পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা । ] : য়াছেন ধে বর্তমানে ইংরেজ জাতি যে পোলো ( Polo ) ক্রীড়া করিয়া থাকেন, তাছা তাহারা ভারতবর্ষ হইতে ধার করিয়াছেন এবং ভারতবাসী ৬াতারগণ হইতে ঠিক ঐ ক্রীড়া প্রণালী ধার করিয়াছিলেন। মাষ্ণু তাতারগণের মধ্যে এখনও ঐ পোলোক্রীড়ার চলন দেখিতে পাওয়া যায়। মাষ্ণু অভিজাতবর্গের বংশানুক্রমিক সামরিক মর্য্যাদা আছে । র্যাহারা অশ্বারোহণে ও তীরন্দাজীতে পটু তাহারা সত্বর ਚੰਝ ਮਾਂ ਚੋਜੈਣ হইয়া থাকেন। মাঞ্চুগণ সামরিক শৌর্য্য বীৰ্য্যে এক সময়ে অতি বিখ্যাত ছিলেন। তাহাদের পূর্বপুরুষ নৃ-চিতাতারগণ (Nu-chi Tartars ) cșrvi cu চীনদেশ জয় করিয়াছিলেন এমন নছে কিন্তু ছন ( Hun ) নামে এই জাতীয় লোক এক সময়ে ইউরোপ আক্রমণ করিয়াছিলেন এবং ভারতবর্ষও আক্রমণ করিয়াছিলেন। কিন্তু মাষ্ণুগণের আর আজকাল তাদৃশ সামরিক যশঃ নাই। তাহারা এখন চীনাদের সংস্পর্শে আসিয়া শান্তিপ্রিয় জাতিরূপে পরিণত श्हेम्नांtछ्न । বর্তমানে মাঞ্চুগণ চীনাদিগের মত পরিচ্ছদ পরিধান করিয়া থাকেন। এরূপ কথিত আছে যে মাঞ্চুগণ চীনরাজ্য জয় করিলে, দণ্ডস্বরূপ বা তাহদের রাজত্বের বিশেষত্বের স্বরূপ সমস্ত চীনা পুরুষদিগকে শিরোমুগুন করাইয়া একটা করিয়া টিকি রাখিতে বাধ্য করিয়াছিলেন। যে এরূপ টিকি না রাখিত তাহার শিরশেদদও বিধান করা হইত। এই প্রথা আজ আড়াইশত বৎসর যাবত প্রচলিত হষ্টলেও এখন এই টিকিরাখা প্রণালী এমন ভাবে জাতীয় আচারে পরিণত হইয়াছে যে ইহা কোন চীনার মাথায় না থাকিলে সে সমাজে স্থান পায় না । যেমন আমাদের ব্রাহ্মণগণের উপবীত না থাকিলে জাতিচু্যত হইয়া থাকে, বেণী চীনাদের তাদৃশ। সম্রাট স্বয়ং শিরোমুগুন করিয়া মাথায় বেণী রাখিয়া থাকেন। উচ্চ মাধু রাজকৰ্ম্মচারিগণ মাথায় তাদৃশ বেণী রাখেন। এখানে কাষ্টম আফিসে একজন ইংরেজীভাষাভিজ্ঞ মাঞ্চু কেরাণী আছেন। তাহারা বহুপুরুষ যাবত ক্যানটনে বাস করিয়া চীনা হইয়া গিয়াছেন।” তিনি বলেন যে টিকি রাখা মাঞ্চুগণের জাতীয় রীতি। মাঞ্চু অভিজাতবর্গ যখন রাজ দরবারে গমন করেন, বা রাজকীয় উৎসবে যোগদান করেন পেকিন রাজপুরীর খোজাগণ। অপেক্ষ স্থার সমর প্রিয় জাতি । কুমারী কাল লিখি రిసిరి SAASAASAASAASAASAASAASAASAASASASS তখন তাহার। অতি মূল্যৰন প্ৰজিৰ "ন ৰক্ত থাকেন। রত্নমণ্ডিত কোমর বন্ধ, জেডপ্রস্তর-খচিত চশমার খাপ, রত্ন-মণ্ডিত শিরোভূষণ প্রভৃতি নানা প্রকার আভরণ র্তাহারা ব্যবহার করিয়া থাকেন। সম্রাট স্বয়ং, এত জাক জমক ভাল বাসেন না । মাঞ্চু রমণীগণ লম্বা ও ঢোল গাউন পরিধান করেন, কোমরের চিহ্নও দেখিবার সাধ্য নাই। মাঞ্চু রমণীগণের শিরোভূষণ চীন রমণীগণের শিরোভূষণের সদৃশ নহে। মস্তকের পশ্চাতে খোপা কিছু উন্নত এবং দুই দিকে লম্বা পক্ষ বিশিষ্ট। এই খোপা দেখিতে বাহুড়ের পাখার সদৃশ দেখায়। ঐ খোপা কৃষ্ণ বর্ণ পট্ট বস্ত্র, নানা রত্ন-খচিত কৃত্রিম পুষ্প ও স্বাভাবিক পুষ্প দ্বারা রচিত হইয়া থাকে। চীনাদিগের ন্যায় মাঞ্চুগণ মধ্যেও বহু বিবাহ প্রচলিত আছে । ইংরেজীতে সাহেবগণ এই সকল একাধিক স্ত্রী কে উপপত্নী ( Concubine) আখ্যা দিয়া থাকেন। বাস্তবিক ইহার উপপত্নী রূপে গৃহীত বা ব্যবহৃত হয় না । ইহাদের সম্মান ও স্বত্ব আছে, তবে ইহারা প্রথম পত্নীর সমকক্ষ নহে । চীনাদিগের বিবাহের নিয়ম আমাদিগের বিবাহের নিয়মের সম্পূর্ণ বিপরিত। বালকগণের যৌবনে পদার্পণ করিতে না করিতেই তাড়াতাড়ি বিবাহ দেওয়া হইয়া থাকে কিন্তু বালিকাগণ ধুবতী হইয়া কএক বৎসর থাকিলেও কাহারো আপত্তি নাই । ১৮ বৎসর হইতে ৩০ বৎসর বয়স পৰ্য্যন্ত অনেকে কুমারী অবস্থায় থাকে। কিন্তু পুরুষগণের তত বয়স পর্য্যন্ত অবিবাহিত অবস্থায় থাকার নিয়ম নাই। আমাদিগের দেশে বালিকাগণ • বার বৎসর অতিক্রম করিলেও আতঙ্ক উপস্থিত হয়। কি করিয়া কস্তাকে গৃহের বাহির করিতে হইবে সেই চিন্তায় কষ্ঠার পিতা চিন্তা-সাগরে মগ্ন হইয়া থাকেন। কন্যার বয়স তের চৌদ্দ বৎসর হইলে । কন্যাকৰ্ত্তার নিন্দার শেষ থাকে না। কিন্তু আবার রাঢ়ীয় শ্রেণীর কুলীনগণের পূর্ব পুরুষগণের নরকগামী হইবার ভয় নাই। কেন না অনেকের ঘরেই বিশ পচিশ বৎসরের আইবড় কন্যা থাকে। কি বিপরীত ব্যবস্থা! . চনাদিগের পত্নীগণ প্রায়ই স্বামীগণ হইতে ছী, তিন, চারি পাঁচ বা ছয় সাত বৎসরের বড় হইয়া থাকে। আমাদিগের বাসার নিকট এক চীন মুসলমানের একটা মেয়ে এবং