পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৪০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38ર মধ্যে ছড়াইয় পড়ে নাই, জনসঙ্ঘ এ বিষয়ে এখনও সম্পূর্ণ अल्लांन। শিক্ষিতসম্প্রদায় বিদেশ হইতে এই জ্ঞানটা সঞ্চয় করিয়া একটা ভারতব্যাপী নেশন তৈয়ারের জন্য অল্পবিস্তর চেষ্টা করিয়া আসিতেছেন। ইংরেজের দেশব্যাপী শাসনের সহিত রেলওয়ে, টেলিগ্রাফ, ডাকঘর ও খবরের কাগজ এই বিষয়ে তাহাদের সহায় হইয়াছে ; এবং ইহারই ফলে দেশের মধ্যে কংগ্রেস প্রভৃতি নেশন নিৰ্ম্মাণের যন্ত্রের স্বষ্টি হইয়াছে। কিন্তু শিক্ষিতসম্প্রদায়ের যে কিছু চেষ্ট, তাহদের আপনার সম্প্রদায়মধ্যেই আবদ্ধ রহিয়াছে ; অশিক্ষিত জনসত্যের প্রতি তাহার করুণদৃষ্টি করিয়াছেন মাত্র, কিন্তু তাহাদের মধ্যে র্তাহারা প্রাণের বেদন লইয়া প্রবেশ করেন নাই । বরং তঁtহাদের উচ্চ শিক্ষার উৎকট অভিমান তাহাদিগকে অশিক্ষিতের স্পর্শ হইতে অনেক উদ্ধে রাখিয়া শিক্ষিত ও অশিক্ষিতের মধ্যে বিপুল ব্যবধানের স্বষ্টি করিয়াছিল। বাচাল শিক্ষিতসম্প্রদায় আপনাকে মূক অশিক্ষিত জনসজ্যের বিশ্বস্ত ও নিৰ্ব্বাচিত প্রতিনিধি বলিয়া জাহির করিয়া আসিতেছিলেন, কিন্তু সেই প্রতিনিধিত্ব কল্পনার কোন অধিকার তাছাদের এ পর্যন্ত ছিল না। রাজপুরুষেরাও "তাহাদিগকে গায়ে মানে না আপনি মোড়ল” বলিয়। বিদ্রুপ করিয়া আসিতেছেন। গায়ের লোকেও সেই আপনিমোড়লের অস্তিত্ব বিষয়ে কোন খোজ খবর রাখিত না । অস্তুতঃ সেই মোড়লদের ভাষা তাহাদের বোধগম্য ছিল না, তাহাদের ব্যবহার তাহীদের প্রতিপ্রদ ছিল না, এবং র্তাহীদের সমবেদনার কোন সাক্ষাৎ পরিচয় এ পর্য্যস্ত তাহাদের বুদ্ধিগম্য ভাবে,তাহারা পায় নাই। এক পুকুর জলের উপর এক ফোটা তেল যেমন ছড়াইয়া পড়িয়া ভাসিয়া বেড়ায় মাত্র, তাহারাও এই বিশাল জনসমুদ্রের উপরে নিঃসম্পর্কভাবে ভাসিয়া বেড়াইতেন মাত্র। বর্তমান আন্দোলনের একটা শুভলক্ষণ এই যে শিক্ষিত সম্প্রদায়ের এই মুক জনসক্সের উপর দৃষ্টি পড়িয়াছে। এখন শিক্ষিত সম্প্রদায় বুঝিয়াছেন, যে রাজদ্বারে মাথা না ভাঙিয়া এই জনসজেঘর স্কুয়ারে গিয়া বসিতে হইবে। জনকতক শিক্ষিত লোকে বলিয়া ম্যাঞ্চেষ্টারকে বয়কট করা চলিবে না, পাড়াগায়ের 5ांबाब्र शय्ङ , शाह षब्रिब रुशिएक बिगाड़ी कभएफूत्र প্রবাসী । ৭ম ভাণ্ড , অন্বেষণে নিষেধ করিতে হইবে। বাহু! মাজের বক্তৰা । তাহ রাজাকে না জানাইয়। এই জনসঙ্ঘকে জানাইতে হইবে ; যাহা আমাদের কৰ্ত্তব্য, তাহ এই জনসঙ্ঘের প্রতি সম্পাদন করিতে হইবে। পিক্ষিতসম্প্রদায় এইটুকু বুঝিয়াছেন বলিয়াই স্বদেশী আন্দোলনের যা একটু সফলতা হইয়াছে। তাহাদিগকে বাধ্য হইয় এমন জুড়ায় কথা । কহিতে হইয়াছে; যাহা জনসাধারণে বুঝতে পারে ; তাছাদিগকে এখন দুই একটা কাজ করিতে হইয়াছে, যাহাতে জনসাধারণ মনে করিতে পারে, ইহারা স্বর্গের দেবতা মুহেন, আমাদেরই ঘরের লোক । g ১৯০৫ সালের ৭ই আগষ্ট যখন ঘোষণা করা इहेग, আমরা গৃহস্থালীর জিনিষের জন্ত ইংরেজ 'দোকানদারের দ্বারস্থ হইব না, তখন কেহ স্বপ্নেও ভাবে নাই, যে এই প্রতিজ্ঞ বুড়ামানুষের ছেলে খেলার মত উপহাস্য না হইয়া তাহার বেশ কিছু হইবে। কিন্তু দেশের প্রতি চাহিয়া দেশের লোককে ডাক দিবা মাত্র দেশের লোক এমন ভাবে সাড়া দিল, যাহা বঙ্গদেশের আধুনিক ইতিহাসে আর কখনও , ঘটে নাই। দেশ হইতে তার পরে সাগরগর্জনের মত যে জনকোলাহল উঠিয়াছিল, আজিকার অবসাদের দিনেও তাহা আমাদের কাণে বাজিতেছে এবং শীতল রক্তকে আবার একটু বেগে বহাইতেছে। আমাদের নেতৃবর্গ, তখন র্যাহার জনমণ্ডলীকে ডাকিয়াছিলেন, তাহারা এখন পশ্চাতে হঠিয়াছেন ; তাহদের পরায়ুখত দেখিয়া জনসাধারণ খানিকট কোলাহল করিয়া ও তৎপরিবর্তে কিছু রাজনিগ্রহ সহ করিয়া এখন নীরব হইতে চলিয়াছে। কিন্তু এই দুই বৎসরের ইতিহাসে স প্রমাণ করিয়াছে, যে অনুরাগের সহিত ডাকিতে পারিলৈ দেশের জনমণ্ডলী সাড়া দিতে পারে। এবং যদিও বঙ্গমাতার কোলে বসিয়াও দেশের সন্তানমগুলী মাকে কখনও দেখে নাই ; তথাপি মায়ের নাম ধরিয়া ডাক দিলে তাছাদের হৃৎপিণ্ড হইতে রক্তধারা বেগে সঞ্চালিত হয়। অর্থাৎ অধ্যাপক সলির ভাষায়, যদিও ভারতবর্ষে নেশন নাই, তথাপি এমন বীজ আছে যাহা হইতে নেশন জন্মিতে পারে। , সেই বীজে যে প্রাণশক্তি নিহিত আছে, তাহ ৰোগ পাইলে অঙ্কুরিত, বৰ্দ্ধিত ও ফলপুষ্পে শোভিত হইয়া উঠিতে পারে।