পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা । ] • - ”ཝ་ཇ ཨཱ་ཐུཔྟ शन काठ পাঞ্চল প্রজেকেই ન, কেজের জিৰে গণিত হইল, ৱাগত অঞ্চ ৰাজার বেঞ্জ-ই जकेिऊ चमूंeमिों *ङ्गं একটা প্রবল চাপ পড়িবার কথা । লওঁ খেলক্ষি এই চাপের পরিমাণ র্তাহার হিসাবে দেখাইয়া ° } ੇ পদার্থ কোন স্থানে আসিয়া প্রবলবেগে ধাক্কা দিলে, প্রথমে জাহত স্থান একটি প্রবল চাপ পায়, কিন্তু পর মুহূর্বে পদার্থটি প্রতিস্থত হইয়৷ বিপরীত দিকে চলিতে আরম্ভ করিলে, তখন আহত স্থানে আর কোন চাপই থাকে না। শু কেলভিন ৰলিতেছেন, কেন্দ্রাভিমুখী পরমাণুগুলির ঘাতপ্রতিঘাতে, কেজের নিকটবৰ্ত্তী স্থানের চাপ কিছুকাল ধরিয়া ঠিক পূৰ্ব্বোঙ্ক প্রকারে তালে তালে বাড়িয়া কমিয়া চলিয়াছিল । পৃথিবীর অভ্যস্তরের এই চঞ্চলত কত দিন ছিল ঠিক বলা যায় না। সম্ভবতঃ পরমাণুগুলি কালক্রমে অণুতে পরিণত হইয়া পড়িলে পুথিবীর ঐ অস্থিরতার অবসান হইয়া ছিল। লর্ড কেলভিন বলেন, এই অবস্থায় পৃথিবী তরল পদার্থময় ছিল, এবং এই খানেই স্মৃষ্টির আরম্ভ। পৃথিবী ,সেই সময় স্বর্ঘ্যের স্থায় উজ্জ্বল ছিল, এবং তাপ বিকিরণ করিতে করিতে ইহার বহুকাল পরে ভূপৃষ্ঠেব উপবটা এক কঠিন আৰরণে আবৃত হইয়া পড়িয়াছিল। কোন জিনিষকে সঙ্কুচিত করিলে, তাহ দ্বারা জিনিষটিতে তাপের উৎপত্তি হয়। এজন্য পৃথিবীর উপরিভাগ কঠিন আবরণে আচ্ছন্ন হওয়া সত্বেও, তাহার ভিতরের তাপ সহসা কমে নাই। সন্ধুচনের প্রভাৰে ভিতরের উষ্ণতা বরং বহুকাল ধরিয়া বাড়িয়াই চলিয়াছিল ; এবং পরে তাপের মাত্রা ম্বরম হইয়া দাড়াইলে, উপরের সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর ভিতরটাও

  1. ौष्ठल झईtछ अॉब्रख्ठ कब्रिग्रांछ्णि ।

ভগ্নল পদার্থের উপরের অংশ জমাট বাধিয়া ঘনতর ও ভারি হইয়া পড়িলে, উপরকার ভারি জিনিষগুলার ভাঙ্গিয়া চুরিয়া নীচে নামিবার সম্ভাবনা । কেলভিন অনুমান করিতে ছেন, পৃথিবীর কঠিন আবরণের ঐ প্রকার ভাঙাচোরা এককালে পৃথিবীতে বুদিন রিয়া চলিয়ছিল, এবং ইহাতে পৃষ্ঠদেশ হইতে জাৰ্গত বৃহৎ বৃহৎ কঠিন স্তপ গুলিভিতরকার উত্তপ্ত তরল পদার্থে সঞ্চিত হইতে আরম্ভ করিয়াছিল। লর্ড কেলভিন এই সঞ্চল অনুমানের উপর নির্ভর করিয়া বলিক্সেন, বর্তমান কালে ভূগও কখনই নিছক তরল "ীমক f ^రి:R& পদার্থীয় ময়। উপরকার গুরুভায় লৰাশষ্ট কঠিন.ঞ্জাররণ গুলি ভাঙিয়া চুরিয়া ভাছাতে নিমজ্জিত থাকায় এখন ভূগর্জ, काँग्न ७ ऊब्रग छेउद्र भनधर्मग्न शहेब jड़ाईब्रांप्इ । ~ ভূপৃষ্ঠের জমাট অংশের পূৰ্ব্বোক্ত প্রকার ভাঙাচোয়াকে । লর্ড কেলভিন আগ্নেয়গিরিব অগ্ন দগমন ও ভূ-কম্পনের কারণ বলিয়। প্রচার করিতেছেন । ইনি বলেন,"ক্রমে তত্ত কঠিন আবরণটি খুব গভীর হষ্টয়া পড়িয়াছে বটে, কিন্তু তাহার ভাঙাচোরার কাজ এখনো পূর্কের স্থায়ই চলিতেছে। কাজেই ভূপৃষ্ঠের গভীর অংশের মাটিপাথর যখন ভাঙিয়া ভূগর্ভস্থ দ্রবপদার্থে ডুবিতে আরম্ভ করে, তখন সেই দ্রবপদার্থ উছলিয়া বহির্গত হইবার জন্ত ছিদ্র অন্বেষণ করে। বড় বড় আগ্নেয়গিরির গহবরগুলি ভূগর্তের খুব গভীর অংশ পৰ্য্যস্ত বিস্তৃত থাকে। কাজেই ঐ সকল ছিদ্রপথে সেই উচ্ছলিত গলিত ধাতু যে, বাহির হইয়া ভূপৃষ্ঠকে প্লাবিত করিবে তাহাতে আশ্চর্য কি ? ইহাই আগ্নেয়গিরির অংগেম। লর্ড কেলভিন্‌ ভূ-কম্পনকেও ঐ আভ্যন্তরীন আন্দোলনের কার্য্য বলিয়া স্থির করিয়াছেন। কারণ ভূপৃষ্ঠের গভীর স্থানের মৃত্তিকাপ্রস্তরাদি যখন ভাঙিয়া চুরিয়া ভূগর্ভে পতিত হইতে আরম্ভ করে, তখন সেই আন্দোলনে পৃথিবী কম্পিত না হইয়া থাকিতে পারে না । পৃথিবী কালক্রমে শীতল হইয়া পড়িতেছে, কাজেই উহার ভিতরকার দ্রবপদার্থ যে শীতল হইয়া এককালে কঠিন হইয়া পড়িবে, তাহ নিশ্চয় । এখন প্রশ্ন হইতে পারে, দুরভবিষ্যতে পৃথিবীর সমস্তুট জমাট বাধিয়া গেলে, আগ্নেয় গিরির অগ্ন্যুৎপাত ও ভূ-কৰ্ম্মম কি বন্ধ হইয়া যাইবে ? লর্ড কেলভিন এ প্রশ্নের মীমাংসা করিয়াছেন। তাহার মতে ভবিষ্যতে আগ্নেয়গিরির জন্ম গিরণ নিশ্চয়ই লোপ পাইবে । অতি প্রাচীনকালে ভূপৃষ্ঠে অনেক বড় বড় আগ্নেয়গিরির অস্তিত্ব ছিল, কিন্তু পৃথিবী শীতল হওয়ার সঙ্গে’ সঙ্গে ੱਸਿੱਚ আর বড় অগ্নির চিহ্ন দেথা যায় না । সুতরাং বিমুভিয়স প্রভৃতি ষে কয়েকটি সজীব আগ্নেয়গিরি আছে, তাহারাও যে কালক্রমে নিৰ্ব্বাপিত হইয়া যাইবে, তাহা আমরা বেশ অল্পমান করিতে পারি। ভূমিকম্পের লোপ সম্বন্ধে কিন্তু লর্ড কেলভিন বিশেষ করিতেছেন না। এ সম্বন্ধে তীয়ার মত এই যে, ভূগর্ভস্থ