পাতা:প্রবাহিণী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রবাহিণী
১০২

আমি সন্ধ্যাদীপের শিখা,
অন্ধকারের ললাটমাঝে পরানু রাজটীকা।
তার স্বপনে মোর আলোর পরশ
জাগিয়ে দিল গোপন হরষ,
অন্তরে তার রইল আমার
প্রথম প্রেমের লিখা॥
আমার নির্জ্জন উৎসবে
অস্বরতল হয়নি উতল পাখীর কলরবে।
যখন তরুণ রবির চরণ লেগে
নিখিল ভুবন উঠবে জেগে
তখন আমি মিলিয়ে যাব
ক্ষণিক মরীচিকা॥

মাটির প্রদীপখানি আছে মাটির ঘরের কোলে,
সন্ধ্যা তারা তাকায় তারি আলো দেখবে ব’লে॥
সেই আলোটি নিমেষহত
প্রিয়ার ব্যাকুল চাওয়ার মতো,
সেই আলোটি মায়ের প্রাণের ভয়ের মতো দোলে॥