পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা । ] , ‘দাগধুৰী মসলিনের সকল প্রকার দাগ দূর করে। আমরুল শাকের রস দিয়া লৌহায় দাগ উঠায়। অষ্ঠবিধ দাগ উঠাইতে খি, চুণ ও খনিজক্ষার ব্যবহার করে। ‘কুন্দেগর’ তেঁতুল কাঠের তক্তার উপর মসলিন বিছাইয়া চালের জল ছড়া দেয় আর মসৃণ শীথ ঘসিয়া পালিশ করিয়া দেয় । - .ইস্ত্রীওয়ালা’ অবশেষে ইস্ত্রী করে। ফুলদার মসলিন .উপর নীচে কাগজের মধ্যে রাথিয়া তবে ইস্ত্রী করে। এই কাজ বোধ হয় মুসলমানদিগের দ্বারা ভারতে প্রবর্তিত হইয়াছে। , "নারদীয়া’ কাপড় ভাজ করে, বস্তাবনা’ প্যাক করে। দুখান৷ তক্তার মধ্যে কাপড় রাখিয়া দড়ি বাধিয়া সেই দড়িতে দুইটা লাঠি লাগাইয়া মোড় দিয়া দিয়া গাট কশে। ট্যাবর্ণিয়ে লিখিয়াছেন যে মহম্মদ আলি বেগ পারস্তের দূত ভারতে ছিলেন। পারস্তে প্রত্যাবৃত্ত হইয়া শাহকে একটি মুক্ত খচিত নারিকেল খোল উপঢৌকন দেন । সেই নারিকেল থোলের মধ্যে ৬০ হাত লম্বা মসলিনের পাগড়ী क्लिश । সূচীকৰ্ম্ম । ভারতে সুচীকৰ্ম্ম প্রায় মুসলমানসম্প্রদায়ের মধ্যে আবদ্ধ । ধুবীজাতীয় স্ত্রীলোক ভিন্ন হিন্দুরা ইহার চর্চা করে না। .সুক্ষ্ম সুচীকৰ্ম্ম ও বেল চিকণ প্রভৃতির উদ্ভব ইয়াছিল মিশরে। নবম শতাব্দীতে মিশর আরব গ্রীসের সঙ্গে বঙ্গের ব্যবসায় সম্পর্ক ছিল, সেই সময় উহা বঙ্গে আসিয়া থাকিবে। কিন্তু এলিজাবেথের সময়, ১৫৪০ সালে একজন ভারতী প্রথমে ইংলওে স্বচী নিৰ্ম্মাণ-পদ্ধতি প্রবর্তিত করে ; প্রবর্তকের মৃত্যুর সঙ্গে সেই সহজ শিল্পও লুপ্ত হইয়া ১৫৬০ সালে পুনরুদ্বুদ্ধ ER (See Art of Needle Work by the Countess of Wilton, p. 254). সীবন শিল্পের মধ্যে “সিলাই সাধারণ। সিলাইকর ‘দঙ্গ প্রায় মুসলমান। তৎপরে ‘রফুর্গর ; ইহার স্বঙ্গ মসলিন হইতে ২০ গজ স্থতা বাহির করিয়া সেই খানে অন্ত একটা স্বতা বেমালুম পরাইয়া দিতে পারে। মসলিন ধোলাই হওয়ার পর যদি কোন এক থেই স্বত ঈষৎ बूण cवष श्ब्र, ब्रङ्कङ्ग फोश बाँश्ङ्गि कतिग्र गङ्ग रङ ঢাকার বস্ত্রব্যবসায় । २११ পরাষ্টয়া দেয়। ইহাকে চুনাই বলে। প্রায় সকল রফুল্লাগর আফিংখোর, নেশা না লাগিলে ভালো কাজ করিতে পারে না । জর-দো-জী (embroidery) বা ফুলকাটা কিনারা করা ঢাকার প্রসিদ্ধ শিল্প। এখানকার সোণ রূপা বা রেশমের কাজকরা কাপড় ফ্রান্সে যাইত । ঝিকি পোকার পক্ষ দ্বারাও শাল রুমাল মসলিন মশারীতে ফুলকাটা হইত। শল্ম চুমকীর নকশি কাজ করিতে কাপড়ের উপর খড়ির নক্সা আঁকিয়া দাগে দাগে সেলাই করা হয়। এই ব্যবসামীদিগকে "জরদোজ’ বলে । চিকণকারী বা চিকণদোজী—জালিফুলকাটা। ইহা এক্ষণে বঙ্গদেশে লুপ্ত হইয়া গিয়াছে। এক্ষণে লক্ষেী সহরের চিকণের কাজ পৃথিবীর মধ্যে সুপরিচিত ও সমাদৃত। মুগা রেশম দিয়া ফুলকাটা কিনারীকে ‘কাশিদা’ বলে । এই ফুল একটু মোট রকমের। এই রকম ফুলকাটা বস্ত্র বসোর ও জেডডাতে খুব বিক্রয় হয়। রং | রংয়ের কারবার ঢাকায় উন্নত হয় নাই। কাপড়ের পাড়, নামাবলী ইত্যাদির জন্য শুধু লাল, কালো, নীল রংয়ের স্থত প্রস্তুত করা হইত। রংয়ীদের নাম ‘পটোয়া’ ও ‘চিপিকার’। চিপিকারগণ কাঠের ছাচে রং লাগাইয়া কাপড় ছাপিত, যেমন করিয়া এখন বৃন্দাবনী কাপড় লল্পেী ছিট প্রভৃতি ছাপে । - ঢাকার বস্ত্র ব্যবসায়ের অধঃপতন । ভারতের বস্ত্রের মুখ্যাতি এরিয়ান, প্লিনি, ফা হিয়ান, ইবন বতুতা, টেবাণিয়ে প্রভৃতিপ্রাচীন বিদেশীরা করিয়া গিয়াছেন । তখন ভারতীগণ অর্ণবপোত চালনা করিয়া ‘সমুদ্রযাত্রা করিত ও ‘ম্নেচ্ছ’ ও ‘যবন রাজ্যের সঙ্গে ব্যবসায় ব্যপদেশে সংশ্লিষ্ট ছিল, তখন জাত যাইবার ভয় ছিল না। তৎপরে ভারতের ব্যবসায় মুসলমানের হস্তগত হয়, হিন্দুগণ তথন বিধি নিষেধের জাল জড়াইয়া দিব্য নিশ্চিন্ত আরামে নিদ্রা দিবার যোগাড় করিতেছিল। তৎপরে উদ্যোগী পুরুষসিংহ য়ুরোপীয়গণ ভারতে পদার্পণ করিতে লাগিল। ১৫১৮ সালে প্রথম পর্তুগীজগণ' বাংলার আসে। এই সময় হইতে ষোড়শ শতাব্দী পর্য্যস্ত