পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS ኟዓ8 থেতো করিয়া সেই কুঁচি সর্ষপ তৈলে ডুবাইয়া মাঝে মাঝে টানার উপর বুলাইয়া দেয়। ১০১২ ইঞ্চি কাপড় বুন হয় . আর তাহার উপর একটু করিয়া চুণের জল ছড়াইয়া ‘নাটনারদে জড়াইয়া রাখে । দ্বিপ্রহরে কাপড় ভালো হয় না, এজষ্ঠ প্রাতঃ-সন্ধ্যায় তাতিরা কাপড় বুনিয়া থাকে। আষাঢ় শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে বায়ুমণ্ডল জলবাষ্প পূর্ণ থাকে, ঐ তিন মাসই বস্ত্র বয়নের উত্তম সময় । গরম শুখার সময় তাতের নীচে চিটকে পাত্রে জল রাখিয়া বাষ্প সংগ্রহ করে । বাম্পাভাব হইলে স্থতা ছিড়িয়া যায় । শুধু টানা তৈয়ারি করিতে দুজন লোকের ১• হইতে ৩০ দিন লাগে। দুজন লোকে বুনিতে আরম্ভ করিলে সাধারণ কাপড় ১০ হইতে ১৫ দিন, সূক্ষ্ম ২০ দিন, সুস্থ ক্ষু ৩০ দিন, অতি স্বক্ষ ৪০.৪৫ দিন এবং অতি স্বক্ষ ডুরে বা চারখানা বুনিতে ৬০ দিন লাগে। ৭০৮-২ টাকার মলমল থান বুনিতে ৫/৬ মাস লাগে । ফুলদার জামদানি কাপড় বুনতে ফুলের নক্সা কাগজে আঁকিয়া সেই কাগজ টানার নীচে ধরে ও তাঁহারই রেখার অমুসরণ করিয়া ফুল বুনে । কাপড়ের নাম ও প্রকার । মসলিন সাধারণত ২০ গজ লম্বা ও ১ গজ চৌড় হয় । মসলিনের দুই পাশে ছিলা থাকে। মিশরের মর্মী [ অর্থাৎ রক্ষিত মৃতদেহ ] শরীরে জড়ান কাপড় ঠিক মসলিনের মত ছিলাদার ; হাজার হাজার বৎসর অবিকৃত রহিয়াছে। মসলিনের মধ্যে প্রধান গুলির নাম নিম্নে প্রদত্ত হুইল— (১) মলমুল খাস—অর্থাৎ খাস রাজারাজড়ার ঘরে ব্যবহারের জন্ত । ইহাই “আদ্ধি’ অর্থাৎ ১০ গজ লম্বা ১ হাত চৌড় । ওজন ৮ তোলা ৬ আনা । মুল্য ১০০২ টাকা । হাতের অঙ্গুরীয়ের মধ্য দিয়া গলিয়া যাইতে পারে। ইহাকে লুতাজালের সহিত তুলনা করিলেও অত্যুক্তি হয় না। ইহা বড় ঘরের মেয়ের পরিধান করিতেন। নগ্নতা নিবারিত কেমন করিয়া হইত ? (২) ঝুনা—অর্থাৎ সুহ্ম। দেশীয় নর্তকী গায়িকার এবং অস্থর্যাম্পশু অন্তঃপুরিকারাই শুধু ব্যবহার করে। তিব্বতীয় স্থলবা’ নামক গ্রন্থে বর্ণিত আছে যে—কলিঙ্গরাজ কোশলরাজকে এই বস্ত্র উপঢৌকন দিয়াছিলেন । এই বস্ত্র প্রবাসী । AASAASAASAASAAeAeAAS AAASASASS [ ৭ম ভাগ । AA AMeeSAMMMSAeMSAMAeSAeeSMAeAMMeMMeee Ae AMSMS Gtsug-Dgah-mo Rtữ grę fyrst3, zgsię z: ; সে ইহা পরিধান করিয়া প্রকাগু স্থানে উপস্থিত হয়, তাহার নগ্নতা আবরিত হয় নাই। তদবধি ভিক্ষুণীদিগের এই বস্ত্র পরিধান নিষিদ্ধ হইয়াছে । টেবানিয়ে তাহার ভ্রমণকাহিনীর মধ্যে লিখিয়াছেন যে, এবংবিধ বস্ত্র বিদেশে রপ্তানি হইতে পারিত না, মোগল দরবারে ও দরবারী অtiমর ওমরাহুদিগের জন্তই সমস্ত ক্রীত হইত। পুরস্ত্রীরা গ্রীষ্মকালের পোষাক করিতেন এই কাপড়ে এবং রাজারাজড়ার এই বস্ত্রপরিহিত রমণী লাস্তলীলা দেখিয়া বড়ই কৌতুক অনুভব করিতেন । (৩) রং—ঝুনার মত উলঙ্গ বাহার কাপড়, . (৪) আবৃ-রবান্‌-অর্থাৎ বহমান ( রবান্‌) জল ( আৰু)। সম্রাট ঔরংজেব তাহার কস্তার পরিচ্ছদের অভ্যস্তরে সকল অঙ্গ সুস্পষ্ট দেখা যাইতেছে দেখিয়া কস্তাকে ভৎসনা করিয়াছিলেন । কস্তা তদ্ভুত্তরে বলিয়াছিলেন যে তিনি ত’ আবরুর জন্ত সাত সাতটা জামা পরিয়াছিলেন। নবাব আণীধদা খায়ের আমলে একখানা আবৃরুয়া কাপড় ঘাসের উপর মেলিয়া দেওয়া হইয়াছিল সেই কাপড় ঘাসের মধ্যে অদৃশু হইয়া গিয়াiছল, একটা গাভী চরিতে চরিতে ঘাসের সঙ্গে গোটা কাপড় থানাই খাইয়া ফেলিয়াছিল। (৫) সরকার আল—প্রাদেশিক শাসনকৰ্ত্তাদের জন্ত প্রস্তুত হইত। - (৬) খাসা—-ইহার উৎকৃষ্টতম কাপড়ের নাম জঙ্গল থাসা । (৭) শুব-নাম-প্রভাত শিশির, বা শব-নাম-সন্ধ্যার শিশির (৮) আলবল্লা—এই বস্ত্র গ্রীক যোদ্ধারা বৰ্ম্মের উপয় পরিত ; সেই পরিচ্ছদের নাম ছিল "আবোল্লা । (৯) তন্‌-জেব—তন মানে দেহ, জেব মানে অলঙ্কার । (১০) তরহ-উদ্দাম—প্রায় উলঙ্গ (?)। (১১) নয়ন-সুখ—নয়নানন্দকর বস্ত্র বলিয়া এই নাম হইয়াছে। ' s . (১২) বদন-খাস-কেবল দেহ, এই বস্ত্র পরিলে দেহ ভিন্ন বস্ত্র লক্ষ্য হয় না বলিয়া বোধ হয় এই নাম। (১৩) শল্প-কঙ্গ-শিরোবন্ধন, পাগড়ীর কাপড়।