পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԳԵ "*سي ... س***ي .ه “ ۰ي পর্তুগীজগণকে কখন একক কখন আরাকানের মগদিগের সাহায্যে মুসলমান রাজগণের সহিত যুদ্ধলিপ্ত দেখা যায় ; বাংলার অন্নগ্রাস কাড়িয়া লইবার চেষ্টার এই স্থত্রপাত। এই সময় চট্টগ্রাম, বাকলা চন্দ্রদ্বীপ, সোণারগ, সপ্তগ্রাম, তাম্রলিপ্তি, বাংলা (ঢাকা ) ব্যবসায়ের প্রধান আড়ং ছিল । ১৬৬৬ সালে ঈষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি ঢাকায় কুঠি প্রতিষ্ঠা করে। ইহাই চরম দুর্দশার কারণ। কুঠিয়ালদিগের অত্যাচার কাহিনী সকলেই অল্প বিস্তর পরিজ্ঞাত আছেন, তাহার বর্ণনা নিম্প্রয়োজন। আজ কাল লাট মিণ্টোর জবরদস্তি আইনের আমলে সত্য কথা প্রকাশওনিষেধ। অতএব ইঙ্গিতে ইংরাজের অত্যাচার বুঝিতে হইবে—সাধু সাবধান! এত চেষ্টার পরেও গ্লাসগো জেলায় মসলিন বুনিতে পারে এমন তাতি ৬৭ জন ও ম্যাঞ্চেষ্টারে ১ জন পাওয়া যায় কি না সন্দেহ (White on Weaving.) কোম্পানি স্থতানটিতে জব চাণকের তত্ত্বাবধানে ১৬৯১ সালে কুঠি নিৰ্ম্মাণ করেন। তাহাই ১৬৯৯ সালে ফোর্ট উইলিয়ম (কলিকাতার কেল্লা ) নাম প্রাপ্ত হয়। এই সময় দেশী কারিগর, ব্যবসাদার ও মোগল দরবারকে ফাকি দিবার জন্ত ইংরাজের চুরি জুয়াচুরী, মিথ্যা প্রবঞ্চন ব্যাপারের যে কোন ইতিহাস সাক্ষ্য দিবে। সেই সময় ইংলণ্ডে এক গজ মসলিন ২২\ ২৩ টাকায় বিক্রয় হইত। ১৭০০ সালে ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্ট ভারতীয় মাল ইংলণ্ডে আমদানি বন্ধ করিবার জন্ত এক আইন করে। সেই আইনে বাংলার নিম্নলিখিত বস্ত্র ইংলণ্ডে গ্রহণ নিষিদ্ধ হয় – মলমল, আবরুয়া, ঝুনা, রং, তত্ত্ব-উন্দাম, তাঞ্জেব, জামদানী, ডুরিয়া ও থাসাd ১৭০১ সালে ঢাকাই মসলিনের উপর শতকরা ১৫২ টাকা শুদ্ধ নিৰ্দ্ধারিত হয়। ১৬৬৬ সালে ওলন্দাজ বণিকগণও ঢাকায় যথেষ্ট প্রতিপত্তিশালী হইয়াছিল। তাহারা জাপান ও য়ুরোপে বস্ত্র প্রেরণ করিত। ১৭৮১ সালে তাহাদের কুঠি ইংরাজের জবরদস্তি দখল করিয়া অধ্যক্ষকে বন্দী করে। ফরাশীগণ বাংলায় ১৬৮৮ সালে আসে এবং ১৭২৬ সাল হইতে ঢাকায় ব্যবসায় আরম্ভ করে। ১৭৭৮ সালে ইংরাজ ইহাদের কুঠি কাড়ির লয়। ১৭৮৩ সালে ফিরাইয় ۶ ماهیهاحیه امی و چی یو-محیه هم [१भ उांश । SAAAAAA SAAAAA SAAeeSASAeSASAeeS له ده ه" همه در ۳۰ سه های مهم ” দেয়। আবায় ১৭৯৩ সালে লইয়া ফিরাইয়া দেয়। ১৮০৩ - সালে তৃতীয় বার দখল করিয়া ১৮১৫ সালে ফরাশীদিগকে ফিরাইয়া দিতে বাধ্য হয়। ১৮৩০ সালে ফরাশী গভর্ণমেণ্ট ইহা ঢাকার লোককে বিক্রয় করে । মুর্শিদাবাদের জগৎসেঠ তাতি ছিলেন। বিস্তৃত ব্যবসায় ছিল। ১৮১৭ সালে ইংরাজের কুঠি বন্ধ হইয়া যায়। যুরোপে কাটতি বন্ধ হওয়ায় ও যুরোপের সস্তী কাপড়ের প্রতিযোগিতায় বাংলার বস্ত্রশিল্প চিরনিৰ্ব্বাণ প্রাপ্ত হইয়াছে । ব্যবসায়ের অবনতির সঙ্গে সহর গ্রাম হইয়াছে কোথাও বা একেবারে ধবংস প্রাপ্ত হইয়াছে । ঢাকার সমৃদ্ধির সময়ে ঢাকা সহঁর ১৫ মাইল ব্যাপিয়া ছিল। ১৮০০ সালে ঢাকার জন সংখ্যা ছিল দুই লক্ষ, ১৮৩৮ সালে ব্যবসায় বন্ধ হওয়ায় হইয়া ছিল মোটে ৬৮ হাজার, আঙুল কাটা তাতির অকৰ্ম্মণ্য হইয়৷ চাষে মন দিল, মাকু ছাড়িয়া লাঙ্গল ধরিল। ইংরাজ গোড়া কাটিয়া আগায় জল ঢালিতে মজবুত ; ঢাকার বস্ত্র ব্যবসায় নষ্ট করিয়া ঢাকায় দুইবার মার্কিণের তুলা চাষের চেষ্টা হইয়াছিল, চেষ্টা ব্যর্থ হইয়াছে। এই সমস্ত হইতে ঢাকার বস্ত্র ব্যবসায়ের অবনতির স্বত্রপাত ১৭৯৩ সাল হইতে ধরা যাইতে পারে, সেই সময় ইংলণ্ডে কলের তাত প্রচলিত হয়। ঢাকার এই নষ্টশিল্প আবার কবে প্রবুদ্ধ হইবে ঈশ্বর জানেন । তাহারো s.•w.• গোর । S * . . " শ্রাবণ মাসের সকাল বেলায় মেঘ কাটিয়া গিয়া নিৰ্ম্মল রৌদ্রে কলিকাতার আকাশ ভরিয়া গিয়াছে। রাস্তায় গাড়ী ঘোড়ার বিরাম নাই, ফেরিওয়ালা অবিশ্রাম স্থাকিয়া চলিয়াছে, - যাহারা আপিসে, কলেজে, আদালতে যাইবে তাহাদের জষ্ঠ বাসায় বাসায় মাছ তরকারীর চুপড়ি আসিয়াছে ও । রান্নাঘরে উনান জালাইবার ধোয়া উঠিয়াছে—কিন্তু তবু এত বড় এই যে কাজের সহয় কঠিনহৃদয় কলিকাতা— ইহার শত শত রাস্ত এবং গলির ভিতরে সোশার আলোকের