পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*,

  • ১ম সংখ্যা । ]

আছে ; কেবল তাঙ্কারই আবাল্যস্মৃতিজড়িত জীর্ণ গৃহখানি তাহার ख़नाहउ, অবহেলা-অপমানব্যথিত শত-অত্যাচার锣 সহিষ্ণু পত্নীকে বক্ষে করিয়া উহা হইয়া গিয়াছে। সে নিদ্রিত না জাগ্ৰত ? “প্রবোধোনিদ্রা বা কিমু বিষ—বিসর্প কিমুমদ? তাহার পরিমূঢ়েন্দ্রিয়গণ কি সাক্ষ্য দিতেছে ? হতবুদ্ধি নন্দক আপনাকে ধরিয়া খুব কয়েকটা নাড়া দিল, প্রাচীরগাত্রে মস্তক কুটিত করিয়া রক্তপাত করিল, তবু বুঝিতে পারিল না ইহা স্বপ্ন, সুরাবিকার, ইন্দ্রজাল, ন সত্য। অবশেষে সে কর্তব্যবিমূঢ় হইয়া দ্বারে ভীষণ আঘাত করিল। তাঙ্গতে প্রতিবেশী সকলে বিরক্ত হইয়া উঠিল, কিন্তু মদ্যপু নন্দকের ব্যবহারে কিছুষ্ট আশ্চৰ্য্য বোধ করিল না। তাঙ্গর আঘাতশব্দে গৃহমধ্যে রুগ্মকর্কশকণ্ঠে কে একজন বলিয়া উঠিল, ‘কে রে, উৎসবভঙ্গ প্রয়াসী, শীল চলিয়া যা, নয়ত উচিতমত শিক্ষা দিয়া দিব ? ইহাতে নন্দক ক্রুদ্ধ হইয়া বলিল, “তোরা কে রে পাপিষ্ঠ ? ইহা আমার গৃহ । এই দণ্ড দুষ্ট পূৰ্ব্বে আমার মৃতকল্প স্ত্রীকে রাপিয়া বৈদ্য ডাকিতে গেলাম, ইহার মধ্যে এ কি ব্যাপার! একেবারে আমার স-পত্নীক বাড়ীকে বাড়ী চুরি! আর এখানে সমস্ত কেকয়রাজ্য যেন উন্মত্ত হইয়া আসিয়া যুটিয়াছে। দূর হ? তোরা হতভাগ্য পামর ! ‘এই দূর করিতেছি বলিয়। একজন ভীমকান্ত পুরুষ দ্বার খুলিয়া বাছির হইয়া নন্দককে অৰ্দ্ধচন্দ্ৰ দিয়া বলিল 'ষ্টছ তোমার বাড়ী বটে অমুদ্রদারিদ্রসমুদ্রপতিত উন্মত্ত প্ৰলাপী ! জান না মূর্গ, ইহা প্রখ্যাত মঞ্জুলিকার প্রমোদভবন!” নন্দক আপনার গৃহ ও স্ত্রী প্রাপ্তিতে হতাশ হইয়া ভ্ৰাম্যমানচিত্নে মন্থয়গমনে তাঙ্গার প্রণয়িনীর ভবনোদেশে চলিয়া গেল । , সে রাত্রে তাহার রভসোল্লাস ভাল লাগিল না। স্বরাভাও নিঃশেষ করিতে করিতে সমস্ত রাত্রি সে এই অভাব্য অবোধ্য অভব্য কাও চিন্তা করিতে লাগিল। সকল ঘটনা বিবৃত করিয়া স্বপ্রণয়িনীকে বলিল, কিন্তু সে ইহা মগুপের খেয়াল স্থির করিয়া হাসিয়া উড়াইয়া দিল । যখন উষার প্রথম জ্যোতিরুন্মেষ হইল ভখন নন্দক গৰিয়া আকুল যে, সে এখন কোথায় অন্ন ও আশ্রয় পাইবে ? এতদিনে সে প্রথম বুঝিল যে বারবার আদর-আপ্যায়ন মণিমঞ্জীর । ૭૭ অর্থসাপেক্ষ, স্নেহমূল নচে । আজ প্রথম সেই তাহার সঙ্গবঞ্চিত, অনাদৃত, উপেক্ষউৎপীড়নলাঞ্ছিত পত্নীকে মনে পড়িল ; মনে পড়িল সে কেমন অত্যাচারের পরিবর্তে প্রত্যঙ্গ সেবা ও শুশ্ৰুষা লষ্টয় তাহারই প্রত্যাগমন প্রতীক্ষা করিত। যে গৃহে এই স্নেহাশ্রয় ছিল তাহ আজ কোথায় উহ্য হইয়া গিয়াছে। তৎস্থানে যে ভবন প্রতিষ্ঠিত দেখিয়াছে, তাহাতে সে যে প্রচণ্ড অভ্যর্থনা লাভ করিয়াছিল, তাহা পুনরায় উপভোগ করিবার প্রবৃত্তি তাহার মোটেষ্ট হইতেছিল না । তথাপি তাহার প্রণয়িনীর অবিশ্বাস ও অনুরোধ তাঙ্গকে আর একবার গুঙ্গসন্ধানে প্রবৃত্ত করিল। সৈ স্পনিদতহদয়ে শঙ্কাকাতরচিত্তে পল্লী প্রবেশ করিল। সে যখন আপন ভবনের নিস্তব্ধতা অনুভব করিল, তখন বিস্ময় ও আশ্বাস তাঙ্গর চিত্ত অধিকার করিল। নিকটস্থ হইয়া দেখিল, সেষ্ট প্রাসাদ যেমন মায়াতে উদ্ভূত হইয়াছিল, তেমনি কোন মায়াবশে অন্তর্চিত হইয়াছে। সেই তাহার প্রাণারাম নয়নানন্দকর, স্নেহ প্ৰাণ জীর্ণ গৃহের জীর্ণদ্বারে লিখিত বিলুপ্তবর্ণিক, শঙ্খপদ্ম মানমুখে তাহাকে অভ্যর্থনা করিতেছে । সে তর্ষোৎক্রান্তদুতগতিতে ছারস্ত হইয়া আঘাত করিল। জাগরণক্লাস্ত গৃহবাসিনীগণ শীঘ্ৰ উত্তর দিল না। আঘাতের পর প্রবুদ্ধ হইয়া দাসী বরোরুঙ্গ দ্বার খুলিয়া দিবালোকছিন্ন দৃষ্টি মার্জন করিয়া কহিল, “ধন্য প্রভু, তুমি ধন্ত ! ধষ্ঠ তোমার প্রাণ ! ওগো ধন্য তোমার মায় মমতা ! আর ধন্ত তোমার কর্তবাবুদ্ধি ! এখন তোমার না ফিরিলেও স্বামিনীর স্বচ্ছন্দে চলিতে পারিত। তুমি কি মনে কর আমার স্বামিনীর ‘প্রভাতে উঠিয়াঁ শ্ৰমুখ দেখিলে দিন যাবে ভালে ভাল! তোমার রভসচিহ্নিত, সুরাবাসিত মুখ প্রাতঃকালে র্তাহাকে না দেখাষ্টলেও তাহার প্রভাত সুপ্রভাতই হইত।” তাহার কথা শুনিয়া নন্দক আশ্বস্ত হইল যে স্ত্রী তাহার সশরীরে সেই গৃহে বিদ্যমান আছে। নন্দক বরোরুহার তিরস্কার অগ্রাহ করিয়া দ্রুত স্ত্রীর শয়ন কক্ষে প্রবেশ করিল। এবং তাহার স্ত্রীর তীব্রকটু ভৎসনাগুলি পরিপাক করিয়া বলিল, “কোপনে, আগে আমার কথা শুন, পরে ক্রোধ করিতে হয় করিও।” এই বলিয়া গতরাত্রের অভিজ্ঞতাবিবৃত করিয়া বলিতেই তাহার স্ত্রী অতিমাত্র ক্রুদ্ধ । মরে নাই –