পাতা:প্রবাস-চিত্র - জলধর সেন.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলুঙ্গার যুদ্ধ VeG দুই চারি বার কামান গর্জন শুনিয়াই পাৰ্ব্বত্য মুষিকগণ ইংরাজের অমোঘ শক্তি বুঝিতে পরিবে, এবং পাৰ্ব্বত্য বিবরে প্রবেশ করিবে, প্ৰকৃত যুদ্ধ বিগ্রহের আবশ্যক হইবে না। পূর্ব হইতেই কর্ণেল সাহেবের এ ধারণা ছিল; কিন্তু দুৰ্গবাসিগণ ভয়ের অতি সামান্য চিহ্রও প্ৰকাশ করিল না। গম্ভীর তোপধ্বনি নিস্তব্ধ গিরি-উপত্যকায় পুনঃ পুনঃ প্ৰতিধ্বনিত হইয়া শূন্যে মিশাইয়া গেল, দুই একটি বৃক্ষপত্ৰ কম্পিত হইল, তরুশাখাসীন পক্ষিকুল এই অনভ্যস্ত শব্দে ভীত হইয়া উচ্চতর প্রদেশের অরণ্য মধ্যে আশ্ৰয় লইল । একখানি-প্রস্তরখণ্ডও স্বস্থানচ্যুত হইল না : কামান নিক্ষিপ্ত । গোলা দুর্গপ্রান্তস্থ শালবুহের সামান্য অংশও ভেদ করিতে । পারিল না। কৰ্ণেল সাহেব এ সংবাদ তৎক্ষণাৎ সাহরানপুরে জিলেস্পাই সাহেবের নিকট প্রেরণ করিলেন ; পর দিন ২৬শে অক্টোবর প্রাতঃকালে জিলেস্পাই যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হইলেন। জিলেস্পাই সাহেব একবার চতুর্দিক দেখিয়া আসিলেন। অনন্তর দুর্গ আক্রমণের বন্দোবস্ত হইল। এই বন্দোবস্তে আরও ” দুই তিন দিন কাটিয়া গেল। নালাপানি দুর্গের সম্মুখে প্ৰায় পাঁচশত গজ দূরে একটা সমভূমির উপর কামানশ্রেণী সজ্জিত করা হইল, এবং সৈন্যদল চারি ভাগে বিভক্ত. হইল ; কর্ণেল কার্পেণ্টার, কাপ্তেন ফাষ্ট, মেজর কেলি এবং . কাপ্তেন ক্যাম্বেল-এই চারিজন সেনানায়কের অধীনে । #&তুর্দিকে গৈল্প সন্নিবিষ্ট হইল, এই চারি দলে সৈন্যসংখ্যা