তিহারী: >Men করেন—এই অংশের নাম “বৃটীিশ গড়োয়াল”; আর অবশিষ্ট ংশের নাম স্বাধীন গড়োয়াল ; তবে নেপাল বা ভোটের মত স্বাধীন নয়। যাহারা অনুগ্ৰহ করিয়া পরের হাত-হইতে রাজ্য জয় করিয়া দিলেন-আবশ্যক হইলে যে তাহারা তাহ ৭ কাড়িয়া লইতেও পারেন, এ কথা বলাই বাহুল্য। তবে এ রকম অবস্থায় যতখানি স্বাধীনতা থাকার সম্ভাবনা, গড়েয়ালের তাহা যথেষ্ট আছে। আর স্বাধীন গড়োয়ালের আর একটু ভরসা , এই যে তাহাতে প্রলোভনের এমন কিছুই নাই, যে জন্য এ দেশের দেশীয় পাগড়ীর পরিবর্কে SVoরাতি ইংরেজের টুপি ও ছড়ি আমদানি হইতে পারে ; বরং প্ৰলোভনের যে টুকু ছিল সে টুকু আপদ অনেক আগেই মিটয়া গিয়াছে ; নেপালের কবল হইতে গড়েয়াল উদ্ধার করিয়া ইংরেজ গড়োয়ালের উৎকৃষ্ট অংশটুকুই অধিকার করিয়াছেন—এই বাজে অংশ স্বাধীন গড়োয়ালই তিহারী রাজ্য। “নেপালরাজ গড়োয়াল আক্রমণ করার পর, গড়েয়ালরাজ রাজ্য ত্যাগ করিয়া পলায়ন করিলে, নেপালীরা অরক্ষিত প্রাসাদ ও সুরম্য রাজপুরী সম্পূর্ণরূপে শ্ৰীভ্রষ্ট করিয়া ফেলিয়াছিল । পরে ইংরেজের সহায়তায় যখন গড়েয়াল পুনর্বিজিত হুইল, তখন গড়োয়ালের রাজা আর শ্ৰীনগরে ফিরিয়া আসিলেন না ; তিনি শ্ৰীনগর হইতে ৩২ মাইল দূরে উত্তরপশ্চিম কোণে, অলকানন্দার অপর পারে তিহুরীতে পলায়ন করিয়াছিলেন ; সেইখানেই তিনি বাস করিতে লাগিলেন ।- "ক্তিহী রাজ্য, স্থাপন সম্বন্ধে, ইহার অধিক আমি জানি না।” ve