পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৩৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওষ্ঠ সংখ্যা । ] পুরাতন সরোবুরকে উল্লেখযোগ্য করির রাখিয়াছে। জল তর তক্‌ করিতেছে,—তাহাতে শৈবালদামের প্রাদুর্ভাব নাই। এক তীরে রাজপথ,—সে দিকের বনজঙ্গল তিরোহিত হইয়া গিয়াছে। অপর তীরে তালবন,—সরোবরের স্বচ্ছ সলিলে তাহার প্রতিবিম্ব পতিত হইয়া জলেস্থলে এক অপূৰ্ব্ব দৃশু-সামঞ্জস্তের অবতারণা করিয়া রাথিয়াছে। দেখিবামাত্র বলিতে হয়,—বৃহৎ এবং সুন্দর। পশ্চিমতীরের রাজ পথের পশ্চিমে এক বিস্তৃত প্রাঙ্গণ, তাহতে একটি আধুনিক অট্টালিকা —তাহা মহারাজ স্বৰ্য্যকান্ত আচাৰ্য্য বাহাদুরের বালুয়া দীঘির কাছার বাড়ী। এই বাড়ী গৌড়পৰ্য্যটকগণের চিরস্মরণীয়। পরিক্লান্ত পর্য্যটক এখানে আসিয়া যে আতিথ্যলাভ করেন, তাহ মরুভূমির মৃগতৃষ্ণকাতাড়িত তৃষ্ণাৰ্ত্ত পথিকের বারি প্রপাতলাভের দ্যায়–অচিন্তিতপূৰ্ব্ব, উপাদেয় । বালুয়াদীঘির আয়তন, ৫০০ গজ দীর্ঘ, २००१छ ७धश् ! “কোতোয়ালীদ্বার” উত্তীর্ণ হইয়া বালুয়াদীঘি পৰ্য্যন্ত আসিতে, এবং বালুয়াদীঘি ছাড়িয়া আবার দক্ষিণাভিমুখে অগ্রসর হইতে পথপাশ্বে ক্ষুদ্র বৃহৎ বহু সরোবর ও ইষ্টক প্রস্তরের ভগ্নস্ত,প দেখিতে পাওয়া যায়। তাহা এখন বন জঙ্গলে সমাচ্ছন্ন হইলেও, সেকালের সৌভাগ্যগৰ্ব্বের আভাস প্রদান করে। এক সময়ে এই নগরোপকণ্ঠ যে জননিবাসে পরিপূর্ণ ছিল, তাহাতে সংশয় থাকে না ।* “বালুয়া দীঘির” নাম বালুয়াদীঘি হইল কেন, তাহাতে কৌতুহল প্রকাশ করিবামাত্র রাখালবালকেরা বলিয়া দেয়,— ইহার তলদেশ বালুকাময়। বােধ হয় সেই জন্তই ইহার জল এখনও উপাদেয়। জলে কুম্ভীরের আতিশয্য । এখান হইতে এক ক্রোশ দক্ষিণে অগ্রসর হইলে, একটি বিচিত্র তোরণদ্বারের ভগ্নাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায়। তাহারই অভ্যন্তরে .শাহ নিয়ামতুল্যার সমাধি । এই তোরণার “পিরোজপুর দ্বার’ নামে কথিত । রাভেনশা ইহাকে সেই নামেই পরিচিত করিয়া গিয়াছেন ।

  • --&

छ के छ * Prostrate"domes, mingled with carved lintels, and innumerable bricks, are *seen lying in confusion on asksides, and show how dense must have been the population of this suburb—Ravenshaw. গৌড়ীয় নগরোপকণ্ঠ । A9షిణ প্রকৃত প্রস্তাবে ইহা নগরায় নহে নিয়ামতুর্গার সমাধি ক্ষেত্রের প্রবেশ দ্বার। এই দ্বার এখন ধ্বংসদশায় পতিত, হইয়াছে –মিনার ও গম্বুজ ভাঙ্গিয় পড়িয়ছে,-খিলান ধসিয়া গিয়াছে,—সম্মুখের দৃপ্ত বৃক্ষলতায় আচ্ছন্ন হইয়। রহিয়াছে। বিষাদের বিষঃ বায়ু শন শন করিয়া প্রবাহিত হইতেছে। এখানে পদার্পণ করিলে হৃদয় মন অবসর হইয়া পড়ে ! 4. শাহ নিয়ামতুল্লা একজন প্রসিদ্ধ সাধুপুরুষ ছিলেন। তাহার বংশধরগণ অদ্যাপি বর্তমান আছেন। নিয়ামতুল্লা গৌড়ের নগরোপকণ্ঠেই বাস করিতেন। ১৬৬৯ খ্ৰীষ্টাব্দে তাহার দেহান্তর সংঘটিত হয় । সুতরাং গৌড় ধ্বংসপ্রাপ্ত হইবার পরেও নিয়ামতুল্লা জীবিত ছিলেন। র্তাহার সমাধি মন্দির, মস্জেদ এবং তোরণদ্বারের ভগ্নাবশেষ দর্শন করিলে স্বীকার করিতে হয়,--গৌড় ধ্বংসপ্রাপ্ত হইবার পরেও নগরোপকণ্ঠের সৌভাগ্য অনেকদিন পর্যন্ত বর্তমান ছিল। খানজাহান নামক কোনও ভক্ত কর্তৃক ১৫৬৩ খ্ৰীষ্টাব্দে নিয়ামতুল্লার তোরণ দ্বার নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, ফলকলিপিতে তাহা লিখিত আছে। সন্মুখে বৃহৎ সরোবর, তাঙ্গার তীরে মস্জেদ এবং সমাধিমন্দির নিয়ামতুল্লার প্রাধান্যের পরিচয় প্রদান করিতেছে । তাহার স্মৃতিরক্ষার জন্য বার্ষিক ৬০ • • টাকা আয়ের ভূমি প্রদত্ত হইয়াছিল । এখন সকল চেষ্টাই বিফল হইয়া পড়িতেছে । সেকালে যাহার স্মৃতিরক্ষার জন্য ভক্তসমাজ এত আয়োজন করিয়াছিলেন, একালের লোকে তাহার নাম পর্য্যস্ত বিশ্বণ্ড হইতে বসিয়াছেন । এখন র্যাহারা এই অঞ্চলে পুরাকীৰ্ত্তির অনুসন্ধান করিতে শুভাগমন করিয়া থাকেন, তাহদের প্রধান লক্ষ্য. 鄒 সোনা মসজেদ । 海 নিয়ামতুল্লার সমাধি ক্ষেত্রের দক্ষিণ পূৰ্ব্বে-প্রায় অৰ্দ্ধ মাইল ব্যবধানে-গৌড়ের বিখ্যাত কীৰ্ত্তিচিহ্ন-সোনা মসৃজেদ। ইহার নাম ‘সোনা মসৃজেদ হইল কেন, তাছার কোন সন্ধুত্তর প্রাপ্ত হওয়া যায়ু না । ইহাকে গৌড়ীয় স্থাপত্য, কীৰ্ত্তির শ্রেষ্ঠ নিদর্শন বলিলে অত্যুক্তি হয় না। কৃষ্ণ মৰ্ম্মর স্তম্ভের উপর বিচিত্র খিলান, তাহার উপর পঞ্চদশ গম্বুজ, এই মস্জেদের বাহ শোভার সহিত গুন: কৌশলের সামঞ্জস্ত রক্ষা করিয়া ইহাকো পৰ্য্যটকগণের