পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, १२ • .... -- یـہ - ۔۔۔۔۔۔ ۔۔۔۔ হিউয়েন-সাং উভয়েই এই গুস্বজ প্রত্যক্ষ করিয়াছিলেন । ইণর সন্নিধানে অশেষ শোভার আকর স্বরূপ একটি বিচার নিৰ্ম্মিত হয়। আধুনিক পেশাওয়ার নগরের ‘লাহোরতোরণের সমীপবৰ্ত্ত ‘শাহ জী কী ঢেরা (রাজার স্ত,প) নামক ঈষদুন্নত ভূখণ্ড এই বিশাল বিহারের শেষ সমাধির সাক্ষা প্রদান করিতেছে। স্পেনদেশীয় পরিব্রাজক আলবিরুণির (Alberuni) ভারতভ্রমণকালেও ইহা ধ্বংস প্রাপ্ত হয় নাই । তিনি "কনি’ক চৈত্য” নামে ইহার উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন। খৃষ্টীয় নবম দশম শতাব্দীতেও এই বিচারটি বৌদ্ধশিক্ষার একটি প্রধান কেন্দ্ররূপে পরিগণিত ছিল। কথিত আছে, মগধরাজপুত্র বীরদেব বিদ্যালাভ ও ধৰ্ম্মশিক্ষার্থ কিয়ৎকাল তথায় অবস্থান করেন । সম্ভবতঃ ভারতের সঞ্চিত ঐশ্বৰ্য্য ও অতীতগৌরবলুণ্ঠনকারী মহমুদ বা তাহার অমুচরগণ কর্তৃকই ইহার ধ্বংস সাধিত হইয়৷ থাকিবে । শেষ জীবন ও চতুর্থ বৌদ্ধসংঘ। ভারতীয় বৌদ্ধ নরপতিগণের জীবন প্রায়ই প্রিয়দর্শীর আদর্শেই গঠিত, সুতরাং তাহাদিগের কার্যকলাপও মহারাজ অশোকের জীবনীরই কতকটা পুনরুক্তি বলিয়াই প্রতীয়মান হয়। তাহাতে আবার বৌদ্ধদিগের পরম্পরাগত আখ্যায়িকাগুলি ঈদৃশ অতিশয়োক্তি ও অসাধারণ ঘটনাসমাবেশে পরিপূর্ণ যে তাহার উপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করিয়া ঐতিহাসিক সত্য নিৰ্দ্ধারণ করিতে গেলে, ইতিবৃত্তলেখককে অনেক সময়ে প্রতারিত হইতে হয়। সুতরাং কনিক্ষের ইতিবৃত্ত সংকলনের উপাদান নিতান্ত অল্প ও অসম্পূর্ণ বলিয়াই তাহাকে অনেক প্রবাদ ও জনশ্রুতির আমূল পরিত্যাগ ও কাহারও বা সারসংকলন করিয়া লইতে হয়, যেহেতু ঐতিহাসিকের পক্ষে সত্য তথ্য নিৰ্ব্বাচনের পথ নিতান্ত সরল ও নিরাপদ নহে। কাজেই তাহার পারিবারিক জীবনের ও শাসনসংক্রান্ত বিষয়ের বিশেষ পরিচয় দিবার উপকরণভাবে তাহার শেষ জীবনের আলোচনাতেই অগত্যা আস্থা স্থাপন করিতে হইল। কথিত আছে মহারাজ কনিষ্কও অতিরিক্ত শোণিতস্রোত প্রবাহিত করিয়া অশোকের ন্তায় অমৃতপ্ত চিত্তেই শাস্তিকামনায় অহিংসামূলক বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রেমময় উৎসঙ্গে আত্মসমর্পণ করেন। পরিশেষে [ ৭ম ভাগ ।

  • "s...• “می. s**ع-... •

নবধৰ্ম্মের প্রতি প্রগাঢ় অনুরাগনিবন্ধন মহারাজাতিরাজ কনিষ্কও শেষ জীবনে একটি বৌদ্ধসংঘ সমবেত করেন। এই উপলক্ষে কাশ্মীরে ও জলন্ধরে বৌদ্ধধৰ্ম্মতত্ত্ববেত্তাগণের বিচারাদির পর যে সিদ্ধান্ত অবলম্বিত হয়, তাহাতে বৌদ্ধধৰ্ম্মের যথেষ্ট সংস্কার ও উন্নতি সংসাধিত হয়। সৰ্ব্বাস্তিবাদী ও বৈভাষিক মতানুসারে শাস্ত্রপিটক সমূহের যে টীকা রচিত হয়, তাহার সমালোচনা ও সমর্থনই এই সম্মিলনের প্রথম ও প্রধান কাৰ্য্যরূপে পরিগণিত ছিল। হিউয়েন-সাং বলেন, এই বৌদ্ধসংঘের অনুমোদন ক্রমে যে যে ধৰ্ম্মগ্রন্থ প্রামাণিক বলিয়া স্থিরীকৃত হয়, তাহার নাম তাম্র ফলকে খোদিত হইয়া স্তপতলে সংস্থাপিত হয়। পার্থিক নামক জনৈক বৌদ্ধধৰ্ম্মাত্মার উপদেশে ও বসুমিত্রের অধ্যক্ষতায় এই মহাসমিতি কুশলবংশীয় নরপতি কনিষ্ক কর্তৃক সম্মিলিত হওয়ায় অপর চোঁদ সংঘত্রয়েয় স্থায় বৌদ্ধ ইতিবৃত্তে চিরস্মরণীয় হুইয়া রহিয়াছে । অন্ততঃ এজন্ত কনিষ্কের নাম জগতের ইতিহাসে জলন্ত অক্ষরে অনস্তকাল পর্য্যস্ত লিখিত থাকিবে, বৌদ্ধধৰ্ম্ম পৃথিবীবক্ষ হইতে উৎখাত করিতে না পারিলে করলে কালের শত শাণিত কুঠারসম্পাতেও তাহ প্ৰমৃষ্ট হইবার নহে সুতরাং ধরিতে গেলে অনার্য্যরাজ কনিষ্ক কেবল আর্য্য ভারতবাসীরই গৌরবের পাত্র নহেন ; চীন, জাপান, শু্যাম, ব্ৰহ্ম সিংহলও তাহার নিকট অপরিশোধ্য ধৰ্ম্মঋণে আবদ্ধ। ধষ্ঠ কনিষ্ক, কুলপাবন তোমাকে পাইয়া শকজাতি ধন্ত, আর ধন্ত তদানীন্তন ভারতবাসিগণ র্যাহার তোমার দ্যায় বিজাতীয় রাজার শাসনে স্বর্গমুখ ভোগ করিয়া গিয়াছেন । শ্ৰীধৰ্ম্মপিটক নামক বৌদ্ধ গ্রন্থ পাঠে অবগত হওয়া যায়, কনিষ্কের রাজ্যবিস্তারে নিরতিশয় লালসা প্রযুক্ত এবং এই বিজয়পিপাসা কিছুতেই প্রশমিত হইবার নহে জানিয়া, তদীয় পরিজন ও পরিচারকবর্গ ক্রমে র্তাহার উপর নিতান্ত অসন্তুষ্ট হইয়া উঠে; এবং অবশেষে তাহার প্রাণনাশে কৃতসংকল্প হইয়া, তুলা নিৰ্ম্মিত আবরণে অকস্মাৎ কয়েকজনে তাহার মস্তক আবৃত করার ও একজন তাহার শরীরোপরি আরূঢ় হওয়ায়, রুদ্ধশ্বাস হইয়া কনিষ্ক অচিরেই মৃত্যুমুখে পতিত হন। বৌদ্ধদিগের পরম্পরাগত আখ্যায়িকা গুলি প্রায়ই অতিরঞ্জনদোষদুষ্ট বলিয়া বিশ্বাসের অযোগ্য হইলেও, কোনও প্রতিযোগী প্রমাণ না পাওয়া পৰ্য্যন্ত