যয়িত হইয়াছিল, কে তাহার ইয়ত্ত করিবে ? বাইশ গজাঁর বিচিত্র কীৰ্ত্তি কাহার, তদ্বিষয়ে কৌতুহল চরিতার্থ করিবার উপযুক্ত প্রমাণ বর্তমান ছিল। গুয়ামালতীর কুঠিতে একখানি প্রস্তর ফলকের খোদিত লিপিতে ফ্রাঙ্কলিন সে বিচিত্র কাহিনী পাঠ করিয়াছিলেন। তিনি তাহার মুল ও ইংরাজি অনুবাদ লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন। তাহাতে দেখিতে পাওয়া যায়,--শৃষ্টীয় ১৪৬৬ অব্দে বাদশাহ বাৰ্ব্বক শাহ কর্তৃক এই বিচিত্র প্রাচীর, প্রাসাদ ও সরোবর এবং পুষ্পোদ্যান প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। দখল-দরওয়াজ এবং বাইশ গজীর গঠন প্রতিভার মধ্যে যে সামঞ্জস্ত দেখিতে পাওয়া যায়, তাহ ফলকলিপির অনুকুল । সিংহদ্বায় হইতে অন্তঃপুর পর্যন্ত সমস্তই এক বাদশাহের অতুল কীৰ্ত্তি—এক ভাবে সুগঠিত,—এক ভাবে সুরক্ষিত,—এক ভাবে সুসজ্জিত —বৃহৎ এবং সুন্দর * দুঃখের বিষয় এই যে,—বাইশ গজী রক্ষা করিবার জন্য জীর্ণ সংস্কার অরন্ধ হয় নাই। তাহ বহুব্যয়সাধ্য বলিয়া পরিত্যক্ত হইতেছে ! 爱 বাইশ গঙ্গীর বাহিরে--উত্তর দিকে—দুর্গাভ্যন্তরে যে উন্মুক্ত প্রান্তর পড়িয়া রহিয়াছে, তাহাতে কদলীবন জন্মগ্রহণ করিতেছে । এই স্থানে সুবিখ্যাত বাদশাহ হোসেন শাহার, সমাধি,—তাহা এখন অনাদরে বিলয় প্রাপ্ত হইতেছে!

  • যে কবি ফলকলিপি রচনা করিয়াছিলেন, তিনি এই সকল কীৰ্ত্তিসংস্থাপক বাদশাহের কথা স্মরণ করিয়া লিখিয়া গিয়াছিলেন,-“For ever let us pray to the Almighty for the prosperity of this monarch, so long as the feathered tribe shall warble forth their notes in this garden.” goas wo বিহঙ্গগণ এখানে প্রভাতে সন্ধ্যায় গান করিতে বিরত হয় নাই ; কিন্তু সে উদ্যান নাই—তাহার স্থানে বনভূমি বর্তমান ; -