পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৪০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

४é नरशै। ] ..هم...:..سهم..ههءهشي**۰۰مه٠“م করিতেছেন না, উভয়ের মিলনের পথে যে একটা স্বাভা বিক অস্তুরায় আছে, তাহ বলা ও বাহুল্যমাত্র। উভয়ের মধ্যে একটা স্বাভাবিক ও সাহজিক বিদ্বেষ ভাব আছে, তাহাও অস্বীকার করি না । এবং যাহা বিদ্বেষ তাহা পপি, ইহাg বলা বাহুল্য। হিন্দু বহু দেবতার পূজা করেন, এমন কি মাটির প্রতিমা, পূজা করেন, ইহা মুসলমানের পক্ষে অসয় ; এবং মুসলমান গোহত্যা করেন, ইহাও হিন্দুর পক্ষে অসহ্য । বিদ্বেষের মূল এই খানে ; এবং এই মূল উৎপাটিত হইবার যখন কোন উপায়ই দেখা যাইতেছে না, তখন এই “স্বাভাবিক,বিদ্বেষ যে কোনও কালে যাইবে, তাহারও উপায় দেখিন।' , “বাঙ্গল দেশের অনেক স্থানে এক আসনে হিন্দু মুসলমান বসে না, ঘরে মুসলমান আসিলে এক অংশ তুলিয়া দেওয়া হয়, ইহার জল ফেলিয়া দেওয়া হয়” ইত্যাদি ষে কয়টি কারণের উল্লেখ রবিবাবুর প্রবন্ধ মধ্যে দেখিলাম, সে কারণ গুলিকে ততটা ভয়াবহ মনে করি না । হিন্দুর শাস্ত্রে এরূপ , বিধান থাক আর নাই থাক, মুসলমানেরা ইহা জানেন যে, হিন্দু জ্ঞানে হউক অজ্ঞানে হউক, উহা শাস্ত্রবিধানবৎই মানিয়া থাকেন। আজ কাল রাগের মাথায় হিন্দুর বিরুদ্ধে অছিলা খুজিতে গিয়া মুসলমানের যদি ঐ সকল কথার উল্লেখ করিয়াও থাকেন,তথাপি ইহা সত্য যে বহুকালের একত্র বাসে বাঙ্গল দেশের মুসলমান হিন্দুর ঐরূপ ব্যবহারে অভ্যস্ত হইয়া গিয়াছেন, এবং হিন্দুর ঐ ব্যবহার যে মুসলমানের প্রতি ঘৃণার ব্যঞ্জক নহে, কেবল হিন্দুর শাস্ত্রভক্তি বা লোকাচার ভক্তিরই ফল মাত্র, তাহাও মানিয়া লইয়াছেন। ঐ ব্যবহারের আমি কোনরূপ সমর্থন করিতেছি না, এবং ঐ ব্যবহারের মূলে যে স্বণ নাই, তাহাও বলতেছি না। মূলে ঘৃণা থাকিলেও উহা এখন সামাজিক প্রথা বা convention মাত্রে পরিণত হইয়াছে। হিন্দু যেমন পুতুল পূজা করে, সেইরূপ পান আহার উপবেশন প্রভৃতি বিষয়েও কতকগুলি অদ্ভুত নিয়মের বাধা বলিয়া আপনাকে মনে করে,—মুসলমান সমাজ ইং বহু তুংসরের একত্রবাসে স্বীকার করিয়া লইয়াছেন, এবং একত্র সম্ভাবে বাস করিতে হইলে এ বিষয়ে ছিন্ধুকে ক্ষমা করিয়া চলিতে হইবে, ইহাও মুসলমান সমাজ चौकनिकब्रिब गद्देब्रुइन । भूलणमान गमाल cषिरख्रश्न ব্যাধি ও প্রতিকার। o8& ও জানেন, পানাহারাদি বিষয়ে এই সকল অস্তৃত খুঁটিনাটি যে কেবল মুসলমানের প্রতি ব্যবহারেই আছে, তাহী নহে, হিন্দু সমাজের ভিতরে বিবিধ স্তরের মধ্যে পরস্পর ব্যবহার মধ্যেও আছে। হিন্দু সমাজের মধ্যে তিন টাকা, বেতনের ব্রাহ্মণ দরোয়ান বা ব্রাহ্মণ পাচক তাহার শূদ্র মনিৰ লক্ষপতি হইলেও তাহার হস্তের অন্ন জল গ্রহণ করে না ; এই ব্যবহারের মূলে লক্ষপতির পূর্বপুরুষের প্রতি র্তাহার ভূত্যের পূৰ্ব্বপুরুষের ঘৃণা বৰ্ত্তমান থাকিলেও এ কালে উহা আর ঘৃণার পরিচায়ক বলিয়া গৃহীত হয় না ; শূদ্র মনিব তাহার ব্রাহ্মণ চাকরের ঐ ব্যবহারকে কখনই বেয়াদবি বলিয়া গ্রহণ করেন না, উহা তিনি সহিয়া যাইতে শিথিয়াছেন। মুসলমান সমাজও সেইরূপ হিন্দুর এই ব্যবহার সছিয়া লইতে শিখিয়াছেন। শিখিয়াছেন, তাছার প্রমাণ এই যে এ পর্য্যন্ত, হিন্দুর ঐ ব্যবহারে কোন মুসলমানকে ক্ষুব্ধ হইতে দেখা যায় নাই। হিন্দু মুসলমানে এককালে যতই কাটাকাটি মারামারি চলুক না ; বহু শত বৎসর ধরিয়া তাহার একগ্রামে পাশাপাশি বাস করিয়াছেন ; হিন্দু মুসলমানে বন্ধুত্ব ও সামাজিক কুটম্বিত যতদূর সম্ভব তাহাও চলিয়াছে ; হিন্দুর ঘরে মুসলমান ও মুসলমানের ঘরে হিন্দু বিশ্বাসের সহিত চাকরি করিয়াছেন ও করিতেছেন ; অথচ উভয়ের ধৰ্ম্মগত বা আচারগত ব্যবহার লইয়া উভয়ের মধ্যে কোন বিসংবাদের কথা এত দিন শুনিতে পাওয়া যায় নাই । ধৰ্ম্মের ও আচারের এরূপ পার্থক্য সত্ত্বেও উভয়ে পরস্পরকে ক্ষম করিতে অভ্যস্ত হইয়াছেন- , অন্নপানীদিগত আচার দূরের কথা, হিন্দু ও মুসলমানের পরম্পর বিদ্বেষের যাহা মূলগুড়, কারণ–একের পক্ষে প্রতিমা পূজা ও অষ্ঠের পক্ষে গোহত্য-এই মূলগত কারণ বর্তমান থাকিতেও উভয় সম্প্রদায় বহু শত বৎসর ধরিয়া একত্র সম্ভাবে বাস করিতে অভ্যস্ত হইয়া পড়িয়াছেন। মাঝে ਸਿ এই কারণে বিবাদ বিসংবাদ কি দাঙ্গা হাঙ্গামা না ঘটিয়াছে, তাহা নহে, কিন্তু এত বড় সমাজের মধ্যে উহা নগণ্য । ভারতবর্ষের হাওয়ার গুণেই হউক, আর যে কারণেই হউক, হিন্দু মুসলমান বিদ্বেষের এই মূলগত সাংঘাতিক কারণ সত্ত্বেও পরস্পরকে ক্ষমা করিতে শিখিয়াছেন। ভারতবর্ষের তপোবনে ৰাম হরিণে একত্র