পাতা:প্রবোধ চন্দ্রিকা.djvu/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

?) や 8 প্রৰোধ চঞ্জিকা । যে দিন ব্যভিচার দোষ দেথিৰ সেই দিন ইহার সমুচিত দণ্ড করিয়া বিভুটি ঘটাইব । স~প্রতি যত কুটিনাটি করিতেছে প্তাহ করুক । অনন্তর ব্রাহ্মণী প্রাণপণ চেষ্টাতে ৰিম্বর বৃত আহরণপূর্বক অন্ন ৰাঞ্জনাদিতে যথেষ্ট করিয়া দিয়া ব্রাহ্মণকে প্রত্যহ ভোজন করায় জলেতে পতির হস্তমুখ প্রক্ষালন ও আপনার বস্ত্রাঞ্চলেতে প্রোঞ্চন করত কপট পতিসেবা করিতে লাগিল। ব্রাহ্মণ পরম সুখে বৃত্তাক্ত অন্ন ৰঞ্জন রোটিকাদি ভোজনকরণকালে ভাৰ্য্যাকে প্রতিদিন জিজ্ঞাসা করেন কেমন অন্নাদিতে ঘৃত তে৷ দেও নষ্ট। ব্রাহ্মণী কহে ঘৃত বড় দুর্মুল্য আমি কড়ি কোথ৷ পাবে যে আন্নাদিতে ঘৃত দিব তোমার যত ধন আছে তাহা তুমি জান আমি কি অন্য স্ত্রীর মত পরপুরুষগামিনী আমার কি উপপতির ধন আছে । অতিবড় আক্রা ঘৃত কোথা পাৰে । স^সারের যে অসুসার তাহ কি কহিবো। তুমি উপায়কৰ্ত্তা ঘরে বসিয়া থাকিলা কোথাও যাও না কিছু আনে না কোথাহইতে কিছু পাওয়া যায় না ঘরের যতো যোত্র তাহ। সকলেই জানে এক ব্যঞ্জন ভাত হওয়া ভার ঘি আবার কোথাছইতে হস্থৰে অামি যেই মাইয়। তেই ঘরকন্ন চলে । ব্রাহ্মণ কহিল তুমি রাগ করিও না আমি তোমাকে সাৰ ধান হবার জনো কছিলাম । তুমি আমার পতিব্ৰত সান্ধী স্ত্রী জন্মান্তরীয় পুণ্যরাশির পরিপাক ফলে তোমকে পঙ্গী পাই য়ছি । তুমি যে আমার আজ্ঞর বহির্ভূত হইব। এমন কি ' হইতে পারে | ব্রাহ্মণী কহিল এইতোবটে তবে যে কতক গুলা এলোমেলা কথা কহ তাহ শুনিবামাত্রে অমনি গ৷ জ্বলিয়া যায়। এইরূপে ব্রাহ্মণ প্রতিদিন অনায়াসে ঘৃত ভোজন করিভেং হৃষ্টপুষ্ট বলিষ্ঠ হইতে লাগিল । ব্রাহ্মণী সৰ্ব্বদ। জিজ্ঞাল করে কেমন এখন দেখিতে পাও । ব্রাহ্মণ কহে আর অধিক কি দেখিতে পাইব যৎকিঞ্চিৎ যে দৃষ্টি ছিঙ্কুে তাহাও পরপর যাইতেছে । ইহা শুনিয়া ব্ৰাহ্মণী মনেং অতিহৃষ্ট হইয়। তদবধি কএক জিৰঙ্গ অধিক ঘূত খাওয়াইয়। এক দিবস পতিকে জিজ্ঞাসিল কেমন এখন বুঝি চক্ষুঃপীড়া ভালো হইয়! থাকিৰে । ব্রাহ্মণ কহিল ভালো কি হ’ৰে এখন কিছুমাত্র চক্ষে দেখিতে পাই