পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rనఫి আছে বলিয়া মনে হয় না। অর্থ এবং যশ উপার্জনই যেন মানবজীবনের উচ্চতম লক্ষ্য ইহা হইতে উচ্চতর আর কিছু সাধনার বস্তু থাকিতে পারে, ইহা যেন তাহদের মনেই হয় না । সুতরাং অধিকাংশ জীবনের পরিণাম সেই সৰ্ব্বসাক্ষী হুম্মদৃষ্টির কাছে এক মুষ্টি চিতাভষ্মের অতিরিক্ত আর কিছুষ্ট নয়। এরূপ জ্ঞানার্জন ও কৃতিত্বলাভ একেবারে বিড়ম্বন না হইলেও, বড় বেশী কিছু নয়, ইহা সত্য। উমেশচন্দ্রের কাৰ্য্যকলাপ পৰ্য্যালোচনা করিলে দেখিতে পাওয়া যায়, যে তিনি প্রত্যেক লব্ধজ্ঞানকে সত্যের নিকষে পরীক্ষিত করিয়া লইতেন। যাহা রাখিবার তাহ রাখিতেন ; যাহা না রাখিবার তাহা অস্থির ক্লেদবৎ পরিত্যাগ করিতেন, ইহাতে র্তাহার নিকট নুতন বা পুরাতনে ভেদাভেদ ছিল না । যখন জ্ঞান এইরূপে বিশুদ্ধ, সংস্কারমাজ্জিত এবং রুচি সরস ও সঙ্গত হইয়া উঠিল তখন তাতার উদার হৃদয় দেশের কল্যাণকামী হষ্টয়া উঠিল। এই জন্ত তিনি অর্থ ও যশের পথ পরিহার করিয়া সত্য দ্যায় ও মঙ্গলের পথ অনুসরণ করিবার জল্প ব্যস্ত হইয়া পড়িলেন । তিনি আপনি ধৰ্ম্ম লইয়া তৃপ্ত রহিয়াছেন, তা নয় সকলকে ধৰ্ম্মপথে আহবান করিয়াছেন ; তিনি আপনি জ্ঞানার্জনের সুখে সুখী হইয়াছেন, তা নয় কিন্তু সকলকে জ্ঞান বিতরণ করিয়াছেন এবং সমাজের সৰ্ব্ববিধ অমঙ্গল দূর করিবার জন্ত আজীবন সংগ্রাম করিয়া গিয়াছেন। বিশুদ্ধ ও উন্নত সমাজের অঙ্গীভূত হওয়া অতীব সৌভাগ্যের বিষয়, ইহা বিধাতার রূপার দান । এই উদ্দেশ্যে ধৰ্ম্মে, জ্ঞানে এবং সুমার্জিত রুচিতে শোভন সমাজ দেখিবার জন্ত তাহার প্রাণের গভীর আকিঞ্চন ছিল। ভারতসংস্কারক ও বামাবোধিনী তাহার সেই আকিঞ্চনের ফল। ইহাতে তিনি জীবনক্ষেত্রে কৰ্ম্মকুশল কৃষকের ন্যায় যাহা উপার্জন করিয়াছেন, উদারপ্রাণে এবং মুক্তহস্তে তাঁহাই দেশের নরনারীকে বিতরণ করিয়া আপনাকে ধন্ত মানিরছেন। র্তাহার ভারতসংস্কারক বেশ প্রতিপত্তিশালী কাগজ হইয়াছিল ; এমন কি গবর্ণমেণ্ট কোন সময়ে যখন সমস্ত কাগজের সম্পাদকদিগকে নিমন্ত্রণ করেন, বাঙ্গলা কাগজের মধ্যে সোমপ্রকাশ এবং ভারতসংস্কারক সেই সন্মান লাভ कग्निब्रांछ्छि । তিনি যাহা ভাল বলিয়া মনে করিতেন সাধ্যানুসারে তাছা প্রবাসী । সম্পন্ন করিয়া আপনাকে কৃতার্থ মনে করিতেন। છો ૭ [ ৭ম ভাগ । به چه همه به همه هسجی-عصعه-به-ه هه مي.sه٥*عه, يه ۹۰ه সৎকৰ্ম্মশীল পুরুষের গৌরব ও সন্মানরক্ষাও তাহদের মধ্যে একট। ইহা না করিয়া তিনি থাকিতে পরিবেন কেন ? তাই প্রতি বৎসর দেখিতে পাই, ভক্তিমান পুরোহিতের ন্তায় ফুলচন্দনে পুষ্পপাত্র সাজাইয়া ভক্ত এবং অনুরাগী বন্ধুগণ সঙ্গে, ডেভিড হেয়ার, মহাকবি মধুসূদন, ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুন প্রভৃতি কৃতী ও সৎকৰ্ম্মশীল পুরুষদিগকে প্রতি ও কৃতজ্ঞতার অঞ্জলি দান করিবার জন্ত চলিয়াছেন। সেই সময়কার তাহার মুখশ্ৰীতে আগ্রহ ও বিনয়ে এমন কোমল সৌন্দৰ্য ফুটিয়া উঠিত, যে তখন তাহাকে শ্রদ্ধা না করিয়া থাক যাইত না । তাহার দেহ ক্ষীণ ছিল, কিন্তু হৃদয়ে অতুল বল ধারণ করিতেন । তাই তাহাকে কখন ক্লাস্ত হইতে বা বিশ্রাম শয্যায় শয়ন করিতে দেখা বাইত না । কোন না কোন ক্ষেত্রে কিছু না কিছু করিতেছেনই, দিন এবং রাত্রি সমভাবে খাটিয়া চলিয়াছেন কিন্তু মুখ কখন মলিন হয় নাই। কেমন করিয়া তিনি এ শক্তি লাভ করিলেন ? কোথা হইতে র্তাহার এ অক্ষয় শক্তি সঞ্চার হইত ? যে অমৃত খনির সন্ধান পাইয়া তিনি অক্লান্ত কৰ্মিষ্ঠ পুরুষে পরিণত হইতে পারিয়াছিলেন, সেক্ট সম্বন্ধে স্থা একটী কথা কহিয়া আজিকার এ প্রবন্ধ শেষ করিব । ব্রাহ্মসমাজে বড় একটা সাধন ভজন নাই, অনেকেরই এই ধারণা। ইহার মূলে কতক পরিমাণে সত্য আছে, তাহাতে সন্দেহ নাই। তবে সাধন ভজন একেবারেই নাই ইহা সত্য নহে। অনেকে নিয়মিতরূপ উপাসনা সাধন করিয়া থাকেন এবং অনেকে নানাপ্রকার নামজপাদি গুপ্ত সাধনও করিয়া থাকেন। উমেশ্চন্দ্র নিয়মিতরূপে প্রতিদিন উপাসনাদি করিতেন। কি নিষ্ঠ ও অন্তদৃষ্টির সহিত তিনি উপাসনাদি করিতেন, র্যাহারা গভীরভাবে তাহার উপাসনায় যোগদান করিয়াছেন তাহারাই তাহ জানেন। প্রতিদিনের জীবনের সহিত ইহার সামঞ্জস্ত রক্ষা করিবার একটী আন্তরিক চেষ্টা সততই সঙ্গে সঙ্গে দেখিতে পাওয়ু মাইত। তিনি প্রত্যক্ষ দেবতার পূজা করিতেন, প্রত্যক্ষভাবে পূজা করিতেন এবং জীবনের কৰ্ম্মক্ষেত্রে তাহারই আদেশ বহন করিতেছেন, র্তাহারই কৰ্ম্ম সাধিত করিতেছেন এবং তঁাহায়ই সন্তানগণের