পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমগ্র গুলিত भार्ष नेउन इहेजा जमाई चाक्षिा গেলেও, - ভূগর্ভের আকুঞ্চন রোধ পাইবে না। তখন পৃথিবীর ভিতরে বৃহৎ বৃহৎ গহ্বরের সৃষ্টি হইতে থাকিবে, এবং সময়ে সময়ে উপরকার মাটি পাথর ভাঙিয়া পড়িয়া সেই সকল গহ্বর পূর্ণ করিতে থাকিবে । কাজেই এই প্রকার ভাঙাচোরার দ্বারা পৃথিবীতে ভূমিকম্প পূর্ণমাত্রাতেই চলিতে থাকিবে। ভূপৃষ্ঠের মাটি ভাঙিয়া পড়িয়া ভূগর্ভস্থ গম্বর পূর্ণ করিতে থাকিলে যে, ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়, কয়েকটি আধুনিক ভূমিকম্পের কার্য্য আলোচনা করিলে, আমরা তাহ বেশ বুঝিতে পারি। সম্প্রতি সুমাত্রা দ্বীপে যে বৃহৎ ভূমিকম্প হইয়া গেছে, তাহাতে ভূপৃষ্ঠ অনেকটা নীচু হইয়া একটি সহরের কতক অংশকে প্রায় সমুদ্রতলশায়ী করিয়াছে। গত ১৮৯৭ সালের বাংলা দেশের বৃহৎ ভূমিকম্পের কথা পাঠকের অবশুই স্মরণ আছে । ইহাতেও উত্তর বঙ্গের অনেক স্থানকে উচুনীচু হইতে দেখা গিয়াছে। সম্প্রতি জাপানে যে এক ভূমিকম্প হইয়াছে, তাহাতে তথাকার একটি স্থান প্রায় ২০ ফুট নীচু হইয় গেছে। সুতরাং ভূমিকম্পের উৎপত্তি সম্বন্ধে লর্ড কেলভিনের বর্তমান সিদ্ধান্তটি cय श्रद्धांख् डांझांtङ गएमाश् नाहे । শ্রীজগদানন্দ রায় । গৌড়ীয় নগরোপকণ্ঠ। সেকালে নগর রচনার একটি নির্দিষ্ট প্রণালী প্রচলিত ছিল। সকল নগরেই নগর প্রাচীপ. নগরদ্বার, নগরপরিথ দেখিতে भाख्ग्रा शहेङ । उाशन्न अङखप्द्र রাজদুর্গ ;-রাজহূর্গের অভ্যন্তরে রাজপ্রাসাদ ;– সকল স্থানেই এইরূপ রচনাপ্রণালী অমুস্থত হইত। গৌড়েও সেই চিরপ্রচলিত প্রথা বর্তমান ছিল । নগরে সকল শ্রেণীর নাগরিকের স্থান সংকুলন হইত না। অনেকে নগরোপকণ্ঠে বাস করিতেন। তাহার চতুর্দিকে কোন পরিখা বা প্রাচীর না থাকিলেও, নগরের ন্তীয় নগরোপকণ্ঠও বিবিধ অট্টালিকায় সুশো*ভত থাকিত । কখন কখন বিবিধ রাজকাৰ্য্যালয় পৰ্য্যন্ত উপকণ্ঠেই স্থান প্রাপ্ত হইত। এই জন্য প্রাচীন প্রবাসী । & নগরের তথ্যানুসন্ধান করিতে হইলে, নুগুরোপকণ্ঠেরও ৭ম ভাগ; अश्नकांन कब्रिहड इग्न । cशोrफुब्र नश्रtब्रांश्रकtáज्ञ नाम ফিরোজপুর। . তাহা এখন “পিরোজপুর” নামেও কথিত হইয়া থাকে। এই উপকণ্ঠ নগরের দক্ষিণাংশে অবস্থিত ছিল। “কোতোয়ালী দ্বারের” দক্ষিণে,—নগরপরিখার বাহিরে,—বহুদূর পর্য্যন্তু নগরোপকণ্ঠ বর্তমান ছিল। এখনও তাহার নানা চিহ্ন বর্তমান আছে। “কোতোয়ালীম্বারের” ভিতর দিয়া যে পুরাতন রাজপথ প্রচলিত ছিল, তাহার উপর পুরাতন সেতু বর্তমান ছিল। সেতু পার হইয়া রাজপথ অনেকুদূর পর্যন্ত দক্ষিণাভিমুখে চলিয়া গিয়াছিল। তাহার উভয় পাশ্বে কত সরোবর অপ্তাপি সেকালের সৌভাগ্যগৰ্ব্বের পরিচয় প্রদান করিতেছে। যেখানে এখন সরোবর ও ভগ্নাবশেষ মাত্র পড়িয়া রহিয়াছে, সেখানে-সেকালে—ক’ত উদ্যান, কত অট্টালিক, কত উপাসনালয়, কত রাজকাৰ্য্যালয় নিয়ত জনকোলাহলে মুখরিত হইত, কে তাহার সম্যক্ সমাচার ংগৃহীত করিতে পারে ? এখন অনেক স্থান বিজন বনে পরিণত হইয়াছে ; তাহার মধ্যে এখানে সেখানে অনেক পুরাতন গ্রাম দেখিতে পাওয়া যায় ;—সকল গ্রামই বিচিত্র পুরাকাহিনীর রঙ্গভূমি। মারীভয়ের সময়ে নগর ত্যাগ করিয়া অনেকে নগরোপকণ্ঠে পলায়ন করিয়াছিলেন – গৌড় পরিত্যক্ত হইলেও, এই কারণে, নগরোপকণ্ঠ সহস পরিত্যক্ত হইতে পারে নাই। সেখানে থাকিয়া নাগরিক ও রাজপুরুষগণ পুনরায় নগর রক্ষার আয়োজন করিয়াছিলেন । পরে রাজধানী অন্ত স্থানে সংস্থাপিত হইলে, নগরের ন্য নগরোপকণ্ঠও পরিত্যক্ত হইয়াছিল। এই সকল কারণে নগরোকণ্ঠেও বিবিধ দৃপ্তাবলীর ভগ্নাবশেষ পড়িয়া রহিমাছে। তন্মধ্যে (১) বালুয়াদীঘি (২) ফিরোজপুরের তোরণদ্বার (৩) শাহ নিয়ামতুল্যার সমাধি, (৪) সোনা-মস্জেদ, এবং (৫) টাকশাল দীঘি অস্থাপি পৰ্য্যটকগণের কৌতুহল উদ্দীপ্ত করিয়া থাকে । বালুয়া দীঘি। আয়তনে সাগরদীঘির সমকক্ষ না হইলেও, সুবৃহৎ সরোবর বলিয়া উল্লিখিত হইতে পারে। সরোবর কেন,— ইহাকে হ্রদ বলিলেই সুসঙ্গত হয়। প্রাকৃতিক শোভা এই