“হা হা হা হা—সববনাশ হয়ে গেল।”
ব্যাপারখানা দেখিয়া নিতাই সেখান হইতে সরিয়া পড়িল। বড় বধঠাকুরাণী তখন উঠিয়া বারান্দা মাতজনা করিতেছিলেন, তাঁহাকে নিতাই কত্তর অবস্থা জানাইল। তিনি বলিলেন,—“বড়বাবকে উঠাগে যা।"
বড়বাব সীতানাথের জ্যেষ্ঠ পত্র, নাম শ্ৰীনিবাস। শ্ৰীনিবাস উঠিয়া চক্ষ মাছিতে মুছিতে পিতার ঘরে গিয়া উপস্থিত হইলেন। তাঁহাকে দেখিয়াই চমকিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন—“একি ! আপনার চেহারা এমন হয়ে গেছে কেন ? কোন বিপদ আপদ হয়নি ত ?”
বন্ধ লবিত মস্তক দলাইয়া করণস্বরে বলিলেন—“হা হা হা হা, সব্বনাশ হয়ে গেছে।”
“কি হল, দিলে না ?”
"দিয়েছিল রে দিয়েছিল—সব্বনাশ হয়ে গেছে।”
পিতা যদি আরও কিছ বলেন, এই আশায় শ্ৰীনিবাস তাঁহার মাখের পানে উৎসক দস্টিড়ে চাহিয়া রহিলেন। বন্ধের মুখ হইতে হা হতাশের অসফটধৰনি ছাড়া আর কিছই নিগত হইল না।
অবশেষে শ্ৰীনিবাস বলিলেন—“তবে কি হল ? খোয়া গেল ?” -
বদ্ধ ঘাড় নাড়িয়া পাববং উত্তর করিলেন—“হা হা হা হা, সব্বনাশ হয়ে গেল।”
শ্ৰীনিবাস এইবার, একটা বিরক্ত হইয়া বলিলেন—“কি হল, খালেই বলন না।”
বন্ধ বলিলেন—“সে গেছে রে, নোকসান হয়ে গেছে।"
“কেমন করে গেল ? চরি গেছে ?”
“না।”
“ডাকাতে নিয়েছে ?”
“না।”
“তবে ?”
অনেক কটে এবার বদ্ধ বলিলেন—“চাঁদবাড়ীর ভূধর চাটয্যে নিয়েছে।"
পত্র রাগিয়া বলিল—“সে আবার কে ? সে কি করে গহনার বাক্স নিলে ? ছিনিয়ে নিলে ? আপনি চপে চাপ চলে এলেন, পলিসের সাহায্য নিলেন না ?”
“পলিসে কি আমি যাইনি ? পলিসেও গিয়েছিলাম। থানার দারোগা ভূধর চাটয্যের ৭ওগনীপতি রে ভগ্নীপতি।”
“ভগ্নীপতিই হোক আর বাবাই হোক। এত্তেলা দিলে ডাইরিতে তাকে লিখে নিতেই হবে, অনুসন্ধান করতেই হবে।”
“লিখে নেবে কি, উলেট সে আমায় মিথ্যে নালিসের দায়ে জেলে দেবার ভয় দেখালে।”
কলিকাতায় যে মেসের বাসায় থাকিয়া শ্ৰীনিবাস লেখাপড়া করিতেন, সেই বাসায় আইন অধ্যয়নকারী একটি ছাত্র ছিল। তাহার মাথে শ্ৰীনিবাস মাঝে মাঝে আইন সম্পকীয় অনেক ভক বিতক শনিতে পাইতেন। সে অবধি শ্ৰীনিবাস নিজেকে একজন আইনজ্ঞ ব্যক্তি বলিয়া সিথর করিয়া রাখিয়াছেন। নগদ আট আনা খরচ করিয়া একখানি “মোক্তার গাইড" পতিক ক্ৰয় করিয়াছেন। গ্রামের লোকের মোকদ্দমা উপস্থিত হইলে, প্রায়ই ীিনিবাস কোন না কোন পক্ষের সহায়তা করিয়া পরামশ দান করেন। গম্ভীরভাবে পিতাকে বলিলেন—“ব্যাপারটা কি হয়েছে, সব আদ্যোপান্ত খলে বলন, দেখি আমি এর কিছ প্রতিকার করতে পারি কি না।”
তখন বন্ধ বলিতে আরম্ভ করিলেন। তাঁহার সেই এক ঘণ্টা কালব্যাপী সকরণ খঙ্গতার ভিতর হইতে সমস্ত হা-হতাশ, অশ্রুপাত, অনাবশ্যক মন্তব্য বাদ দিয়া আমরা সারাংশটুকু মাত্র লিপিবদ্ধ করিলাম।
সন্ধ্যার প্রবেবী নৌকা গণে টানিয়া আসিতেছিল। হঠাৎ গণ ছিড়িয়া গিয়া নৌকা
Svరి
পাতা:প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের গল্পসমগ্র.djvu/৬৯
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
